২০২৪ আইপিএলে প্লে অফের যোগ্যতা অর্জনের জন্য শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ১৭ রান। বল করতে আসেন যশ দয়াল। ওভারের প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকান মহেন্দ্র সিং ধোনি। ফিরে আসে এক বছর আগের রিঙ্কু সিংয়ের পাঁচ বলে পাঁচটি ছয় হাঁকানোর স্মৃতি। এর পর শেষ ৫ বলে প্রয়োজন ছিল ১১ রান। রবীন্দ্র জাদেজা এবং ধোনির আয়ত্তের মধ্যেই ছিল এই রান।। কিন্তু দ্বিতীয় বলেই ধোনিকে সাজঘরের রাস্তা দেখান যশ দয়াল। তৃতীয় বলে রান নিতে পারেননি ধোনির পরবির্তে ক্রিজে আসা শার্দুল ঠাকুর। চতুর্থ বলে ১ রান নিলেও, শেষ দুই বলে ব্যাট ছোঁয়াতেই পারেননি জাদেজা।
এক বছর আগে গুজরাটের খলনায়কই, শনিবার হলেন আরসিবি-র আসল হিরো
শনিবার আরসিবি-কে প্লে-অফে তুলে নিঃসন্দেহে নায়ক হয়ে যান যশ দয়াল। প্রথম বলে ধোনির বিশাল ছক্কার পরেও, ঘাবড়াননি দয়াল। দারুণ ভাবে প্রত্যাবর্তন করেন। অথচ গত বছর কলকাতা নাইট রাইডার্সের রিঙ্কু সিংয়ের কাছে পরপর পাঁচ বলে পাঁচটি ছক্কা হজম করেছিলেন গুজরাট টাইটান্সের যশ দয়াল। যার জেরে হারতে হয়েছিল দলকে। এদিন ৫ বলে ১১ রান হতে না দিয়ে যেন সেদিনের প্রায়শ্চিত্ত করলেন যশ।
আরও পড়ুন: তিন জন প্রধান প্লেয়ারের চোটই পার্থক্য গড়ে দিল- প্লে-অফে উঠতে না পারার অজুহাত রুতুরাজের
ক্রিকেটে কী ঘটবে, তা অনুমান করা কার্যত অসম্ভব। যা কখনও কখনও অসম্ভব মনে হয়, সেটাই সম্ভব হয়ে যায়। সহজ হিসেবটা হয়ে উল্টে জটিল। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর গল্পও একই রকম। আরসিবি শনিবার অসম্ভবকে সম্ভব করে তুলেছে। তারা সিএসকে-কে নির্দিষ্ট অঙ্কের হিসেব মিলিয়ে হারিয়ে দিয়েই, প্লে-অফের জন্য যোগ্যতা অর্জন করেছে। তবে শেষ ওভারে বল করে বাজিমাত করেছেন কিন্তু যশ দয়ালই। তাঁর এমন পারফরম্যান্স দেখার পর, ইনস্টাগ্রাম স্টোরির মাধ্যমে যশকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন রিঙ্কু সিং। যা মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।
কেকেআর-এর বার্তা
কলকাতা নাইট রাইডার্স কুর্নিশ জানিয়েছে যশ দয়ালের লড়াকু মানসিকতাকে। তারা তাদের সোশ্যাল মিডিয়া সাইট এক্সের মাধ্যমে যশ দয়ালকে একটি বার্তা দিয়েছে। ২০২৩ সালের ৯ এপ্রিল গুজরাটের হয়ে যশ দয়াল লজ্জার রেকর্ড গড়েছিলেন। রিঙ্কু সে বার তাঁর বিরুদ্ধে ৫ বলে ৫টি ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন। সে বারও কেকেআর যশকে মাথা উঁচু রাখতে বলেছিল। এ বার কেকেআর যশের উদ্দেশ্যে লিখেছে, ‘প্রতিটি সেটব্যাকের পর প্রত্যাবর্তন হবেই, যদি আপনি এই সেটব্যাকের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য যথেষ্ট সাহসী হন। দারুণ পারফর্ম করেছেন যশ।’ সঙ্গে একটি বেগুনি হৃদয়ের ইমোজি।
রিংকু সিং ছক্কা হজম করে ডিপ্রেশনে চলে গিয়েছিলেন যশ
এই যশ দয়ালকেই শেষ ওভারে রিঙ্কু সিং টানা ৫টি ছক্কা মেরে কেকেআরকে ম্যাচ জিতিয়েছিলেন। যশ গত মরশুমে গুজরাট টাইটান্সের অংশ ছিলেন। এই ছক্কার পর খলনায়ক হয়ে উঠেছিলেন তিনি। এমন কী এর পর ডিপ্রেশনে চলে গিয়েছিলেন তিনি। তবে শনিবার তিনিই হয়ে যান আরসিবি-র জয়ের নায়ক। যশ দয়াল আবারও শেষ ওভারে বল করতে এসেছিলেন। এবং তাঁর হাত ধরেই প্লে-অফে উঠে যায় বেঙ্গালুরু।