টি২০ ক্রিকেটের ইতিহাসে দ্বিতীয় বারের মতো ভারত ১০ উইকেটে জয় ছিনিয়ে নেয় শনিবার। জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে চতুর্থ টি২০-তে ১০ উইকেটে জেতার পাশাপাশি সিরিজও পকেটে পুরে ফেলেছে ভারত। শনিবার হারারে স্পোর্টস ক্লাবে ভারত অধিনায়ক শুভমন গিল এবং যশস্বী জয়সওয়াল অপরাজিত ১৫৬ রানের ওপেনিং পর্টনারশিপের হাত ধরেই ভারত ম্যাচ জিতে যায়।
যশস্বী জয়সওয়াল সিরিজের চতুর্থ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে জিম্বাবোয়ের বোলারদের নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা করে। ১৫৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে, প্রথম ওভারে রিচার্ড নাগারভাকে পিটিয়ে ১৫ রান নেন। এর পর আর যশস্বীকে পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। এবং শুভমন গিল কার্যত যশস্বীর ইনিংস পুরোটাই উপভোগ করেছেন।
পাওয়ারপ্লেতে দুই তারকা মিলে ৬১ রান করে ফেলেছিলেন। আর এই ৬১ রানের মধ্যে যশস্বী জয়সওয়াল ৪৭ রান করেন যশস্বী একা। শুভমন গিল বরং শুরুর দিকে অনেক মন্থর খেলছিলেন। তবে তিনিও শীঘ্রই যশস্বীর সঙ্গে পাল্লা দিতে শুরু করেন। যার ফলে ভারত মাত্র ১৫.২ ওভারে রান তাড়া ম্যাচ জিতে যায়।
আরও পড়ুন: খেলার হলে খেলো, আমরা টিম পাঠাব না- পাকিস্তানের লাইভ টিভি শো-তে চাঁচাছোলা হরভজন
তবে শুভমনের নেতৃত্বে ভারত বড় জয় পেলেও, সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর সমালোচনার শিকার হতে হয়। এবং তাঁকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করা হয়। তাও যশস্বী জয়সওয়ালের জন্য। ক্রিকেট ভক্তদের দাবি, জয়সওয়ালকে প্রাপ্য সেঞ্চুরি থেকে ইচ্ছাকৃত ভাবে বঞ্চিত করেছেন শুভমন। তার জন্য তাঁরে ‘স্বার্থপর’এর তকমাও দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: যশস্বী এবং শুভমন নতুন করে রেকর্ড বই লিখলেন, বড় নজির গড়লেন ভারতের ওপেনিং জুটি
প্রসঙ্গত, জয়সওয়াল পাওয়ারপ্লে-র পরের ওভারে মাত্র ২৯ বলে তাঁর হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। গিলের তখন ১০ বলে ১৩ রান। এর পর জয়সওয়াল ৫৩ বলে ৯৩ করে অপরাজিত থাকেন। কিন্তু সেঞ্চুরি করতে পারেননি। যখন ৮৩ রানে ব্যাট করছিলেন যশস্বী, তখন জয়ের জন্য ভারতের ২১ রান প্রয়োজন ছিল। আর শুভমন গিলের তখন ৩৪ বলে ৪৮ রান ছিল। ভক্তরা আশা করেছিলেন, গিল জয়সওয়ালকে তাঁর সেঞ্চুরি পূর্ণ করতে দেবেন। কিন্তু অধিনায়ক নিজের হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করার জন্য শেষ ছয় বলে একটি বাউন্ডারি এবং একটি ছক্কা মারেন। যার ফলে যশস্বী আর শতরান করার সুযোগই পাননি। আর এর পরেই শুভমনকে ধুইয়ে দিয়েছে নেটপাড়া।
যশস্বী অবশ্য এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। তিনি বরং দাবি করেছেন, শুভমনের সঙ্গে ব্যাটিং উপভোগ করেছেন তিনি। যশস্বী বলেছেন, ‘আমি এই ম্যাচে সত্যিই ব্যাটিং উপভোগ করেছি। বিভিন্ন বোলারের জন্য আমার পরিকল্পনা ছিল। বলটি যখন নতুন ছিল এবং পুরানো হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছুটা ধীরগতির হয়ে পড়ে। শুভমনের সঙ্গে ব্যাটিং করাটা আমি উপভোগ করেছি।’ সঙ্গে তিনি যোগ করেছেন, ‘আমি বুঝতে পেরেছি এবং নিজের খেলা পরিবর্তন করেছি। আমরা সত্যিই একসঙ্গে খেলাটা উপভোগ করেছি। এবং শেষ পর্যন্ত আমি থাকতে চেয়েছিলাম।’