আক্ষরিক অর্থেই জলে গেল ফ্যাফ ডু'প্লেসির মারকাটারি সেঞ্চুরি। মঙ্গলবার মেজর লিগ ক্রিকেটে চার-ছক্কার ঝড় ওঠে। তবে প্রকৃতি বাধ সাধায় ধুমধাড়াক্কা ক্রিকেট সত্ত্বেও ম্যাচের ফলাফল নির্ধারণ সম্ভব হয়নি। যদিও বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হওয়ার আগে ক্রিকেটপ্রেমীদের যারপরনাই আপ্লুত করে স্টিভ স্মিথ-ট্যাভিস হেডদের ব্যাটিং।
মঙ্গলবার মরিসভিলে চলতি মেজর লিগ ক্রিকেটের পঞ্চম লিগ ম্যাচে সম্মুখসমরে নামে ফ্যাফ ডু'প্লেসির টেক্সাস সুপার কিংস ও স্টিভ স্মিথের নেতৃত্বাধীন ওয়াশিংটন ফ্রিডম। টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে সুপার কিংস। তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ২০৩ রানের বিশাল ইনিংস গড়ে তোলে।
ডেভন কনওয়েকে সঙ্গে নিয়ে ওপেন করতে নামেন ক্যাপ্টেন ডু'প্লেসি। ওপেনিং জুটিতেই ১০০ রানের গণ্ডি টপকে যায় টেক্সাস। তারা পাওয়ার প্লে-তে কোনও উইকেট না হারিয়ে ৬৭ রান সংগ্রহ করে। ডু'প্লেসি ৮টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৩২ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তিনি শতরানের গণ্ডি টপকান ১২টি চার ও ৫টি ছক্কার সাহায্যে ৫৬ বলে। শেষমেশ ৫৮ বলে ১০০ রান করে আউট হন সুপার কিংসের ক্যাপ্টেন ফ্যাফ।
ডেভন কনওয়ে ৩টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ২৬ বলে ৩৯ রান করে সাজঘরে ফেরেন। ১৮ বলে ২৯ রানের যোগদান রাখেন মার্কাস স্টইনিস। তিনি ৪টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। ১টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৯ বলে ১১ রান করে অপরাজিত থাকেন মিলিন্দ কুমার। ডোয়েন ব্র্যাভো ১টি বাউন্ডারির সাহায্যে ২ বলে ৫ রান করে নট-আউট থাকেন।
ওয়াশিংটন ফ্রিডমের হয়ে ৪ ওভারে ৩৩ রান খরচ করে ২টি উইকেট সংগ্রহ করেন সৌরভ নেত্রভালকর। মারকো জানসেন ১টি উইকেট নিলেও ৪ ওভারে ৪৭ রান খরচ করেন। ৩ ওভারে ৩২ রান খরচ করে ১টি উইকেট সংগ্রহ করেন আকিল হোসেন। এছাড়া জাস্টিন ডিল ৩ ওভারে ৩৫ রান খরচ করে ১টি উইকেট নেন। উইকেট পাননি লকি ফার্গুসন ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল।
জয়ের জন্য ২০৪ রানের লক্ষ্যমাত্রা সামনে নিয়ে পালটা ব্যাট করতে নামে ওয়াশিংটন ফ্রিডম। তারা মাত্র ৪ ওভারে কোনও উইকেট না হারিয়ে ৬২ রান তুলে ফেলে। তবে তার পরেই বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হয়ে যায়। ম্যাচ পুনরায় শুরু করা না গেলে পরিত্যক্ত ঘোষিত হয়। উভয় দলকে ভাগ করে দেওয়া হয় ১ পয়েন্ট করে।
ট্র্যাভিস হেড ১২ বলে ৩২ রান করে অপরাজিত থাকেন। তিনি ৪টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। ১৩ বলে ২৬ রান করে নট-আউট থাকেন স্টিভ স্মিথ। তিনি ১টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন। সুতরাং, ম্যাচের দুই ইনিংস মিলিয়ে খেলা হয় সাকুল্যে (২০+৪) ২৪ ওভার। উইকেট পড়ে ৫টি এবং রান ওঠে (২০৩+৬২) মোট ২৬৫। দুই ইনিংস মিলিয়ে বাউন্ডারি দেখা যায় ২৬টি এবং ব্যাটাররা ছক্কা মারেন মোট ১২টি। এমন ধুমধাড়াক্কা ম্যাচের মজা মাটি হয় বৃষ্টিতে।