Siddharthh Kaul- ক্রিকেট মাঠ ছেড়ে SBIর ডিউটিতে! ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার মন দিচ্ছেন নতুন কাজে…

পেসার সিদ্ধার্থ কাউল সরকারি চাকরি করেন। পঞ্জাবের এই বর্ষিয়ান পেসার সম্প্রতি ক্রিকেট থেকে অবসর ঘোষণা করেছেন এবং নিজের চণ্ডিগড়ের সেক্টর ১৭র স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ায় ফিরেছেন। ২০১৭ সাল থেকেই অর্থাৎ ভারতীয় দলে অভিষেকের আগে থেকেই তিনি এই সংস্থায় কাজ করেন। ২০২০ সালে তাঁর প্রমোশনও হয়। আপাতত কাজেই মন দেবে

ভারতীয় দলের অনেক ক্রিকেটারই তাঁদের আর্থিক সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে ক্রিকেটের পাশাপাশি আলাদা কোনও অফিসে চাকরিও করে থাকেন। কারণ প্রতিভা থাকলেই যে সকলে নামের প্রতি সুবিচার করে বড় ক্রিকেটার হবেন তাঁর কোনও মানে নেই। সবাই যে আইপিএলের বড় অঙ্কের প্রস্তাব পাবেন প্রত্যেকবার তারও নিশ্চয়তা নেই। মহেন্দ্র সিং ধোনি, সচিন তেন্ডুলকর, হরভজন সিং, যুজবেন্দ্র চাহালের মতো তারকারাও ক্রিকেটের পাশাপাশি সরকারি চাকরি বা পদে বহাল থেকেছেন। আসলে ক্রিকেট ছাড়ার পর ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করাই লক্ষ্য।

পেসার সিদ্ধার্থ কাউলও এই তালিকায় রয়েছেন। পঞ্জাবের এই বর্ষিয়ান পেসার সম্প্রতি ক্রিকেট থেকে অবসর ঘোষণা করেছেন এবং নিজের চণ্ডিগড়ের সেক্টর ১৭র স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ায় ফিরেছেন। ২০১৭ সাল থেকেই অর্থাৎ ভারতীয় দলে অভিষেকের আগে থেকেই তিনি এই সংস্থায় কাজ করেন। ২০২০ সালে তাঁর প্রমোশনও হয়। এখন যখন আর ক্রিকেট খেলবেন না, তখন কাজে মন দেওয়ার আরও বড় সুযোগ এসেছে।

ডোমেস্টিক ক্রিকেটে পঞ্জাব দলের বড় অস্ত্র ছিলেন সিদ্ধার্থ। তিনি ৮৮টি প্রথম শ্রেণীর ম্যাচে নিয়েছেন ২৯৭টি উইকেট। ১৭ বছরের কেরিয়ারে ওঠা নামা থাকলেও ধারাবাহিকতা সঙ্গী ছিল তাঁর। ২০২৩-২৪ সালের সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতেও পঞ্জাবের হয়ে ১৬ উইকেট নিয়েছিলেন, দলের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারিও হন। দল প্রথমবার এই প্রতিযোগিতা চ্যাম্পিয়ন হয়। লিস্ট এ কেরিয়ারে ১৯৯টি উইকেট নিয়েছেন তিনি ১৮৮ ম্যাচে। ১৪৫ টি২০ ম্যাচে সিদ্ধার্থের ঝুলিতে রয়েছে ১৮২ উইকেট।

এখন সিদ্ধার্থের বয়স ৩৪। ফলে বিদেশে ক্রিকেট খেলতে যেতে পারবেন তিনি। ২-৩ বছর এখনও খেলা বাকি রয়েছে তাঁর মধ্যে। ২০০৮ সালে মালেশিয়ায় বিরাট কোহলির নেতৃত্বে যে ভারতীয় দল অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল, সেই দলের সদস্যই শুধু ছিলেন না সিদ্ধার্থ। নিয়েছিলেন ১০ উইকেটও। তবে জাতীয় দলে ডাক পেতে আরও ১০ বছর অপেক্ষা করতে হয় তাঁকে। 

 

ভারতীয় দলে অভিষেকের ক্যাপ তিনি পান স্বয়ং মহেন্দ্র সিং ধোনির হাত থেকে, যেটা তাঁর কাছেও বিশাল ব্যাপার ছিল। আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে অভিষেক হয় তাঁর। যদিও তিনটি টি২০ এবং তিটি ওডিআই ম্যাচে মাত্র খেলেন সিদ্ধার্থ। জুলাই ২০১৮ থেকে ফেবরুয়ারি ২০১৯এর মধ্যেই মূলত ম্যাচ খেলেন সিদ্ধার্থ। তবে ইংল্যান্ড সিরিজে বল হাতে ব্যর্থ হন তিনি।

এর আগের বছরপ অর্থাৎ ২০১৭ সালে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে ১৬ উইকেট এবং পরের বছর সেই দলের হয়েই ২১টি উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। দিল্লি ক্যাপিটালস, কলকাতা নাইট রাইডার্স, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়েও খেলেছেন তিনি। নিয়েছেন ৫১ আইপিএল ম্যাচে ৫৮টি উইকেট। সেরা বোলিং রাইজিং পুণে সুপার জায়ান্টের বিপক্ষে ২০১৭ সালে, ২৯ রানে ৪ উইকেট। যেখানে তিনি ধোনি এবং স্টিভ স্মিথের উইকেটটিও তুলে ছিলেন।

 

সিদ্ধার্থ কাউল জানান, ‘আমার মনে হয় এখনও আমার মধ্যে ৩-৪ বছর ক্রিকেট বাকি রয়েছে। আমি চেয়েছিলাম ভালো সময়ই ক্রিকেট ছাড়তে যখন আমি পারফর্ম করছি। দল থেকে ফিটনেসের কারণে বাদ পড়ার পর আমি ক্রিকেট ছাড়তে চাইনি। যদি আমার কেরিয়ার গ্রাফ দেখ শেষ ৯-১০ বছরে, তাহলে দেখতে পাবে আমি সব ফরম্যাটেই ভালো পারফর্ম করেছি, তাই আমার মনে হয়েছে এটাই সেরা সময় ক্রিকেট ছাড়ার। আশা করব আগামী দিনে আমি কাউন্টিতে খেলার সুযোগ পেলে নিজেকে মেলে ধরব ’।