ক্রিকেটে দুর্ভাগ্য বিষয়টা খুবই স্বাভাবিক। অনেক ক্রিকেটারকেই দেখা যায় বিভিন্ন বিভিন্ন সময় বাজেভাবে আউট হতে। মানে আনলাকিভাবে আর কি। কেউ হিট উইকেট হন, আবার কেউ টাইমড আউট হন। ম্যানকাডিং আউটও হন। এর মধ্যে রান আউট হওয়াও একপ্রকারের আনলাকি আউটই বলা যায়। অবশ্য ক্রিকেট বলে নয়, সব খেলাতেই একটা চ্যাম্পিয়ন্স লাকের দরকার লাগে।
ভাগ্যের দরকার যে কোনও খেলায়-
যে কোনও দলই চ্যাম্পিয়ন হয় চ্যাম্পিয়ন্স লাকে, আর হেরেও যায় সেই ভাগ্যের অভাবে। এই যেমন দঃ আফ্রিকা ক্রিকেট দল। বরবারই হাইপ্রোফাইল দল নিয়ে খেলতে নেমে আইসিসির নকআউটের গণ্ডি টপকানো থেকেই তাঁরা ভাগ্যের পরিহাসের শিকার হন। কখনও সুপার সিক্স, কখনও সেমিফাইনাল আবার কখনও ফাইনালে হারতে হয়েছে তাঁদের।
আরও পড়ুন-রেস্তোরাঁয় একা শ্রেয়সকে দেখে ভক্তের অনুরোধ অটোগ্রাফের! খোশমেজাজে তুললেন সেলফিও
কতটা আনলাকি, নিজেই জানালেন কার্তিক-
এরই মধ্যে এবার ভাগ্যের অভাবের নির্মম উদাহরণের কথাই তুলে ধরলেন ভারতীয় দলের প্রাক্তন ক্রিকেটার দীনেশ কার্তিক। বর্তমানে তিনি খেলছেন দঃ আফ্রিকার ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ এসএ২০তে। সেখানকার দল পার্ল রয়্যালসের জার্সিতে তিনি খেলছেন। আর সেখানে দুই ইনিংসে ব্যাট করার সুযোগ পেয়ে দুই ইনিংসেই রান আউটের শিকার হয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন-৯ বছরের দাবাড়ুর কাছে হার কার্লসেনের? বাংলাদেশের দাবাড়ুর দাবিতে তোলপার বিশ্ব
কার্তিকের দেওয়া ভাইরাল ভিডিয়ো-
এরপর নিজেই বিরক্ত হয়ে দীনেশ কার্তিক সোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন একটি ভিডিয়ো। সেখানে তাঁকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘সব থেকে খারাপভাবে আউট কোনটা? রান আউট। আইপিএল হোক বা ঘরোয়া ক্রিকেট, এমনকি আমার শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচেও আমি রানআউট হয়েছি। রানআউটের সঙ্গে যেন আমার ভালোবাসার গল্প জড়িয়ে পড়েছে। ফ্রাস্ট্রেশন আসে, অসহায় লাগে, আক্ষেপ হয়। ’।
এরপর কার্তিককে সেই ভিডিয়োতে আরও বলতে শোনা যায়, ‘ ক্রিকেটের একটু দয়া হওয়া উচিত আমার অনেক। অনেক হয়ে গেছে। How do I outrun something which refuses to leave me alone? (আমি কীভাবে কোনও কিছুর থেকে নিজেকে সরিয়ে নেব, যে আমায় কিছুতে ছাড়তেই চায় না?) ’। প্রসঙ্গত এমআই কেপটাউনের বিরুদ্ধেই তিনি দুবার রানআউট হন। সোমবার সাত বলে ২ রান করার পর তিনি রানআউট হয়ে যান। এরপর বুধবার ৬ বলে ১০ রান করার পরও তিনি রান আউট হয়ে যান।