১ ম্যাচ বাকি থাকতেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওডিআই সিরিজ জিতে নিয়েছে ভারত। কটকে সিরিজের দ্বিতীয় ওডিআই ম্যাচে ৪ উইকেটে পরাজিত হয় বাটলাররা। এর আগে নাগপুরে সিরিজের প্রথম ম্যাচেও ৪ উইকেটে হারতে হয়েছিল। আর রবিবারের হারের পর ইংল্যান্ডের অধিনায়ক স্বীকার করে নিয়েছেন যে তাঁদের ব্যাটারদের ৩৫০ রান করার লক্ষ্য মাত্রা নেওয়া উচিত ছিল। সিরিজে সমতায় ফিরতে দ্বিতীয় ওডিআই-তে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ইংল্যান্ড। বেন ডাকেট (৬৫) এবং জো রুট (৬৯) ব্যাট হাতে ইংল্যান্ডের ইনিংসকে দিশা দেখান। পরে লিয়াম লিভিংস্টোন গুরুত্বপূর্ণ ৪১ রান যোগ করেন। তবে শেষ দুই ওভারে তিনটি রান-আউট হওয়ায় তাদের গতি কমে যায়। ৪৯.৫ ওভারে ৩০৪ রান তুলে অলআউট হয়ে যায় ইংল্যান্ড।
ম্যাচের শেষে এই প্রসঙ্গে ইংল্যান্ডের অধিনায়ক জোস বাটলার বলেন, ‘একটা সময় আমার মনে হয়েছিল আমরা সব কিছু ঠিক করছি। আমরা ব্যাটিংয়ে ঠিক জায়গায় রয়েছি। তবে আমার মনে হয় আমাদের কিছু ব্যাটসম্যানদের আরেকটু জ্বলে ওঠা দরকার ছিল এবং ৩৫০ রানের আশপাশে করা উচিত ছিল। রোহিতের তরফে একটা অসাধারণ ইনিংস দেখলাম। ও অনেকদিন ধরে ওডিআই ক্রিকেটে এটাই করে আসছে। প্রতিপক্ষ দল ভালো খেলেছে। আমাদের ৩৩০-৩৫০ করা উচিত ছিল। আমার মনে হয় তাহলে হয়তো আমরা তাদের আটকাতে পারতাম। ফলাফল আমাদের পক্ষে নয় , তবে আমাদের এখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে সঠিক পথে এগোতে হবে।’
রবিবার রান তাড়া করতে নেমে ভারতের হয়ে শুরুটা ভালোই করেছিল দুই ওপেনার -রোহিত শর্মা এবং শুভমন গিল। দুরন্ত শতরান করেন রোহিত। ৯০ বলে ১১৯ রান করেছিলেন তিনি। মারেন ১২টি চার এবং ৭টি ছয়। ৫২ বলে ৬০ রান করেন শুভমনও। ব্যাট হাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন শ্রেয়স আইয়ার এবং অক্ষর প্যাটেল। ৪৪ রান করে আউট হয়ে যান শ্রেয়স এবং ৪১ রানে অপরাজিত ছিলেন অক্ষর। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল রোহিত এবং শুভমনের প্রথম উইকেটের জন্য ১৩৬ রানের পার্টনারশিপ। ম্যাচ শেষে এই বিষয়ে শুভমন বলেন, ‘আমি নিজের খেলাটা উপভোগ করেছি। একই সঙ্গে রোহিত ভাইয়ের সঙ্গে ব্যাটিং করাটাও। তাঁকে দেখে মনে হচ্ছিল খুবই সহজ ব্যাট করাটা। তিনি বোলারদের নিয়ন্ত্রণ করছিল। আমাদের দু'জনের মধ্যে কথা হয়েছিল, বিষয়টা খুব সহজ ছিল। শুধু বল অনুযায়ী খেলা এবং খেলা নিয়ন্ত্রণ করা।’ উল্লেখ্য, ভারতের শেষ ওডিআই ম্যাচটি রয়েছে বুধবার, আমদাবাদে।