বর্তমানে ভারতের সব থেকে সেরা বোলার জসপ্রীত বুমরাহ। দেশের জার্সি গায়ে ৩ ফরম্যাটেই দাপট দেখাচ্ছেন তিনি। ICC-র টেস্ট বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে ১ নম্বরে রয়েছেন বুমরাহ। ২০২৪ টি-২০ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত, যার পিছনে এই ভারতীয় পেসারের অবদান ছিল অনেক। তবে বুমরাহের মতো প্রতিভাকে খুঁজে বের করার কৃতিত্ব প্রাক্তন মুম্বই ইন্ডিয়ান্স এবং টিম ইন্ডিয়ার হেড কোচ জন রাইটের। প্রথমবার ২০১৩ সালে MI-এর হয়ে IPL-এ খেলতে দেখা যায় তাঁকে। তারপর থেকে এখনও পর্যন্ত এই একটি ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে খেলে যাচ্ছেন বুমরাহ। ২০২৫ IPL-এর জন্য তাঁকে ১৮ কোটি টাকার বিনিময় রিটেন করে MI। যদিও ২০১৩ সালে মাত্র ২টি IPL ম্যাচ খেলেছিলেন বুমরাহ, ২০১৪ থেকে তিনি দলের নিয়মিত সদস্য হয়ে ওঠেন।
কীভাবে বুমরাহকে খুঁজে পান জন:
সম্প্রতি ভারতীয় দলের প্রাক্তন হেড কোচ জন রাইট জানান যে কীভাবে তিনি বুমরাহকে খুঁজে বের করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমি স্কাউটিং করার উদ্দেশে আমেদাবাদে গিয়েছিলাম। সেখানে গুজরাট বনাম মুম্বইয়ের একটি ঘরোয়া টি-২০ ক্রিকেটের ম্যাচ দেখছিলাম। আমি দেখলাম একটা বাচ্চা ছেলে আজব অ্যাকশনের সঙ্গে বল করছে। সে পরপর ১২টি বল ইয়র্কার করার চেষ্টা করে, যা দেখে আমি তো রীতিমতো অবাক। অবিশ্বাস্য, আমি এর আগে কাউকে এরকম করতে দেখিনি। এরপর আমি পার্থিব প্যাটেলের কাছে যাই, যাকে আমি ভারতীয় দলে কোচিং করানোর সময় থেকে চিনতাম। আমি তাঁকে বললাম, এটা কী ছিল? সে আমায় বলল এটা হল বুম। আমি তৎক্ষণাৎ তাকে সই করাই। তারপর থেকে ওকে আর অকশনের মঞ্চে দেখা যায়নি।’
বুমরাহের প্রতিভা দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন স্বয়ং সচিন তেন্ডুলকর:
জন রাইট জানান, জসপ্রীত বুমরাহের প্রতিভা দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন সচিন তেন্ডুলকর। তিনি বলেন, ‘প্রথম খেলাটা বেঙ্গালুরুতে ছিল। আমরা নেট প্র্যাক্টিস করছিলাম। বুমরাহের বিরুদ্ধে ব্যাট করছিল সচিন। অনুশীলন শেষে সে আমায় এসে বলে- জন এই বাচ্চা ছেলেটা কে? আমি তাকে বলি এ হল বুম। সে বলল, ওকে খেলা খুব মুশকিল। আমি তা শুনে আনন্দে লাফিয়ে উঠি।’ জন আরও যোগ করেন, ‘সে একজন অসাধারণ বোলার। ও খুব চতুর। কিন্তু এরপর দুই মরশুমে ও সেইভাবে খেলতে পারেনি। কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যায় ও। নিজেকে তৈরি করে। কিন্তু লোকে সেই সংগ্রামের গল্পটা ভুলে যায়।’