একই অপরাধের জন্য সমান শাস্তি হওয়া উচিত ছিল মহম্মদ সিরাজ ও ট্র্যাভিস হেডের। তবে আইসিসি এক্ষেত্রে হেডের তুলনায় গুরুদণ্ড দেয় মহম্মদ সিরাজকে। হেডকে শুধু সতর্ক করেই ছেড়ে দেওয়া হয়। সিরাজকে গুণতে হয় আর্থিক জরিমানা। যদিও দুই ক্রিকেটারের ডিসিপ্লিনারি রেকর্ডে ১টি করে ডিমেরিট পয়েন্ট যোগ হয় অ্যাডিলেড টেস্টে ঝগড়া করার জন্য।
এখন প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক যে, এক্ষেত্রে সিরাজকে কেন বেশি শাস্তি দেওয়া হল? আসলে সিরাজ দোষি সাব্যস্ত হন আইসিসির আচরণবিধির ২.৫ ধারা অনুযায়ী, যেখানে একজন ক্রিকেটারের আচরণ, অঙ্গভঙ্গি বা কথায় উত্তেজিত হয়ে আউট হওয়া ব্যাটার আগ্রাসী আরচণ করে বসেন। অর্থাৎ, আইসিসির মতে বোলার সিরাজের আচরণই নাকি এক্ষেত্রে হেডকে কথার লড়াইয়ে জড়াতে বাধ্য করেছে।
অন্যদিকে হেড দোষি সাব্যস্ত হন আইসিসির আচরণবিধির ২.১৩ ধারায়, যেখানে শুধুমাত্র কোনও ক্রিকেটারের সহ-খেলোয়াড়, প্রতিপক্ষ, সাপোর্ট স্টাফ এবং আম্পায়ার তথা ম্যাচ অফিসিয়ালের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের কথা উল্লেখ করা রয়েছে।
মহম্মদ সিরাজ ও ট্র্যাভিস হেডের মধ্যে কী ঘটেছিল অ্যাডিলেডে
অ্যাডিলেড টেস্টের দ্বিতীয় দিনে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের ৮১.৪ ওভারে ট্র্যাভিস হেডকে দুর্দান্ত ইয়র্কার ডেলিভারিতে বোল্ড করেন মহম্মদ সিরাজ। যেহেতু তার ঠিক আগেই সিরাজকে ছক্কা মারেন হেড, তাই অজি তারকাকে ফিরিয়ে আগ্রাসী মেজাজে সেলিব্রেট করতে দেখা যায় সিরাজকে। যা দেখে হেড মাঠ ছাড়ার সময় বাক্যবাণ ছুঁড়ে দেন সিরাজের দিকে। তার পরেই সিরাজকে দেখা যায় হাত উঁচিয়ে হেডকে মাঠ ছাড়ার নির্দেশ দিতে।
আরও পড়ুন:- SMAT 2024: কবে-কোথায়-কাদের বিরুদ্ধে মুস্তাক আলির কোয়ার্টার ফাইনাল খেলবে বাংলা?
আইসিসি কী শাস্তি দেয় দুই ক্রিকেটারকে
সিরাজকে আচরণবিধির ২.৫ ধারায় দোষি সাব্যস্ত করা হয় এবং তাঁর ম্যাচ ফি-র ২০ শতাংশ জরিমানা করা হয়। সেই সঙ্গে ভারতীয় তারকার ডিসিপ্লিনারি রেকর্ডে ১টি ডিমেরিট পয়েন্ট যোগ হয়। ট্র্যাভিস হেডকে আচরণবিধির ২.১৩ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়। তাঁকে আর্থিক জরিমানা করা হয়নি। তবে হেডেরও ডিসিপ্লিনারি রেকর্ডে ১টি ডিমেরিট পয়েন্ট যোগ হয়। দুই ক্রিকেটারই নিজেদের দোষ স্বীকার করে নিয়েছেন।
নিজেদের সাফাইয়ে হেড ও সিরাজ কী বলেন
ট্র্যাভিস হেড অ্যাডিলেডেই সিরাজের সঙ্গে তাঁর ঝামেলার বিষয়ে মুখ খোলেন। হেড দাবি করেন যে, তিনি নাকি সিরাজকে বলেছিলেন ‘ওয়েল বোল্ড’। যদিও পরে সিরাজ স্পষ্ট জানান যে, হেড এক্ষেত্রে মিথ্যা বলছেন। তিনি নাকি অন্য কথাই বলেছিলেন মাঠে। যদিও হেড ঠিক কী বলেছিলেন, সেটা খোলসা করেননি টিম ইন্ডিয়ার তারকা পেসার। দুই ক্রিকেটারকেই আইসিসি শাস্তি দেওয়ায় এটা স্পষ্ট হয়ে যায় যে, ধোয়া তুলসিপাতা ছিলেন না হেড।