অসাধারণ বললেও কম বলা হয়। মঙ্গলবার ইরানি কাপের ম্যাচে স্লিপে ফিল্ডিং করার সময় মুম্বই ওপেনার পৃথ্বী শ-র যে ক্যাচটি ধরেন দেবদূত পাডিক্কাল, তা এককথায় অবিশ্বাস্য। ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ফিল্ডিংয়েও কতটা দক্ষ দেবদূত, তার আদর্শ উদাহরণ পেশ করলেন একানা স্টেডিয়ামে।
লখনউয়ে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে ইরানি কাপের ম্যাচে টস জিতে শুরুতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অবশিষ্ট ভারতের ক্যাপ্টেন রুতুরাজ গায়কোয়াড়। মুম্বইয়ের হয়ে ওপেন করতে নামেন পৃথ্বী শ ও আয়ুষ মাত্রে। পথ্বীকে ইনিংসের শুরুতেই ফেরাতে না পারলে তিনি কতটা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারেন, সেটা এতদিনে সবার জানা।
অবশিষ্ট ভারতের হয়ে ঠিক সেই কাজটাই করে দেখান বাংলার পেসার মুকেশ কুমার। তিনি ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই সাজঘরের পথ দেখান পৃথ্বীকে। যদিও পৃথ্বীর উইকেট তুলে নেওয়ার ক্ষেত্রে বোলার মুকেশ কুমারের থেকেও বেশি কৃতিত্ব প্রাপ্য ফিল্ডার দেবদূত পাডিক্কালের।
ইনিংসের ২.১ ওভারে মুকেশ কুমারের অফ-স্টাম্পের বাইরের বলে ড্রাইভ শট খেলার চেষ্টা করেন পৃথ্বী। বল তাঁর ব্যাটের কানা নিয়ে উড়ে যায় থার্ড স্লিপ অঞ্চলে। থার্ড স্লিপে কোনও ফিল্ডার ছিলেন না। দ্বিতীয় স্লিপে ফিল্ডিং করছিলেন পাডিক্কাল। তিনি অত্যন্ত ক্ষিপ্রতার সঙ্গে নিজের ডানদিকে শরীর ছুঁড়ে দেন। শূন্যে ওড়া অবস্থায় বল লুফে নেন দেবদূত।
পাডিক্কালের এমন অসাধারণ ফিল্ডিংয়ের জন্যই ব্যক্তিগত ৪ রানে আউট হয়ে মাঠ ছাড়তে হয় পৃথ্বীকে। ৭ বলের ইনিংসে তিনি ১টি চার মারেন। দলগত ৬ রানেই মুম্বইয়ের ওপেনিং জুটি ভাঙে। মুকেশ সেই ওভারেই সাজঘরে ফেরান তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামে হার্দিক তামোরেকে। খাতা খোলার আগেই উইকেটকিপার ধ্রুব জুরেলের দস্তানায় ধরা দেন হার্দিক।
অপর ওপেনার আয়ুষও ১৯ রান করে মুকেশের শিকার হন। মুম্বই দলগত ৩৭ রানে টপ অর্ডারের তিনজন ব্যাটারের উইকেট খুইয়ে বসে। তিনটি উইকেটই নেন মুকেশ। শ্রেয়স আইয়ারকে সঙ্গে নিয়ে মুম্বইকে বিপর্যয় থেকে টেনে তোলেন ক্যাপ্টেন অজিঙ্কা রাহানে। যদিও ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেই সাজঘরে ফেরেন শ্রেয়স।
৬টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৮৪ বলে ৫৭ রান করে যশ দয়ালের বলে রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের হাতে ধরা পড়েন শ্রেয়স। ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন অজিঙ্কা রাহানেও। অজিঙ্কা ৩টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ১০৩ বলে ৫০ রানের গণ্ডি টপকান।