ভারতীয় ক্রিকেট মহলে নক্ষত্র পতন! শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন কিংবদন্তি ক্রিকেটার দত্তজিরাও গায়কোয়াড়। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর। বলা হয় যে তিনি ভারতীয় ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় ছিলেন। তাঁর মৃত্যুকে ঘিরে ইতিমধ্যেই শোকের ছায়া নেমে পড়েছে ক্রিকেট জগতে। বহু প্রাক্তন ও বর্তমান তারকা ক্রিকেটার সমবেদনা জানিয়েছেন তাঁর পরিবারকে। এছাড়াও বহু ক্রিকেটপ্রেমীর তরফ থেকেও জানানো হয়েছে সমবেদনা। অধিকাংশেরই বক্তব্য যে তাঁর হাত ধরেই ভারতীয় ক্রিকেট পেয়েছে একাধিক নামকরা খেলোয়াড়। আবার অনেকে এটাও দাবি করছেন যে তিনি না থাকলে হয়তো ভারতীয় ক্রিকেটে এত উন্নতি করতেই পারতো না। সব মিলিয়ে, এই কিংবদন্তি ক্রিকেটারের মৃত্যুতে মর্মাহত হয়েছে সকলেই।
মঙ্গলবার অর্থাৎ ১৩ ফেব্রুয়ারি গোটা ক্রিকেট বিশ্বকে কাঁদিয়ে চলে গেলেন প্রাক্তন তারকা অংশুমান গায়কোয়াড়ের বাবা তথা কিংবদন্তি ক্রিকেটার দত্তজিরাও কৃষ্ণরাও গায়কোয়াড়। ৯৫ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি নিজের বরোদার বাড়িতে। তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই, ক্রিকেট জগত থেকে আসতে থাকে পরিবারের প্রতি একরাশ সমবেদনা। ক্রিকেটপ্রেমী হোক বা ক্রিকেট তারকা, সকলে এই বিষয়ে একমত যে ভারতীয় ক্রিকেটকে এতগুলি নামকরা প্লেয়ার দেওয়ার পেছনে তাঁর একটি বড় অবদান রয়েছে। এখানেই শেষ নয়, অনেকে এটাও দাবি করেছেন যে আজ ভারতীয় ক্রিকেটের ভীত এতো মজবুত, সেটার জন্য একটা বড় হাত রয়েছে তাঁর।
টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন অলরাউন্ডার ইরফান পাঠান নিজের এক্স হ্যান্ডেল থেকে কিংবদন্তি ক্রিকেটারের অবদানের কথা তুলে ধরেছেন। ইরফান লেখেন, 'মোতিবাগ ক্রিকেট গ্রাউন্ডে নীল রঙের মারুতি গাড়ি থেকে বেরিয়ে বট গাছের তলায় তিনি একাধিক ক্রিকেটারকে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। আজ গায়কোয়াড় স্যারের জন্যই বরোদা ক্রিকেট সহ গোটা ভারতীয় ক্রিকেট একাধিক তারকা পেয়েছে। উনি ভবিষ্যৎ তৈরি করে দিয়ে গিয়েছেন। ওনার প্রয়াণ আমাদের সকলকেই কষ্ট দিয়েছে। একটা বড় ক্ষতি হলো ক্রিকেট জগতের।'
উল্লেখ্য, দত্তজিরাও গায়কোয়াড় আন্তর্জাতিক টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটিয়েছিলেন ১৯৫২ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে। মোট ১১টি টেস্ট খেলেছেন তিনি এবং তাঁর মোট সংগ্রহ ৩৫০ রান, যার মধ্যে রয়েছে একটি অর্ধশতরান। এছাড়াও ১১০টি ঘরোয়া ক্রিকেট ম্যাচ খেলেছেন তিনি। জীবনের শেষ টেস্ট ম্যাচ তিনি খেলেন ১৯৬১ সালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে।