সম্প্রতি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড প্রকাশিত হয়েছে এবারের আইপিএলের নিলামের আগে প্লেয়ার্স রিটনেশন পলিসি। অর্থাৎ কীভাবে কোন কোন ক্রিকেটারদের ধরে রাখা যাবে, সেই নিয়ে একটা নীতি গড়ে দিয়েছে বোর্ড। জানা গেছে, মোট ৬জন ক্রিকেটারকে সরাসরি রিটেন করতে পারবে দলগুলো। অথবা পাঁচ জন ক্রিকেটারকে রিটেন করার পাশাপাশি একজন ক্রিকেটারকে রাইট টু ম্যাচ কার্ডের আওতায় এনে সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটারের নিলামের পর তাঁকে আবার নিতে পারবে তাঁর পুরনো দল।
আইপিএলের প্লেয়ার্স রিটেনশন পলিসি নিয়ে তেমন কোনও কিছু বলার না থাকলেও আরটিএমের ক্ষেত্রে যে নতুন নিয়ম তৈরি করা হয়েছে, তা খুব একটা মনে ধরছে না কয়েকটি দলের। যা নিয়েই এবার মুখ খুললেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের প্রাক্তন টিম ডিরেক্টর জয় ভট্টাচার্য। জানালেন, আরটি এমের নতুন নিয়ম প্লেয়ারের জন্য ভালো হলেও সেই ক্রিকেটারের পুরনো দলের ক্ষেত্রে ভালো নয়।
কি বলা হয়েছে আইপিএলে নতুন আরটিএম নীতিতে?
আইপিএলের রাইট টু ম্যাচ কার্ড নিয়মের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, কোনও ক্রিকেটারকে চাইলে নিলামের শেষে সর্বোচ্চ দাম ওঠার পর তাঁর পুনরো দল ফিরিয়ে নিতে পারে। এক্ষেত্রে এতদিন নিয়ম ছিল, নিলাম টেবিলে সর্বোচ্চ দাম যা উঠবে তাঁর নিরিখেই নেওয়া হত সেই ক্রিকেটারকে। কিন্তু এবারে নতুন নিয়ম লাগু করে বিসিসিআই। যেখানে বলা হয়, নিলামের শেষে পুরনো দল যদি কোনও ক্রিকেটারকে ফিরিয়ে নিতে চায় তাহলে তাঁর পুরনো দল আরটিএম কার্ড কাজে লাগিয়ে তাঁকে ফেরত চাইতে পারবে।
এক্ষেত্রে আইপিএলের নিলামে যে দল সেই ক্রিকেটারকে কিনেছে, সেই দলের কাছে সুযোগ থাকবে দাম বাঁড়িয়ে সেই খেলোয়াড়কে দলের নেওয়ার। অর্থাৎ ফের একবার সর্বোচ্চ দামের জন্য বিড করতে পারবেন তাঁকে নিতে ইচ্ছুক নতুন দল। এরপর পুরনো দল যদি ফের সেই বেশি বিডের টাকায় ক্রিকেটারকে নিতে ইচ্ছুক হয়, তাহলে তাঁরা সেই ক্রিকেটারকে দলে নিতে পারবে।
কি বলছেন কেকেআরের প্রাক্তন টিম ডিরেক্টর?
জয় ভট্টাচার্য, যিনি দীর্ঘদিন কলকাতা নাইট রাইডার্সের টিম ডিরেক্টর পদে ছিলেন, তিনি বলছেন, ‘নিলামকে অনেকটাই প্রভাবিত করবে রাইট টু ম্যাচ কার্ডের নতুন নিয়ম। এর আগে পুরনো দল চাইলেই সর্বোচ্চ দামে ক্রিকেটারকে দলে ফেরাতে পারত। কিন্তু এখন যখন বিডিং দলের কাছে আরেকটি সুযোগ থাকবে ক্রিকেটারের জন্য বেশি টাকার বিড করার, তখন সেটা কঠিন হবে পুরনো দলের কাছে। কারণ একজন ক্রিকেটারকে ৬ কোটি টাকায় কিনে, নতুন দল তাঁর জন্য ৯কোটি টাকাও বিড করতে পারে। যদি সেই দল মনে করে সেই ক্রিকেটারের দাম অতটা। আর পুরনো দল যদি মনে করে তাহলে সেই দামেই নিতে হবে। এর ফলে আরটিএমের গুরুত্ব অনেকটাই কমে যাবে, আর রিটেনশনের সংখ্যাও বাড়বে। এটা যে দলগুলো নতুন ক্রিকেটার নিতে চাইবে তাঁদের জন্য ভালো হলেও পুরনো দলের জন্য ভালো নয়। ক্রিকেটারদের জন্য অবশ্য এটা ভালো ’।