আম্পায়ারের চোখে দেখা সিদ্ধান্ত অনেক সময় ভুল হতে পারে। সেই ভুল দূর করতেই আইসিসি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রযুক্তির ব্যবহার করে। এমনকি আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে প্রযুক্তির সাহায্য নিতেও পারেন দলগুলি। তবে মেলবোর্ন টেস্টের শেষ দিনে প্রযুক্তি ব্যবহারের যৌক্তিকতা নিয়েই প্রশ্ন উঠে গেল। তৃতীয় আম্পায়ার এক্ষেত্রে রিপ্লে দেখে সিদ্ধান্ত দিলেন। প্রযুক্তি অন্য কথা বলছিল যদিও। অর্থাৎ, প্রযুক্তির প্রমাণ মানলে আম্পায়ার সব দেখেশুনে ভুল সিদ্ধান্ত দিলেন বলা যায়।
মেলবোর্ন টেস্টের শেষ দিনে প্রবল বিতর্কিতভাবে আউট দেওয়া হয় ভারতের সেট ব্যাটার যশস্বী জসওয়ালকে। ভারতের শেষ ইনিংসের ৭০.৫ ওভারে প্যাট কামিন্সের বলে যশস্বীর বিরুদ্ধে কট বিহাইন্ডের আবেদন জানায় অস্ট্রেলিয়া। ফিল্ড আম্পায়ার আউট দেননি।
অস্ট্রেলিয়া রিভিউ নেয়। বাংলাদেশের তৃতীয় আম্পায়ার শরাফউদ্দৌলা রিপ্লে দেখে জানান যে, বল যশস্বীর গ্লাভসে লেগে বাঁক নিয়েছে। যদিও ফিল্ড আম্পায়ারের চোখে তা ধরা পড়েনি। এমন ক্ষেত্রে আল্ট্রা এজ প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে দেখা হয় বল ব্যাটে লেগেছে কিনা। মেলবোর্নেও স্নিকোয় যাচাই করা হয় তা। এক্ষেত্রে আল্ট্রা এজে কোনও তরঙ্গ দেখা দেয়নি। তাই যশস্বীকে নট-আউট ঘোষণা করা উচিত ছিল তৃতীয় আম্পায়ারের।
তবে তৃতীয় আম্পায়ারের যেহেতু মনে হয়েছে যে বল যশস্বীর গ্লাভসে লেগেছে। তাই তিনি প্রযুক্তিকে উপেক্ষা করে আউট দেন যশস্বীকে। ২০৮ বলে ৮৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন জসওয়াল। তিনি ৮টি চার মারেন। উত্তেজক শেষ দিনে ভারতের ম্যাচ বাঁচানোর সুযোগ হাতছাড়া হয়।
তৃতীয় আম্পায়ার আউট দেওয়ার পরে হতবাক দেখায় ব্যাটার যশস্বীকে। তিনি ফিল্ড আম্পায়ারের সঙ্গে আলোচনা করেন। যদিও সাজঘরে ফেরা ছাড়া উপায় ছিল না তাঁর। ধারাভাষ্য দেওয়ার সময় এই নিয়ে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ শোনায় সুনীল গাভাসকরকে।
গাভাসকর দাবি করেন যে, ডিআরএস নেওয়া হয় স্লিকোর ব্যবহার করার জন্য। যদিও প্রযুক্তির প্রমাণ না মানা হয়, তাহলে প্রযুক্তি ব্যবহার করে লাভ কী! বল অনেক সময়ই হঠাৎ করে বাঁক নিতে পারে। ক্রিকেটে সেটা হামেশাই দেখা যায়। এক্ষেত্রে ফিল্ড আম্পায়ারও তো দেখেছিলেন বল বাঁক নিয়েছে। তা সত্ত্বেও তাঁর মনে হয়েছে যশস্বী আউট নন। তৃতীয় আম্পায়ার চোখের দেখায় যদি সিদ্ধান্ত নেবেন, তাহলে ফিল্ড আম্পায়রের সিদ্ধান্ত মানতে অসুবিধা ছিল কোথায়? গাভাসকরের দাবি, যশস্বীকে এক্ষেত্রে অন্যায়ভাবে আউট দেওয়া হয়েছে।