শুভব্রত মুখার্জি: এশিয়া কাপের ফাইনালে রবিবার বিধ্বংসী ফর্মে ছিলেন ভারতীয় পেসার মহম্মদ সিরাজ। তাঁর বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতে পারেনি শ্রীলঙ্কার ব্যাটাররা। দুরন্ত গতিতে বোলিং করতে তো এদিন করেইছেন। পাশাপাশি গতিতে বল সুইং করিয়েছেন । আর তাতেই বেকায়দায় পড়েছেন লঙ্কান ব্যাটাররা। গতির সঙ্গে সুইং সামলাতে কালঘাম ছুটে গিয়েছে তাদের। আর দ্রুতগতিতে একের পর এক ব্যাটারকে প্যাভিলিয়নে ফিরিয়ে দেন। তবে আজকে সিরাজের গতি যে ভারতের পক্ষে ভালো ছিল,পজিটিভ ছিল তা জানেন সমর্থকরা। আর সেকথাতেই যেন স্বীকৃতি দেওয়া হল দিল্লি পুলিশের তরফ থেকে। মজার টুইট করে তারা জানিয়ে দিল আজ গতির জন্য কোন চালান তারা কাটছেন না মহম্মদ সিরাজের নামে!
সাধারণত রাস্তায় কোন গাড়ি নির্দিষ্ট গতির থেকে বেশি গতিতে ছুটলে ভারতের যে কোনও রাজ্যেই দিতে হয় ট্রাফিক ফাইন। সেই বিষয়টিকেই দিল্লি পুলিশ মজার ছলে টুইট করেছে। আজ ২২ গজে অনবদ্য গতিতে দৌড়েছেন সিরাজ। দ্রুতগতিতে ফেরত পাঠিয়েছেন একের পর এক লঙ্কান ব্যাটারকে। এমনকি একটি ওভারে তিনি চার চারজন লঙ্কান ব্যাটারকে ফেরত পাঠান প্যাভিলিয়নে। যে গতিতে শ্রীলঙ্কার ব্যাটারদের সাজঘরে ফেরত পাঠাচ্ছিলেন সিরাজ তা একেবারেই ভালো ছিল না লঙ্কানদের জন্য। তবে ভারতের জন্য তা ছিল খুবই ভালো।
সেকথাকেই সবার সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করে দিল্লি পুলিশ। তারা মজার ছলে টুইট করে নিশ্চিত করে আজ সিরাজের গতি ছিল যথেষ্টই তা সে শ্রীলঙ্কার ব্যাটারদের প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠানো হোক কিংবা ২২ গজে বোলিং হোক। তবে এই গতি একেবারেই খারাপ ছিল না। বরং তা ভালো ছিল ভারতের জন্য। আর সেই কারণেই আছ সিরাজের বিরুদ্ধে যে কোনও সরকারি চালান কাটা হবে না তা জানিয়ে দেওয়া হয় দিল্লি পুলিশের তরফে।
মহম্মদ সিরাজ এদিন সাত ওভার বোলিং করেন। যার মধ্যে ছিল একটি মেডেন ওভার। তিনি ২১ রান দিয়ে তুলে নেন ছটি উইকেট। এক ওভারেই তিনি নেন চারটি উইকেট। শ্রীলঙ্কার ইনিংসে চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে তিনি ফেরান পাথুম নিশঙ্কাকে। ব্যক্তিগত দুই রানে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে দাঁড়ানো রবীন্দ্র জাদেজার হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন তিনি। ওই ওভারেই তৃতীয় বলেই ফেরান সাদিরাকে। এলবিডব্লিউ আউট করেন তাঁকে। পরের বলেই আউট করে দেন চরিথ আসালঙ্কাকে। কভার অঞ্চলে দাঁড়ানো ইশান কিষানের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়ে যান তিনি।
ওভারের শেষ বলে তাঁর বলে খোঁচা দিয়ে কেএল রাহুলের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন ধনজ্ঞয়া ডি সিলভা। পরের ওভারেই শূন্য রানে বোল্ড করে দেন দাসুন শানাকাকে। এরপরে ১৭ রানে ব্যাট করা কুশল মেন্ডিসকেও বোল্ড করে দেন তিনি। ফলে মাত্র ৫০ রানে আউট হয়ে যায় শ্রীলঙ্কা দল। জবাবে মাত্র ৬.১ ওভারেই বিনা উইকেট হারিয়ে প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় ভারতীয় দল।