পাকিস্তানের মাটিতে ঐতিহাসিক টেস্ট সিরিজ জয়ের পরে ভারতে একই গর্জন করতে তৈরি ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। তবে পাকিস্তান ও ভারতের যে পার্থক্য রয়েছে সেটা ভালো করেই বুঝতে পেরেছে তারা। ভারতের মাটিতে বাংলাদেশ যে তাদের সেরা ক্রিকেট খেলতে পারেনি সেটা মেনে নিলেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক। ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে তারা যে তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারেনি তাও স্বীকার করলেন তিনি। শান্ত আরও বলতে চান যে তারা হয়তো নিজেদের ওপর বিশ্বাসটাই রাখতে পারেনি। এর পাশাপাশি খেলোয়াড়দের আরও দায়িত্ব নেওয়ার কথা জানান শান্ত।
ম্যাচ শেষে ব্রডকাস্টকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বলেন, ‘আমরা আমাদের সেরা ক্রিকেট খেলিনি। আমরা তিনটি ম্যাচেই ব্যাটিং গ্রুপ হিসেবে আমাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারিনি। বোলিং-এর দিক থেকে, কয়েকটি ম্যাচে আমরা কয়েক ওভার ভালো বল করেছি। আজ সব বোলারই ভালো বোলিং করেননি।’
আরও পড়ুন… IND vs BAN: গম্ভীরের একটা মন্ত্রেই বদলে গিয়েছে দল, সঞ্জুর খেলাতেই সেটা স্পষ্ট- সূর্যকুমার যাদব
এরপরে শান্ত আরও বলেন, ‘এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে আমরা নিজেদের উপর বিশ্বাস রাখতে হবে। আমরা যে কোনও দলের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারব সেই বিশ্বাসটা তৈরি করতে হবে। আমাদের অনেক কিছু পরিবর্তন করতে হবে, বিশেষ করে ঘরের উইকেট। খেলোয়াড়দের দায়িত্ব নিতে হবে। (ইতিবাচক) আজ হৃদয় যেভাবে ব্যাটিং করেছে তা চিত্তাকর্ষক ছিল। আমি সত্যিই সমস্ত সিমারদের পছন্দ করি, তারা তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছিল। টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের অনেক উন্নতি করতে হবে।’
আরও পড়ুন… রঞ্জি ট্রফিতে হতাশাজনক শুরু করলেন ইশান-শ্রেয়স! জাতীয় দলে ফেরা নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন
গোয়ালিয়র ও দিল্লিতে প্রথম দুই টি-টোয়েন্টিতে সূর্যকুমার যাদবের ভারতের সামনে একেবারেই পাত্তা পায়নি নাজমুল হোসেন শান্ত’র নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ। হায়দরাবাদে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে তাদের লক্ষ্য ছিল হোয়াইটওয়াশ এড়ানো। তবে এদিন ভারত আরও আক্রমণাত্মক মেজাজে খেলেছিল। প্রথমে ব্যাট করে তাদের করা ২৯৭ রান যে কোনেও টেস্ট খেলুড়ে দেশের টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রান।
আরও পড়ুন… Emerging Asia Cup T20 2024: এবার আর আনকোরা দল নয়, তিলকের নেতৃত্বে তারকাখচিত টিম পাঠাচ্ছে ভারত
এর আগে এতদিন ২৭৮ রান নিয়ে সেই রেকর্ড ছিল আফগানিস্তানের দখলে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে কোনও রকম লড়াই জমাতে পারেনি টাইগাররা। শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ দল। বলার মতো ইনিংস খেলেন কেবল তৌহিদ হৃদয় এবং লিটন দাস। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ সংগ্রহ করে ১৬৪ রান। ফলে ১৩৩ রানের পরাজয় নিয়ে সিরিজ শেষ করে হাথুরুর শিষ্যরা।