আহমেদাবাদে বিশ্বকাপ ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে নিজেদের দেশের মাটিতে গতবছর হারতে হয়েছিল রোহিত শর্মার ভারতকে। গোটা প্রতিযোগিতায় সেমিফাইনাল পর্যন্ত অপরাজিত থাকার পরই, আসল সময় গিয়ে ব্যর্থ হয় টিম ইন্ডিয়া। রোহিত শর্মার ভুল শট, বিরাট কোহলির দুর্ভাগ্যবশত প্লে ডাউন হয়ে যাওয়াই ভারতের জয়ের পথে বাধা তৈরি করে। এরপর ট্রাভিস হেডের শতরানে ম্যাচ জিতে ভারত থেকে ওডিআই বিশ্বকাপে শিরোপা দেশে নিয়ে যায় প্যাট কামিন্সের অস্ট্রেলিয়া।
আরও পড়ুন-হার্দিকের বোলিংয়ে অসন্তুষ্ট বোলিং কোচ! অনুশীলনে বারবার ভুল শুধরে দিলেন মর্কেল! রিপোর্ট…
ভারতীয় দল সেই ম্যাচে হারলেও এক্ষেত্রে ক্রিকেটারদের থেকেও ম্যাচের পিচ রিড করতে না পারাকেই বেশি দায়ি করছেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার মহম্মদ কাইফ। তাঁর মতে, সব দেশেই কিউরেটররা একটু আধটু হোম টিমের হয়ে পিচ তৈরি করে। রোহিত শর্মা, রাহুল দ্রাবিড়রা তিন দিন ধরে পিচ দেখলেও, তার চরিত্র ঠিক বুঝতে পারেননি বলেই মনে করছেন কাইফ। সঙ্গে এও বলছেন, পিচের জন্যই বাড়তি সুবিধা পেয়ে গেছেন স্টার্ক, কামিনসরা।
আরও পড়ুন-খারাপ পারফরমেন্সের শাস্তি? চার মাসের বেতন আটকে পাক ক্রিকেটারদের…শুরু নয়া বিতর্ক…
মহম্মদ কাইফ এক পডকাস্টে গিয়ে সম্প্রতি ভারতের বিশ্বকাপ ফাইনালে হার নিয়ে বলেছেন, ‘ আমি আহমেদাবাদের স্টেডিয়ামে ধারাভাষ্যকার হিসেবে কাজ করার জন্য তিনদিন ধরে ছিলাম। প্রত্যেক দিনই দেখতাম রোহিত শর্মা এবং দ্রাবিড় পিচের সামনে গিয়ে ঘন্টাখানেক সময় কাটাতো। তিনদিন ধরে পিচের রং বদলাতে দেখেছি। ভারত চেয়েছিল যাতে অজি বোলিং লাইন আপ সুবিধা না পায়। পিচে ঘাসও ছিল না, জলও তেমন দেওয়া হয়নি’।
আরও পড়ুন-একটুর জন্য দ্বিশতরান হাতছাড়া ঈশ্বরণের! মুম্বইকে চালকের আসনে বসালেন মুলানি!
কাইফ আরও বিশ্লেষণ করে বলেন, ‘ অস্ট্রেলিয়া দলে স্টার্ক-কামিনসদের মতো ভালো পেসাররা রয়েছে। তাই ওদের আকটাতে স্লো ট্র্যাক তৈরি করাটাই আমাদের উচিত ছিল। এখানে আমাদের ভুল হয়েছে বলে মনে হয়। মানুষ বিশ্বাস করতে না চাইলেও এটাই সত্যি যে কিউরেটররা একটু আধটু হোম টিমের হয়েই পিচ বানায়। অনেকে বলে কিউরেটর নিজেদের মতো কাজ করে, কেউ প্রভাবিত করে না, কিন্তু সেটা একদমই ভুল কথা’।
ওডিআই বিশ্বকাপে এরপর প্রথম ব্যাট করতে নেমে ভারতীয় দল ব্যাটিং বিপর্যয়ের সামনে পড়ে। বিরাট কোহলি কিছুটা লড়াই দিলেও তিনি আউট হতেই ধরে নেওয়া হয়েছিল টিম ইন্ডিয়ার পক্ষে এই ম্যাচ বের করা কঠিন। কারণ ফাইনালের চাপ সেই সঙ্গে প্রতিপক্ষ বিশ্বকাপের সফলতম দল অস্ট্রেলিয়া। আর সেই আশঙ্কাই সত্যি হয়। লোকেশ রাহুল অর্ধশতরান করলেও অনেক বেশি বল খেলে ফেলেন। এরপর বল হাতে শামি উইকেট নিয়ে ভারতকে ম্যাচে ফেরানোর চেষ্টা করলেও ট্রাভিস হেডের শতরানে আর খেলায় ফিরতে পারেনি ভারত।