একবার জ্বলছে, একবার নিভছে- ফ্লাডলাইটের সেই বিপত্তির জেরে কটকে থমকে থাকল ভারতের ম্যাচ। এমনই পরিস্থিতি তৈরি হয় যে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যেতে বাধ্য হন খেলোয়াড়রা। আর যে সময় খেলোয়াড়দের মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যেতে হয়, তখন রোহিত শর্মারা ছন্দে ছিলেন। ইংল্যান্ডের বোলারদের উপরে ছড়ি ঘোরাচ্ছিলেন ভারতীয় অধিনায়ক এবং শুভমন গিল। কিন্তু ফ্লাডলাইটের বিপত্তির কারণে সেই ছন্দে ইতি পড়ে যায়। তাতে রোহিত যে খুব একটা খুশি হবেন না, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কারণ দীর্ঘদিন একেবারেই ফর্মে নেই রোহিত। ব্যাটে নেই ছন্দ। বহুদিন পরে আজ কিছুটা ট্রেডমার্ক রোহিতকে দেখা যাচ্ছিল। কিন্তু ফ্লাডলাইটের কারণে তাঁর সেই ছন্দে ব্যাঘাত ঘটে যায়। শেষপর্যন্ত প্রায় ৩০-৩৫ মিনিট পরে ফের খেলা শুরু হয়।
একবার খেলা শুরু হয়, তারপর ফের সমস্যা হয় ফ্লাডলাইটে
আর ফ্লাডলাইটের সমস্যার সূত্রপাত হয় ভারতের ব্যাটিং ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারের পরে। কটকের বারবাটি স্টেডিয়ামে যে ছ'টি ফ্লাডলাইট আছে, তার মধ্যে একটি নিভে যায়। কিছুক্ষণ পরে আবার ধীরে-ধীরে জ্বলতে শুরু করে দেয়। পুরোপুরি ফ্লাডলাইট জ্বলে যেতে আবার খেলা শুরু হয়। একটা বল খেলেন শুভমন গিল। কিন্তু তারপর আবারও সেই ফ্লাডলাইট নিভে যায়। একবার জ্বলতে থাকে, আবার একবার নিভে যেতে থাকে।
সেই পরিস্থিতিতে খেলা থমকে থাকে। একটা সময় মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যান রোহিত, শুভমন ও ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়রা। বাউন্ডারি লাইনে পুরোপুরি তৈরি হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন বিরাট কোহলি। তিনিও ফিরে যান ডাগ-আউটে। গিল, বিরাট, ঋষভ পন্ত, আর্শদীপ সিং এবং যশস্বী জয়সওয়ালদের মজা করতে দেখা যায়। তবে রোহিতকে সেইসময় দেখা যায়নি।
আগের কয়েকদিন সমস্যা হয়নি, আজই ঝুলিয়ে দিল ফ্লাডলাইট!
তারইমধ্যে কটকের যে ফ্লাডলাইটে বিভ্রাট হচ্ছিল, তা ঠিক করে ফেলা হয়। তারপর শুরু হয় খেলা। বিষয়টি নিয়ে সরকারিভাবে কিছু জানানো না হলেও ওড়িশা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে খবর, ম্যাচের জন্য দিনপাঁচেক ধরে ফ্লাডলাইটের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছিল। সেইসময় কোনও বিপত্তি হয়নি। ঠিকভাবেই সবকিছু হচ্ছিল। কিন্তু আজই বিপত্তি হল। ফ্লাডলাইটের সঙ্গে যে জেনারেটর ছিল, তাতে বিভ্রাট হয়েছিল। আর সেটা পালটে দিয়ে ফের ম্যাচ শুরু করা হয় বলে সূত্রের খবর।
জয়ের জন্য এখনও ২৫৭ রান চাই ভারতের
আর সেইসব সামলে যখন ফের খেলা শুরু হয়, তখন ভারতের স্কোর ছিল ৬.১ ওভারে বিনা উইকেটে ৪৮ রান। ১৮ বলে ২৯ রানে খেলছিলেন রোহিত। আর ১৯ বলে ১৭ রানে খেলছিলেন গিল। অর্থাৎ জয়ের জন্য ৪৩.৫ ওভারে ২৫৭ রান বাকি ছিল ভারতের। কারণ রবিবার প্রথমে ব্যাট করে ৩০৪ রান তোলে ইংল্যান্ড। ৭২ বলে ৬৯ রান করেন জো রুট। ৫৬ বলে ৬৫ রান করেন বেন ডাকেট। ৩২ বলে ৪১ রান করেন লিয়াম লিভিংস্টোন। ভারতের হয়ে ১০ ওভারে ৩৫ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন।