BCCI-এর ভারপ্রাপ্ত সচিব হলেন দেবজিৎ সাইকিয়া। এর আগে তিনি BCCI-এর যুগ্ম সচিব পদে বহাল ছিলেন। এখন তিনিই জয় শাহের ছেড়ে যাওয়া আসনে বসবেন বলে প্রাথমিক ভাবে ঠিক করা হয়েছে। ডিসেম্বরের ১ তারিখ থেকে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (ICC) চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন জয় শাহ। তবে তাঁর জায়গায় BCCI-র সচিব পদে কে বসবেন তা খুঁজে বের করতে হিমশিম খাচ্ছিল বোর্ড। মূলত দুটি কারণ ছিল এর পেছনে। এক, যোগ্য কাউকে খুঁজে পাচ্ছিল না BCCI। দুই, কেউ এক বছরের জন্য সচিব হতে চাইছিলেন না। কারণ, যেই সচিব নির্বাচিত হন না কেন তাঁকে আবার আগামী বছর নির্বাচনে লড়াই করে জিতে আসতে হবে। ফলে এই অনিশ্চয়তা মাথায় নিয়ে কেউ সামনে এগিয়ে আসছিলেন না।
এরকম পরিস্থিতিতে মনেই করা হচ্ছিল বোর্ড মেম্বারদের মধ্যে থেকেই কাউকে এই দায়িত্ব দেওয়া হবে। ঠিক সেটাই করল BCCI। বোর্ড সভাপতি রজার বিনি দেবজিৎ সাইকিয়াকেই সচিব হিসেবে নিয়োগ করলেন। PTI-র এক রিপোর্ট অনুযায়ী, BCCI-র বিশেষ সাংবিধানিক ক্ষমতার ব্যবহারে করে বিনি এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন। আপাতত যতদিন পর্যন্ত নতুন সচিব নির্বাচিত হয়ে আসছেন না, ততদিন দেবজিৎই দায়িত্ব সামলাবেন। প্রাক্তন ক্রিকেটার দেবজিৎ ক্রিকেট প্রশাসনের পরিচিত মুখ। ৯০-এর দশকে অসমের হয়ে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট খেলেছেন তিনি।
বোর্ডের বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। তার পর নতুন করে নির্বাচন প্রক্রিয়া অনুষ্ঠিত হবে। ততদিন পর্যন্ত সচিব পদের দায়িত্ব পালন করবেন দেবজিৎ। তবে তিনি চাইলে ভোটে লড়তে পারবেন অর্থাৎ তাঁর পুনর্নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ থাকছে। উল্লেখ্য, ২০২২ সালে বোর্ডের নতুন সংবিধান তৈরি হয়। সেখানে সচিবকেই সবচেয়ে বেশি ক্ষমতা প্রদান করা হয়। এক প্রকার BCCI-র সচিবই ভারতীয় ক্রিকেটের সর্বেসর্বা।
প্রথম দিকে এই পদের জন্য অবশ্য অনেক নাম শোনা যাচ্ছিল। দৌড়ে ছিল গুজরাট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সচিব অনিল প্যাটেল, দিল্লি ডিস্ট্রিক্ট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রোহন জেটলি। নাম শোনা যাচ্ছিল CAB সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়েরও। মিডিয়া রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল বোর্ডের তরফে তাঁকে ফোন করা হয়েছিল। যদিও এই বিষয় কোনও মুখ খোলেননি স্নেহাশিস। এখন অবশেষে দীর্ঘ টালবাহানার পর সচিব পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারল BCCI।