মুম্বই ক্রিকেটে যথার্থই নক্ষত্রপতন ঘটল বুধবার। প্রয়াত হলেন মুম্বই ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক মিলিন্দ রেগে। কিংবদন্তি সুনীল গাভাসকরের অত্যন্ত কাছে বন্ধু হিসেবে পরিচিত ছিলেন তিনি। বুধবার সকালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটের অতি পরিচিত মুখ মিলিন্দ।
মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। স্বাভাবিকভাবেই প্রাক্তন ক্রিকেটারের প্রয়াণে শোকের ছায়া মুম্বই তথা ভারতীয় ক্রিকেটমহলে। মিলিন্দ রেগে রেখে গেলেন স্ত্রী ও দুই সন্তানকে। উল্লেখ্য মাত্র ২৬ বছর বয়সেই একবার হৃদরোগে আক্রান্ত হন মিলিন্দ রেগে। তার পরে মাঠে ফিরলেও নিজের কেরিয়ারকে দীর্ঘায়িত করা হয়নি তাঁর।
খেলা ছাড়ার পরে মুম্বই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে বিভিন্নভাবে জড়িয়ে ছিলেন মিলিন্দ রেগে। ১৯৮৮ সালে সচিন তেন্ডুকর মুম্বইয়ের রঞ্জি দলে ঢোকার সময় মিলিন্দ ছিলেন এমসিএ-র অন্যতম নির্বাচক। অজিঙ্কা রাহানের নেতত্বে মুম্বই ক্রিকট দল এই মুহূর্তে নাগপুরে বিদর্ভের বিরুদ্ধে রঞ্জির সেমিফাইনাল খেলতে ব্যস্ত। তৃতীয় দিনের খেলা শুরুর আগে মুম্বই ও বিদর্ভ উভয় দলের ক্রিকেটাররা এক মিনিট নীরবতা পালন করেন। মুম্বইয়ের ক্রিকেটাররা কালো আর্ম ব্যান্ড পরে মাঠে নামেন।
মিলিন্দ রেগে ও সুনীল গাভাসকর ছোটবেলার বন্ধু। দু'জনে একই স্কুল ও কলেজে পড়াশোনা করেছেন। দাদর ইউনিয়ন স্পোর্টিং ক্লাবের হয়ে দু'জনে একসঙ্গে ক্রিকেটেও খেলেছেন। ২০০০ সাল থেকে মিলিন্দ মুম্বই ক্রিকেট সংস্থার উপদেষ্টার ভূমিকা পালন করে আসছিলেন। মিলিন্দের প্রয়াণে সোশ্যাল মিডিয়ায় শোক প্রকাশ করেন রবি শাস্ত্রী।
মিলিন্দ রেগের ক্রিকেট কেরিয়ার
মিলিন্দ রেগে ১৯৬৬ থেকে ১৯৭৮ সালের মধ্যে মোট ৫২টি ফার্স্ট ক্লাস ম্যাচ খেলেছেন। ৭০টি ইনিংসে ব্যাট করে তিনি সংগ্রহ করেন সাকুল্যে ১৫৩২ রান। সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস অপরাজিত ৬৭ রানের। তিনি ৪৮টি ক্যাচ ধরেন। এই ডানহাতি অফ-স্পিনার ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটে সাকুল্যে ১২৬টি উইকেট সংগ্রহ করেন। ৩ বার ইনিংসে ৫ উইকেট নেন মিলিন্দ। এক ইনিংসে তাঁর সেরা বোলিং পারকফর্ম্যান্স ৮৪ রানে ৬ উইকেট।
আরও পড়ুন:- WPL Purple Cap: বেগুনি টুপির দৌড়ে টক্কর দিচ্ছেন রেনুকা, সেরা ৫-এ রয়েছেন প্রিয়াও
শোক প্রকাশ এমসিএ সভাপতির
মিলিন্দ রেগের মৃত্যতে শোক প্রকাশ করেন মুম্বই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট অজিঙ্কা নায়েক। তিনি টুইটারে লেখেন, ‘মিলিন্দ রেগে স্যারের প্রয়াণে গভীরভাবে শোকাহত। মুম্বই ক্রিকেটের যথার্থই কিংবদন্তি। ক্রিকেটার, নির্বাচক ও মেন্টর হিসেবে ওনার অবদান কয়েক প্রজন্মের খেলোয়াড়দের প্রতিষ্ঠিত হতে সাহায্য করেছে। ওনার সমর্থন ও প্রথপ্রদর্শন চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।’