শনিবার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচে ইতিহাস গড়েছেন ইংল্যান্ডের স্পিন বোলার আদিল রশিদ। তিনি ইংল্যান্ডের হয়ে দ্রুততম ২০০ উইকেট নেওয়া প্রথম স্পিনার এবং দ্বিতীয় ইংলিশ বোলার হয়েছেন। আদিল রশিদ ওয়ানডেতে ইংল্যান্ডের অন্যতম সেরা স্পিনার। আদিল ছাড়াও মইন আলি ১১১টি এবং গ্রায়েম সোয়ান ১০৪টি উইকেট নিয়েছেন। ইংল্যান্ডের হয়ে ১০০ বা তার বেশি ওয়ানডে উইকেট নেওয়ার জন্য মাত্র তিনজন স্পিনার তালিকায় রয়েছেন। হেডিংলিতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে খেলায় গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে আউট করে আদিল এই কৃতিত্ব অর্জন করেন।
আদিল রশিদ, যিনি ২০০৯ সালে অভিষেক করেছিলেন, ইংল্যান্ডের হয়ে এখনও পর্যন্ত ১৩৭টি ওয়ানডে ম্যাচে ২০১টি উইকেট নিয়েছেন। তিনি তার ওয়ানডে কেরিয়ারে দুইবার পাঁচ উইকেট এবং আটবার চার উইকেট শিকার করেছেন। ওডিআইতে ইংল্যান্ডের হয়ে তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি আদিল রশিদ। তার পরেই ফাস্ট বোলার জেমস অ্যান্ডারসন (১৯৪ ম্যাচে ২৬৯ উইকেট) এবং ড্যারেন গফ (১৫৮ ম্যাচে ২৩৪ উইকেট) শীর্ষ দুই উইকেট শিকারি।
আরও পড়ুন… IND vs BAN: এমনটা কেন করছ, এটা আমার পুরানো ব্যাট: পন্তের সঙ্গে মজার এক ঘটনার কথা শোনালেন গিল
ম্যাচের কথা বলতে গেলে, অ্যালেক্স ক্যারি ৬৭ বলে ৭৪ রানের আক্রমণাত্মক ইনিংস খেলেন। যে কারণে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়া ২৭০ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর তৈরি করে। অস্ট্রেলিয়া ওয়ানডেতে তাদের টানা ১৪ তম জয়ের জন্য খুঁজছে কিন্তু প্রথমে ব্যাট করার জন্য আমন্ত্রণ জানানোর পরে, তাদের শুরুটা ভালো ছিল না এবং এক পর্যায়ে ২০০ রান ছুঁতেও লড়াই করতে হয়েছিল। অধিনায়ক মিচেল মার্শ (৫৯ বলে ৬০ রান) একমাত্র টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান যিনি হাফ সেঞ্চুরি করেন।
আরও পড়ুন… IND vs BAN: আমারটা তুই নে, তোরটা আমায় দে দেখি: ভাইরাল হল কোহলি-পন্তের সানগ্লাস বদলের মুহূর্ত
প্রথম ওয়ানডেতে অপরাজিত ১৫৪ রানের ইনিংস খেলে অস্ট্রেলিয়াকে সাত উইকেটে জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী ট্র্যাভিস হেড এদিন মাত্র ২৯ রান করেন। এর পর ফাস্ট বোলার ব্রাইডন কার্সের (৩-৭৫) প্রথম শিকার হন। দ্বিতীয় ওপেনার ম্যাথিউ শর্টও ২৯ রানের অবদান রাখেন। অন্যান্য ব্যাটসম্যানদের মধ্যে ছিলেন স্টিভ স্মিথ চার রানে, মার্নাস লাবুসচেন ১৯ রানে এবং গ্লেন ম্যাক্সওয়েল সাত রানে। ক্যারি অবশ্য অস্ট্রেলিয়ান ভক্তদের হতাশ হতে দেননি। তার ইনিংসে আটটি চার ও তিনটি ছক্কা মারেন তিনি। তা সত্ত্বেও অস্ট্রেলিয়ার পুরো দল ৪৪.৪ ওভারে অল-আউট হয়ে যায়।
এর জবাবে ইংল্যান্ড দল ২০২ রানে অল আউট হয়ে যায়। জেমি স্মিথ ৬১ বলে ৪৯ রান করেন এছাড়া বেন ডাকেট ২৫ বলে ৩২ রান করেন। তবে শেষ পর্যন্ত ২০২ রানেই গুটিয়ে যায় ব্রিটিশদের ইনিংস। এর ফলে ৬৮ রানে ম্যাচ জেতে অস্ট্রেলিয়া। এদিনের জয়ের ফলে সিরিজে ২-০ এগিয়ে গেল অস্ট্রেলিয়া।