কয়েক সপ্তাহ পরই শুরু টি২০ বিশ্বকাপ। সেখানে একে অপরের মুখোমুখি হবে ভারত এবং পাকিস্তান। এর আগে শেষবার দুই দল মুখোমুখি হয়েছিল ওডিআই বিশ্বকাপে আহমেদাবাদে। দীর্ঘ দেড় দশকের বেশি সময় ধরে পাকিস্তানের মাটিতে সিরিজ খেলতে যায় নি ভারত। মুম্বইয়ের তাজ হোটেলে হামলার পর পাকাপাকিভাবে সেদেশে না খেলতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। এক্ষেত্রে বিসিসিআইয়ের কিছু করার নেই, কারণ এই সিদ্ধান্ত তাঁদের হাতে নয়। কেন্দ্রীয় সরকার ছাড়পত্র না দিলে তাঁদের পক্ষে খেলা সম্ভব নয়। ক্রিকেটের সঙ্গে রাজনীতি মেলানো উচিত নয় এমন কথা শোনা গেলেও, পাল্টা ভারত সরকারের তরফ থেকেও বলা হয়েছে রক্তপাত এবং ক্রিকেট একসঙ্গে চলতে পারে না। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়ে দিলেন সেদেশের সঙ্গে ততদিন দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলবে না ভারত, যতদিন না তাঁরা সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ বন্ধ করবেন।
আরও পড়ুন-‘আমার ভাইয়ের জন্য গর্বিত’,বিদায়লগ্নে সুনীলকে বার্তা বিরাট কোহলির
কয়েক বছর আগে পুলওয়ামার জঙ্গি হামলার কথা এখনও মনে রয়েছে ভারতীয়দের। ভ্যালেন্টাইনস ডের দিন নির্মম ভাবে ভারতীয় সেনার কনভয়ে হামলা চালিয়েছিল পাকিস্তানি মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। এছাড়া মুম্বই হামলার মাস্টার মাইন্ড হাফিজ সইদকেও তাঁরা বারবার আড়াল করার চেষ্টা করে গেছে। এরই মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ নিয়ে পাকিস্তানকে নিজেদের অবস্থানের কথা স্পষ্ট করলেন কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। পাশাপাশি পাক অধিকৃত কাশ্মীর নিয়েও দিলেন কড়া বার্তা।
এক অনুষ্ঠানে গিয়ে ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, ‘ পাকিস্তানের অবশ্যই উচিত সবার আগে, সিমান্তে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ বন্ধ করা, যদি দুই দেশের মধ্যে ক্রিকেটের সম্পর্ক ফেরাতে চায়। কেউ যদি তোমায় কটুক্তি করে, তাঁকে কি তুমি তোমার বাড়ির বিয়ের অনুষ্ঠানে কখনও ডাকবে? এক্ষেত্রেও বিষয়টা তাই। যতদিন না তারা অশান্তির পথ ত্যাগ করবে, ততদিন পাকিস্তানের ক্রিকেটারদেরও আইপিএলে সুযোগ দেওয়া যাবে না। নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর কাশ্মীরে কিছুটা শান্তি ফিরলেও এখনও তাঁদের হাতে বন্দুক রয়েছে। অধিকাংশ ভারতীয় চাননা পাকিস্তানের সঙ্গে ক্রিকেটের সম্পর্ক ফের স্থাপন করতে বা তাঁদের আইপিএলে খেলার সুযোগ দিতে’।
আরও পড়ুন-'সুনীলকে ছাড়া ভারতীয় ফুটবল ভাবতেই পারছি না,দেশের জন্য ওকে ফিরতে হবে',বললেন জেজে
শেষ কয়েক মাসে বারবার অশান্ত হয়েছে পাক অধিকৃত কাশ্মীর। এক্ষেত্রে সেখানকার মানুষ ভারতের অংশ হতে চান বলেই দাবি করেন বিদেশমন্ত্রী। তাঁর কথায়, পিওকে ভারতেরই অঙ্গ হওয়া উচিত। ভারতীয়রা এখন পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরকে নিজেদের দেশের অঙ্গ হিসেবে ভাবা শুরু করেছে, কারণ তাঁরা জানেন নরেন্দ্র মোদী সেটা করতে পারে। এক্ষেত্রে ৩৭০ ধারা বিলোপের পাশাপাশি উপত্যকায় উন্নয়নমূলক কাজ সকলেরই নজরে এসেছে, বলে জানিয়েছেন এস জয়শঙ্কর।