অস্ট্রেলিয়ার কাছে ইংল্যান্ডের মহিলা দল অ্যাসেজ সিরিজে পর্যুদস্ত হয়েই হেরেছে। ১৬-০তে সিরিজ জিতেছে অজিরা। এই অবস্থায় ইংল্যান্ড দলকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসতে চাইলেন দলের প্রাক্তন অধিনায়ক চারলট এডোয়ার্ডস। সেক্ষেত্রে তিনি আগামী দিনে দলের কোচিংও করতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।
তিনি জানিয়েছেন এখন তিনি আগের থেকে অনেক বেশি দক্ষ হয়েছেন কোচিংয়ে। বর্তমানে জন লুইস দলের কোচিং করাচ্ছেন। এডওয়ার্ডস বলছেন, ‘শেষ কয়েকবছরে আমি অনেক অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছি, যার সুবাদে আমি এখন অনেক বেশি তৈরি । আমি এই মূহূর্তে শুধুই দলকে সাহায্য করতে চাই। এখন রিভিউ হচ্ছে, তাই ওদের সবার পরামর্শ নেওয়া উচিত। আমি কাউন্টি ক্রিকেট আর WBBLএ কাজ করছি, তই আশা করব কেউ আমার ফোনটা ধরবে আর আমার অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর চেষ্টা করবে ’।
তিনি আরও বলছেন, ‘ইংল্যান্ডের কোচ কে হচ্ছে বা কে নেতৃত্ব দিচ্ছে, সেটা নিয়ে আমি ভাবছি না। আমার চিন্তা শুধুই দলের খেলার যাতে উন্নতি হয়। আর আমার মনে হয় এমন ব্যক্তিদেরই ব্যবহার করা উচিত যারা ইংল্যান্ড ক্রিকেটের উন্নতি করাতে পারবে। আমার মনে হয় আমি ইংল্যান্ড ক্রিকেটকে সাহায্য করার মতো জায়গায় রয়েছি।’
২০২২ সালেই তিনি জানিয়েছিলেন ইংল্যান্ডের মহিলা দলের কোচ হতে তিনি রাজি, যদিও পরে সরে আসেন নিজের সিদ্ধান্ত থেকে। এরপর ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে সাউদার্ন ব্রেভ, সিডনি সিক্সার্স দলের কোচিং করেন। সাউদার্ন ভাইপার্সের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন তিনি। ভাইপার্সদের তিনি পাঁচটি শইরোপা জেতান। দলের দায়িত্ব নিয়েই সিডনি সিক্সার্সকে তুলেছিলেন ফাইনালেও।
এরপর মুম্বই ইন্ডিয়ান্স দলেও কাজ করার সুযোগ পান তিনি। ছিলেন হ্যাম্পশায়ার মহিলা দলের অধিনায়কও। তার মতে যেভাবে সাদা বলের তিনটি ম্যাচে ৫০র বেশি রানের ব্যবধানে হেরেছে ইংল্যান্ড। আর টেস্টে ইনিংসে হেরেছে তাঁর দেশ, তা বেশ দুর্ভাগ্যজনক তাঁর কাছে। এডওয়ার্ডসের কথায়, ‘আশা করব এটাই সময়, ইংল্যান্ড সিদ্ধান্ত নেবে দলের কথা ভেবে। কারণ দেশের মধ্যে অনেক ভালো ক্রিকেট খেলা হচ্ছে কাউন্ডি আর ঘরোয়া লেভেলে। কিন্তু তার প্রতিফল ইংল্যান্ডের খেলায় কেন পড়েনি, সেটাই দেখতে হবে ’।
অ্যাসেজের সময় ইংল্যান্ড দলের তেমন পরিকল্পনা যেমন লক্ষ্য করা যায়নি। তেমনই অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে চাপের মূহূর্তে বারবারই নতি স্বীকার করেছে তাঁরা। লড়াই দেওয়ার মানসিকতাও তাঁরা হারান। আর সেটা ফেরাতেই চাইছেন চারলট। দলের ফিটনেস নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এডওয়ার্ডসও জানিয়েছেন, অস্ট্রেলিয়ানদের ফিটনেস ইংল্যান্ড খেলোয়াড়দের তুলনায় অনেক বেশি ছিল। আর ইংল্যান্ডের কাজ হওয়া উচিত ক্রিকেটারদের অজিদের মতোই ফিট করে তুলতে, যাতে তাঁরা লড়তে পারে। তার মতে এই দলেও অনেক প্রতিভা আছে, তাই ১৬-০ হারটাকে বড় করে দেখতে রাজি নন ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধইনায়ক।