শুভব্রত মুখার্জি:- ঘরের মাটিতে টেস্ট সিরিজে ইংল্যান্ড এই মুহূর্তে মুখোমুখি হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে। তিন ম্যাচের সিরিজে ইতিমধ্যেই প্রথম টেস্ট খেলা হয়ে গিয়েছে দুই দলের। লর্ডসের প্রথম টেস্টে মাত্র আড়াই দিনে বড় ব্যবধানে জিতে সিরিজে লিড নেয় ইংল্যান্ড।এরপর বৃহস্পতিবার ট্রেন্টব্রিজে শুরু হয়েছে দ্বিতীয় টেস্ট। শুক্রবার দ্বিতীয় দিনের খেলা চলাকালীন এক নজির গড়ে ফেলেছেন ইংল্যান্ডের পেস বোলিং অলরাউন্ডার মার্ক উড। ৩৪ বছর বয়সি পেসার এদিন প্রথম থেকেই ছিলেন ফর্মে। বল হাতে প্রথম ওভারেই ঝরিয়েছেন আগুন। আর তার সঙ্গে গড়ে ফেলেছেন এক নয়া নজির। ইংল্যান্ডের মাটিতে টেস্টে ইংলিশ বোলারদের মধ্যে দ্রুততম বল করার নজির গড়েছেন তিনি।
দিনে নিজের প্রথম ওভার করতে এসেই এই নজির গড়েছেন মার্ক উড।নিজের প্রথম ওভারের পঞ্চম বলে একেবারে আগুন ঝরিয়েছেন তিনি। স্পিডোমিটার অনুযায়ী এই বলটি মার্ক উড করেছেন ৯৬.৫ মাইল প্রতি ঘন্টা গতিবেগে। এই ওভারের সবকটি বল তিনি করেছেন গড়ে ৯০ মাইল প্রতি ঘণ্টার উপরে। ফলে ইংল্যান্ডের মাটিতে টেস্টে দ্রুততম ওভার করার পাশাপাশি দ্রুততম বল করার ও নজির গড়ে ফেলেন তিনি। তবে এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। দিনে নিজের তৃতীয় ওভার বল করতে এসে নিজের গড়া রেকর্ড নিজেই ভেঙে ফেলেছেন তিনি। এই ওভারে বল হাতে ৯৭.১ মাইল প্রতি ঘণ্টা গতিবেগে একটি বল করে ইংল্যান্ডের মাটিতে দ্রুততম বল করার নজির ফের গড়েন তিনি। এদিন স্পিড গানে কার্যত আগুন লাগিয়ে দেন উড। প্রথম থেকেই নিজের আগুনে গতিতে বোলিং করা শুরু করেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে।
আরও পড়ুন… গাঁজা খেয়ে এসেছে নাকি- ধোনির সঙ্গে রিজওয়ানের তুলনা! পাক সাংবাদিকের ক্লাস নিলেন হরভজন
এদিন নিজের প্রথম ওভারের প্রথম বলটি তিনি করেন ৯৩.৯ মাইল প্রতি ঘন্টা অর্থাৎ ১৫১.১ কিঃমিঃ প্রতি ঘণ্টা গতিবেগে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটার মিকি লুইসকে তিনি বারবার তাঁর গতি এবং সুইংয়ে পরাস্ত করেন। ওই ওভারে তিনি একটি করেন ৯৬.১ মাইল প্রতি ঘণ্টা অর্থাৎ ১৫৪.৬৫ কিঃমিঃ প্রতি ঘন্টা গতিবেগে। এরপর ওভারের পঞ্চম বলে ৯৬.৫ মাইল প্রতি ঘণ্টা গতিবেগের ইয়র্কারে আউট করেন মিকি লুইসকে। গত বছর অ্যাসেজ সিরিজেও উডকে এমন আগুনে গতিতে বল করতে দেখা গিয়েছিল অজিদের বিরুদ্ধে। হেডিংলির তৃতীয় টেস্টে এমন আগুনে গতিতে বল করে ইংল্যান্ডের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন তিনি। ওই টেস্টে ইংল্যান্ড শেষ পর্যন্ত তিন উইকেটে জয় পেয়েছিল। ২০২২ সালের টি-২০ বিশ্বকাপে ও এমন আগুনে গতিতে তিনি বোলিং করেছিলেন নিউজিল্যান্ড, আফগানিস্তানের মতন দলের বিপক্ষে।