কিছুদিন আগে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি একটি বিবৃতি দিয়েছিলেন, যেখানে তিনি পাকিস্তানের ঘরোয়া ক্রিকেটের প্রশংসা করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন যে নির্বাচকদের জন্য খেলোয়াড়দের একটি ভালো পুল প্রস্তুত করা হচ্ছে। তবে নাকভির দাবি যে কতটা ভুল সেটাই ফাঁস করেছেন পাকিস্তানের ফাস্ট বোলার ফাহিম আশরাফ। তিনি বলেন, ঘরোয়া ক্রিকেটে আম্পায়ারিংয়ের মান অনেক নীচে নেমে গিয়েছে। আম্পায়ারদের সঙ্গে সকলের সেটিং থাকে, পাকিস্তানের ঘরোয়া ক্রিকেটের কথা ফাঁস করলেন পাক তারকা ফাহিম আশরাফ।
ঘরোয়া ক্রিকেটের প্রশংসা করেছিলেন পিসিবি-র চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি
কিছুদিন আগে ঘরোয়া ক্রিকেটের প্রশংসা করেছিলেন মহসিন নাকভি। পিসিবি-র চেয়ারম্যান বিশ্বাস করেন যে ১৫০ জন খেলোয়াড় বাছাইয়ে AI এর সহায়তায় চ্যাম্পিয়ন্স কাপ ঘরোয়া ক্রিকেটকে শক্তিশালী করবে এবং ভবিষ্যতে নির্বাচনের জন্য স্বচ্ছ রেকর্ড সরবরাহ করবে।
চ্যাম্পিয়ন্স কাপ থেকে অনেক আশা ছিল মহসিন নাকভির
পিসিবি-র চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি বলেছিলেন, ‘আমাদের অনেক খেলোয়াড় ছিল যাদের রেকর্ড আমাদের নেই। এই কাপ ঘরোয়া ক্রিকেটকে শক্তিশালী করবে, আমাদের ১৫০ জন খেলোয়াড়ের পুল থাকবে এবং তারপরে আমাদের যে সার্জারি করতে হবে তা নির্বাচক কমিটি করবে। চ্যাম্পিয়ন্স কাপ সেপ্টেম্বরে শেষ হবে এবং তারপরে সবার জন্য রেকর্ড থাকবে। যে কেউ পারফর্ম না করলে অবিলম্বে বদলি করা হবে। এটা কারোর ব্যক্তিগত মতামত ও ইচ্ছার উপর নির্ভর করবে না।’
বিস্ফোরক দাবি করেন ফাহিম আশরাফ
চ্যাম্পিয়ন্স কাপে ম্যাচ শেষে আম্পায়ারিং নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করেন ফাহিম আশরাফ। পাকিস্তানের এই ক্রিকেটার দেশের আম্পায়ারিং নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন, যা মহসিন নাকভির বিবৃতিকে ভুল প্রমাণ করে। তিনি বলেন, ‘ঘরোয়া ক্রিকেটে আম্পায়ারিংয়ের মান ভালো নয়। এটা এখানে যেমন আছে কিন্তু এটা সকলের কাছে দৃশ্যমান। এখানে ঘরোয়া ক্রিকেটে কীভাবে আম্পায়ারিং করা হয় তা সকলেরই জানা।’
আরও পড়ুন… IND vs BAN Test: ৪০০-র মধ্যে ভারতকে গুটিয়ে দেবে বাংলাদেশ- দ্বিতীয় দিনের আগে মাহমুদ হাসানের হুঙ্কার
এরপরে তিনি বলেন, ‘কখনও আমরা তাদের দিয়ে সংখ্যা তৈরি করি আবার কখনও তারা সেটা করে। সেখানে বন্ধুত্ব চলতে থাকে। সেই ম্যাচগুলো কেউ দেখে না। তাই সেখানে অনেক কিছু ঘটে থাকে। এমন অনেকবার হয়েছে যেখানে আমাদের ছেলেরা আউট হওয়ার পরও খেলে গিয়েছেন, কারণ তাদের কাউকে আউট দেওয়া হয় না। কিছু বোলার আছে যারা প্রতি বলেই আউট, আউট করে চিৎকার করে থাকে, যদিও তারা জানে যে, যেই আবেদন তারা করছে সেটা ভুল। পিসিবি-র এই দিক গুলো দেখা উচিত এবং কাকে কোথায় রাখা উচিত। কে কার যোগ্য?’