দলীপ ট্রফিতে এক ইনিংসে ৭টি ক্যাচ ধরে ধোনির রেকর্ড ছুঁয়ে ফেললেন ধ্রুব জুরেল। বিগত দু’দশক ধরে অটুটু ছিল মাহির রেকর্ড। এবার সেই রেকর্ডে ভাগ বসালেন ধ্রুব। এর আগে এক ইনিংসে ৭টি ক্যাচ ধরেছিলেন ধোনি। ২০০৪-২০০৫ মরশুমে দলীপ ট্রফিতে পূর্বাঞ্চলের বিরুদ্ধে এই রেকর্ড সৃষ্টি করেন তিনি। এটাই ছিল এতদিন পর্যন্ত এক ইনিংসে কোনও উইকেটরক্ষকের ধরা সর্বাধিক ক্যাচের রেকর্ড। ধোনি সেইবার সুনীল বেঞ্জামিনের রেকর্ড ভেঙেছিলেন। ১৯৭৩ সালে এক ইনিংসে ৬টি ক্যাচ ধরে রেকর্ড গড়েছিলেন সুনীল। তবে ধোনির রেকর্ড ভাঙতে পারেননি জুরেল।
বেঙ্গালুরুতে চলছে ইন্ডিয়া এ বনাম ইন্ডিয়া বি দলের দলীপ ট্রফির ম্যাচ। সেই ম্যাচেই এই রেকর্ড সৃষ্টি করেন ধ্রুব জুরেল। ইন্ডিয়া এ দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করছেন জুরেল। দ্বিতীয় ইনিংসে উইকেট কিপিংয়ের সময় ইন্ডিয়া বি দলের যশস্বী জসওয়াল, অভিমন্যু ঈশ্বরণ, মুশির খান, সরফরাজ় খান, নীতীশ রেড্ডি, সাই কিশোর ও নভদীপ সাইনির ক্যাচ ধরেন ধ্রুব জুরেল। উইকেটের পিছনে এদিন অসাধারণ প্রদর্শন করেন তিনি। সামনেই রয়েছে ভারতের বাংলাদেশ সফর। তার আগে এই পারফরম্যান্স ধ্রুবকে জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার দাবিদার করে তুলেছে। দলীপ ট্রফিতে ভারত বি দলকে ১৮৪ রানে অলআউট করার পিছনে তাঁর ৭টি ক্যাচের ভূমিকা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। তবে ব্যাট হাতে সেই ভাবে দলীপের প্রথম ম্যাচে দাগ কাটতে পারেননি তিনি। দুই ইনিংস মিলিয়ে তাঁর সংগ্রহ মোট ২ রান, দ্বিতীয় ইনিংসে ০ রানেই প্যাভিনিয়নে ফিরতে হয় তাঁকে।
চলতি বছরের আইপিএলে বেশ ভালো পারফরম্যান্স করেন ধ্রুব জুরেল। রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি, এছাড়াও উত্তরপ্রদেশের হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলে থাকেন। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে ৯৮০ রান করেছেন তিনি, গড় ৪৯.০০। ২০২৩ সালে আইপিএলে অভিষেক হয় তাঁর। আইপিএল ২০২৪-এ ১৪ ম্যাচে ১৯৫ রান করেন ধ্রুব, রয়েছে ২টি অর্ধশতরানও। ইতিমধ্যেই সেই কারণে জাতীয় দলের হয়ে খেলার সুযোগ পেয়েছেন। এবছর ভারতের হয়ে তাঁর টি-২০ ও টেস্ট দলে অভিষেক হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত দেশের জার্সি গায়ে নিজেকে সেই ভাবে প্রমান করার সুযোগ পাননি। এখন নজরে বাংলাদেশ সফর। সেখানে ঋষভ পন্থের সঙ্গে উইকেরক্ষক হিসাবে জুরেলের নাম থাকার সম্ভাবনা বেশি।