একজন খেলোয়াড় নিয়ম ভাঙায় বিরাট শাস্তি পেতে হল গোটা দলকে। এমনকি দলের খেতাব জয়ের আশা কার্যত শেষ হয়ে গেল একজন ক্রিকেটারের ভুলে। কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে ফিরোজ খুশির কারচুপি ধরা পড়ে যাওয়ায় এসেক্সের মাথায় কার্যত আকাশ ভেঙে পড়ে।
কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে এসেক্সের ওপেনার ফিরোজ চওড়া ব্যাট নিয়ে মাঠে নামায় পয়েন্ট কেটে নেওয়া হয় তাঁর দলের। গত এপ্রিলে নটিংহ্যামশায়ারে বিরুদ্ধে ম্যাচে এমন কাণ্ড ঘটান ফিরোজ। তিনি নিধার্রিত পরিমাপের তুলনায় বড় ব্যাট নিয়ে মাঠে নেমে পড়েন। নটিংহ্যামশায়ারের বিরুদ্ধে সেই ম্যাচে ২৫৪ রানে জয় তুলে নেয় এসেক্স। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ফিরোজ নিয়ম ভাঙায় এসেক্সের ১২ পয়েন্ট কেটে নেওয়া হয়।
ট্রেন্ট ব্রিজের সেই ম্য়াচে এসেক্সের দ্বিতীয় ইনিংস চলাকালীন ফিরোজের ব্যাট নিয়ে সংশয় দেখা দেয়। ফলে আম্পায়াররা তাঁর ব্যাট পরীক্ষা করে দেখেন। ব্যাটের সাইজ মেপে দেখা হয়। যাতে ধরা পড়ে যে, ফিরোজ নির্ধারিত পরিমাপের তুলনায় চওড়া ব্যাট নিয়ে মাঠে নেমেছেন।
১২ পয়েন্ট খোয়াতে হওয়ায় টেবিল টপার সারের থেকে বড় ব্যবধানে পিছিয়ে পড়তে হয় এসেক্সকে। স্বতন্ত্র জুরি বোর্ড এক্ষেত্রে কড়াভাবে সতর্ক করে রাখে এসেক্সকে। যদিও আগামী ২ বছরের দলের কেউ কোনও টুর্নামেন্টে ফের একই চেষ্টায় ধরা পড়েন, তবে এসেক্সের অর্ধেক পয়েন্ট কেটে নেওয়া হবে।
নটিংহ্যামশায়ার বনাম এসেক্স সেই ম্যাচের ফলাফল
নটিংহ্যামশায়ারের বিরুদ্ধে সেই ম্যাচে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে এসেক্স। তারা প্রথম ইনিংসে ২৫৩ রানে অল-আউট হয়ে যায়। চওড়া ব্যাট নিয়ে খেলতে নামা ফিরোজ মাত্র ১৮ রান করে আউট হন। ডিন এলগার ৮০ ও জর্ডন কক্স ৮৪ রান করেন। নটিংহ্যামশায়ারের ডেন প্যাটারসন প্রথম ইনিংসে ৫টি উইকেট দখল করেন।
পালটা ব্যাট করতে নেমে নটিংহ্যামশায়ার তাদের প্রথম ইনিংসে তোলে ২৯৩ রান। ১০৪ রান করেন জো ক্লার্ক। জ্যাক হেইনস ৭৭ রান করেন। এসেক্সের স্যাম কুক ৪টি উইকেট নেন।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে এসেক্স ৯ উইকেটে ৩৭৪ রান তুলে ব্যাট ছেড়ে দেন। পল ওয়াল্টার ৭৯ রান করেন। ফিরোজ দ্বিতীয় ইনিংসে ৩২ রান করেন।
শেষ ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে নটিংহ্যামশায়ার মাত্র ৮০ রানে অল-আউট হয়ে যায়। জো ক্লার্ক ১৯ রান করেন। এসেক্সের স্যাম কুক শেষ ইনিংসে ৬টি উইকেট দখল করেন।