পাকিস্তানের কাছে সুযোগ ছিল বিশ্বকাপের আগে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজের শেষ টি-২০ ম্যাচ জিতে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে নেওয়ার। তবে শেষমেশ হতাশ হয়েই মাঠ ছাড়তে হয় বাবর আজমদের। ইংল্যান্ডের কাছে টি-২০ সিরিজ হেরে বিশ্বকাপের আবহে ঢুকে পড়ছে পাকিস্তান।
দল হারলেও দুর্দান্ত এক ব্যক্তিগত নজির গড়েন পাক দলনায়ক বাবর আজম। এক্ষেত্রে বিশ্বের দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে টপকে যান অনবদ্য এক মাইলস্টোন। যদিও মাত্র ১৫ রানের জন্য কোহলির বিরাট এক বিশ্বরেকর্ড ভাঙতে পারেননি বাবর।
ইংল্যান্ড-পাকিস্তান সিরিজের প্রথম ও তৃতীয় টি-২০ ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেস্তে যায়। দ্বিতীয় ম্যাচে জয় তুলে নেয় ব্রিটিশ দল। সুতরাং, ওভালের শেষ টি-২০ ম্যাচ জিতে ৪ ম্যাচের সিরিজে সমতা ফেরানোর সুযোগ ছিল পাকিস্তানের সামনে। তবে পাকিস্তান এই ম্যাচ হেরে বসে ৭ উইকেটের ব্যবধানে। ফলে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জেতে ইংল্যান্ড।
টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে পাকিস্তান। তারা ১৯.৫ ওভারে ১৫৭ রানে অল-আউট হয়ে যায়। ১৬ বলে ২৩ রান করেন মহম্মদ রিজওয়ান। তিনি ৩টি চার মারেন। বাবর আজম ২২ বলে ৩৬ রান করেন। তিনি ৫টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। উল্লেখযোগ্য এই ইনিংস খেলার পথে বাবর আন্তর্জাতিক টি-২০ ক্রিকেটে ৪ হাজার রানের মাইলস্টোন টপকে যান। বিরাট কোহলির পরে বিশ্বের দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে এই নজির গড়েন বাবর।
পাক দলনায়ক এদিন আরও ১৫ রান করলে কোহলিকে টপকে আন্তর্জাতিক টি-২০ ক্রিকেটে সব থেকে বেশি রান সংগ্রহকারী ব্যাটারে পরিণত হতেন। যদিও সেই সুযোগ হাতছাড়া করেন তিনি। এই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক টি-২০ ক্রিকেট বাবর আজমের সংগ্রহ ৪০২৩ রান। কোহলি আন্তর্জাতিক টি-২০ ক্রিকেটে ৪০৩৭ রান সংগ্রহ করেছেন এখনও পর্যন্ত।
আরও পড়ুন:- গত ৮টি T20 বিশ্বকাপে সব থেকে বেশি রান করে গোল্ডেন ব্যাট জেতেন কারা?
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওভালের ম্যাচে ২১ বলে ৩৮ রান করেন পাকিস্তানের উসমান খান। তিনি ৩টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। ১৮ বলে ৩১ রান করেন ইফতিখার আহমেদ। তিনি ২টি চার মারেন। ১টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ১৮ বলে ১৬ রান করেন নাসিম শাহ। ইংল্যান্ডের মার্ক উড, আদিল রশিদ ও লিয়াম লিভিংস্টোন ২টি করে উইকেট দখল করেন। ১টি করে উইকেট নেন জোফ্রা আর্চার, মইন আলি ও ক্রিস জর্ডন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ড ১৫.৩ ওভারে ৩ উইকেটের বিনিময়ে ১৫৮ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। ২৪ বলে ৪৫ রান করেন ফিল সল্ট। তিনি ৬টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। ২১ বলে ৩৯ রান করেন জোস বাটলার। তিনি ৭টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। ১৮ বলে ২০ রান করেন উইল জ্যাকস। তিনি ১টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন।
এছাড়া ১৬ বলে ২৮ রান করে অপরাজিত থাকেন জনি বেয়ারস্টো। তিনি ১টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন। ১৪ বলে ১৭ রান করে নট-আউট থাকেন হ্যারি ব্রুক। তিনি ১টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। পাকিস্তানের হয়ে ৩টি উইকেটই তুলে নেন হ্যারিস রউফ।