ইন্ডিয়া-সি দলের বিরুদ্ধে চলতি দলীপ ট্রফির প্রথম ম্যাচে দাপুটে হাফ-সেঞ্চুরি করেন শ্রেয়স আইয়ার। তবে ইন্ডিয়া-এ দলের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ডাহা ফেল শ্রেয়স। ব্যাট হাতে ব্যর্থ হলেন সঞ্জু স্যামসনও। ইন্ডিয়া-ডি দলকে কার্যত একা টানেন দেবদূত পাডিক্কাল। তবে তিনি দুর্ভাগ্যজনকভাবে ব্যক্তিগত শতরান হাতছাড়া করেন।
পাডিক্কালের একক প্রয়াস যথেষ্ট ছিল না ইন্ডিয়া-ডি দলকে নির্ভরতা দেওয়ার পক্ষে। তাই মায়াঙ্ক আগরওয়ালের নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া-এ দলের কাছে প্রথম ইনিংসের নিরিখে বড়সড় ব্যবধানে পিছিয়ে পড়তে হয় শ্রেয়স আইয়ারের ডি-দলকে।
অনন্তপুরে ইন্ডিয়া-ডি দলের বিরুদ্ধে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে ইন্ডিয়া-এ দল। প্রথম দিনের শেষে তারা ৮২ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৮৮ রান তোলে। তার পর থেকে খেলতে নেমে দ্বিতীয় দিনে ইন্ডিয়া-এ দল তাদের প্রথম ইনিংসে অল-আউট হয় ২৯০ রানে। তারা ব্যাট করে সাকুল্যে ৮৪.৩ ওভার।
শামস মুলানি ৮৯, তনুষ কোটিয়ান ৫৩ ও রিয়ান পরাগ ৩৭ রান করেন। ইন্ডিয়া-ডি দলের হয়ে প্রথম ইনিংসে ৪টি উইকেট দখল করেন হর্ষিত রানা। ২টি করে উইকেট নেন বিদ্বথ কাভেরাপ্পা ও আর্শদীপ সিং। ১টি করে উইকেট নেন সরাংশ জৈন ও সৌরভ কুমার।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ইন্ডিয়া-ডি দল তাদের প্রথম ইনিংসে ১৮৩ রানে অল-আউট হয়ে যায়। তাদের ইনিংস স্থায়ী হয় ৫২.১ ওভার। অর্থাৎ, প্রথম ইনিংসের নিরিখে ইন্ডিয়া-এ দল ১০৭ রানের লিড পেয়ে যায়। দেবদূত পাডিক্কাল দলের হয়ে সব থেকে বেশি ৯২ রান করে আউট হন। ১২৪ বলের আগ্রাসী ইনিংসে তিনি ১৫টি চার মারেন।
এছাড়া ২৯ বলে ৩১ রান করেন হর্ষিত রানা। তিনি ৪টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। ৫১ বলে ২৩ রান করেন ঋকি ভুই। তিনি ১টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। ২টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৪১ বলে ১৪ রান করেন যশ দুবে। অথর্ব টাইডে ৪, সঞ্জু স্যামসন ৫, সরাংশ জৈন ৮, সৌরভ কুমার ১ ও কাভেরাপ্পা ২ রানের যোগদান রাখেন। খাতা খুলতে পারেননি আর্শদীপ সিং ও ক্যাপ্টেন শ্রেয়স আইয়ার।
প্রথম ইনিংসে ইন্ডিয়া-এ দলের হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন খলিল আহমেদ ও আকিব খান। ১টি করে উইকেট নেন প্রসিধ কৃষ্ণা, তনুষ কোটিয়ান ও শামস মুলানি।