কলকাতা নাইট রাইডার্সের বেস ক্যাম্প বাংলায় হলেও কেকেআরে বাংলার কোনও ক্রিকেটার নেই। অবশ্য এটা নতুন কিছু নয়। বেশ কয়েক মরশুম ধরেই বাংলার ক্রিকেটারদের দলে নেয় না নাইট রাইডার্স। শেষ কবে নাইটদের জার্সিতে কোনও বাংলার খেলোয়াড় মাঠে নেমেছেন, সেটা জানতে ইতিহাসবিদদের খোঁজ করতে হবে। যদিও অন্যান্য ফ্র্যাঞ্চাইজিতে ছবিটা মোটেও একইরকম নয়। স্থানীয় ক্রিকেটারদের দিক থেকে এভাবে মুখ ফিরিয়ে থাকে না আইপিএলের কোনও দলই।
যদিও আইপিএলের শুরুর দিকে ছবিটা এরকম ছিল না মোটেও। প্রথম দিকে নাইট রাইডার্সের স্কোয়াডে বাংলার খেলোয়াড় ছিলেন বেশ কয়েকজন। ২০০৮ সালের উদ্বোধনী মরশুমে কেকেআরের হয়ে মাঠ নামেন বাংলার ৫ জন ক্রিকেটার। দলকে নেতৃত্ব দেন এক বাঙালি। টুর্নামেন্টের ইতিহাসের প্রথম ম্যাচেই কেকেআরের জার্সিতে খেলতে নামেন বাংলার চারজন ক্রিকেটার।
২০০৮ সালে কেকেআরের স্কোয়াডে ছিলেন বাংলার সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, অশোক দিন্দা, রক্ষ্মীরতন শুক্লা, ঋদ্ধিমান সাহা ও দেবব্রত দাস। দেবব্রত ছাড়া বাকি চারজন আরসিবির বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের উদ্বোধনী ম্যাচে মাঠে নামেন নাইটদের হয়ে। ক্যাপ্টেন ছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। এছাড়া সেবার স্কোয়াডে প্রাথমিকভাবে বিবেচিত হয়েছিলেন রোহন বন্দ্যোপাধ্যায়, রণদেব বোস ও সৌরাশিস লাহিড়িও। তবে পরে এই তিনজনকে স্কোয়াড থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
২০০৮ সালে আইপিএলের প্রথম মরশুমে কেকেআরের হয়ে বাংলার ক্রিকেটারদের পারফর্ম্যান্স
১. ঋদ্ধিমান সাহা- ২০০৮ সালে কেকেআরের হয়ে ১২টি ম্যাচে মাঠে নামেন ঋদ্ধিমান সাহা। তিনি ১০টি ইনিংসে ব্যাট করে ১৫৯ রান সংগ্রহ করেন। হাফ-সেঞ্চুরি করেন ১টি।
২. সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়- সৌরভ ২০০৮ সালে কেকেআরের হয়ে ১৩টি ম্যাচে ব্যাট করে ৩৪৯ রান সংগ্রহ করেন। তিনি হাফ-সেঞ্চুরি করেন ৩টি। সৌরভ ৭টি ইনিংসে বল করে ৬টি উইকেটও দখল করেন।
৩. লক্ষ্মীরতন শুক্লা- ২০০৮ সালে কেকেআরের হয়ে ১২টি ইনিংসে ব্যাট করে ১৬৩ রান সংগ্রহ করেন লক্ষ্মীরতন শুক্লা। তিনি ৯টি ইনিংসে বল করে ৬টি উইকেট পকেটে পোরেন।
৪. আশোক দিন্দা- দিন্দা ২০০৮ সালে নাইট রাইডার্সের হয়ে ১২টি ইনিংসে বল করে সাকুল্যে ৯টি উইকেট দখল করেন। ৩টি ইনিংসে ব্যাট করে মোটে ২ রান সংগ্রহ করেন তিনি।
৬. দেবব্রত দাস- ২০০৮ সালে কেকেআরের হয়ে দেবব্রত ৬টি ইনিংসে ব্যাট করে সাকুল্যে ১০৩ রান সংগ্রহ করেন।
২০২৫ আইপিএলের জন্য কেকেআরের স্কোয়াড
অজিঙ্কা রাহানে (মুম্বই), রিঙ্কু সিং(উত্তরপ্রদেশ), অংকৃষ রঘুবংশী (মুম্বই), রোভম্যান পাওয়েল (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), মণীশ পান্ডে (কর্ণাটক), কুইন্টন ডি'কক (দক্ষিণ আফ্রিকা), রহমানউল্লাহ গুরবাজ (আফগানিস্তান), লুবনিথ সিসোদিয়া (কর্ণাটক), বেঙ্কটেশ আইয়ার (মধ্যপ্রদেশ), অনুকূল রায় (ঝাড়খণ্ড), মইন আলি (ইংল্যান্ড), রমনদীপ সিং (পঞ্জাব), আন্দ্রে রাসেল (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), সুনীল নারিন (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), এনরিখ নরকিয়া (দক্ষিণ আফ্রিকা), বৈভব আরোরা (হিমাচলপ্রদেশ), মায়াঙ্ক মার্কান্ডে (পঞ্জাব), স্পেনসার জনসন (অস্ট্রেলিয়া), চেতন সাকারিয়া (সৌরাষ্ট্র), হর্ষিত রানা (দিল্লি) ও বরুণ চক্রবর্তী (তামিলনাড়ু)।