বহুদিন পর একসঙ্গে ভারতীয় দলে খেলা বহু ক্রিকেটারই মাঠে নেমেছেন ঘরোয়া ক্রিকেটে। সাধারণত আইপিএল এত পরিমাণ তারকাদের একসঙ্গে মাঠে নামতে দেখা যায়, এবার আইপিএলের মতোই দলীপ ট্রফিতেও মাঠে নেমে পড়েছেন ঋষভ পন্ত, লোকেশ রাহুল, ধ্রুব জুরেলরা। এটাই কার্যত ভারত-বাংলাদেশ সিরিজের ট্রায়ালের মতো। তাই এখানেই নিজেদের সেরাটা দিয়ে দলে সুযোগ পেতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা। প্রথম ইনিংসে ঈশ্বরণের দুরন্ত ক্যাচ নিয়েছিলেন, দ্বিতীয় ইনিংসেও অনবদ্য উইকেট কিপিং করলেন জুরেল।
আরও পড়ুন-ভিডিয়ো- টেস্ট সিরিজ শুরুর আগে হাড়ভাঙা খাটুনি রোহিতের! দেখে মনে হবে না বয়স ৩৭!
সামনে কয়েক মাসে মোট ১০টা টেস্ট খেলবে ভারত, তাঁর আগে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পজিশন উইকেটকিপিং নিয়ে ব্যাপক লড়াই চলছে দলে ঢোকার, ঋষভ পন্ত থেকে ধ্রুব জুরেল, দলীপ ট্রফিতে নিজেদের সেরাটা দিয়ে নির্বাচকদের নজর কাড়তে মুখিয়ে তাঁরা। এই যেমন ধ্রুব জুরেল, দ্বিতীয় ইনিংসে দুরন্ত ক্যাচ নিয়ে নজর কাড়লেন। অবশ্যে স্রেফ একটা ক্যাচ ধরাই নয়, ইনিংসে মোট পাঁচটা ক্যাচ ধরেছেন এই উইকেটরক্ষক।
বছরের শুরুতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে দেশের মাটিতে সুযোগ পেয়েছিলেন ধ্রুব জুরেল। একটা ম্যাচে ভালো খেলেছিলেনও । কিন্তু ঋষভ পন্ত টি২০ বিশ্বকাপে প্রত্যাবর্তনের পরই ফের টেস্ট দলেও উইকেটরক্ষক পজিশন দখলে যেতে বসেছে পন্তের। তাই বাংলাদেশ সিরিজের আগেই উইকেটের পিছনে নিজের সেরাটা দিয়ে নজর কাড়লেন ধ্রুব। দলীপ ট্রফির ম্যাচে ইন্ডিয়ার বির বিরুদ্ধে পাখির মতো উড়ে গিলে নিলেন ক্যাচ।
আরও পড়ুন-ভিডিয়ো- ঋষভকে টেক্কা উড়ন্ত জুরেলের! তৃতীয় দিনে নিলেন ৫ ক্যাচ! একটা ক্যাচ না দেখলেই মিস…
দলীপ ট্রফিতে তৃতীয় দিনের খেলায় ব্যাট করতে আসেন ইন্ডিয়া বি দলের মুশির খান, যিনি প্রথম ইনিংসে অনবদ্য শতরান করেছিলেন। তাঁকে বোলিং করছিলেন ইন্ডিয়া এ দলের আকাশ দীপ। লেগ সাইডের বলে ব্যাট ছোঁয়াতেই তা উইকেটরক্ষকের থেকে বেশ খানিকটা দূরে চলে যায়। কিন্তু হাল ছাড়েননি, প্রায় দু মিটার দূরত্বেই নিজের শরীর ছুঁড়ে দিয়ে বাঁহাতে অসম্ভব সুন্দর ক্যাচ নেন ধ্রুব জুরেল। শূন্য রানেই সাজঘরে ফিরতে হয় মুশির খানকে।
তৃতীয় দিনের শেষে ইন্ডিয়া বি দলের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১৫০ রান। এর মধ্যে পাঁচটি উইকেটের ক্ষেত্রেই অবদান রয়েছে উত্তর প্রদেশের ধ্রুব জুরেলের। যশস্বী জয়সওয়ালের ক্যাচ তিনি নেন খলিল আহমেদের ডেলিভারিতে। আকাশ দীপের বোলিংয়ে অভিমন্যু ঈশ্বরণ এবং মুশির খানের ক্যাচ নেন রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে আইপিএলে খেলা এই ক্রিকেটার। আবেশ খানের বলে মুশিরের দাদা সরফরাজ খানের শিকারও তাঁরই হাতে। এছাড়াও খলিল আহমেদের বলে নীতীশ কুমার রেড্ডির ক্যাচও ধরেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। তবে প্রথম ইনিংসে ব্যাট হাতে নজর কাড়তে পারেননি তিনি।