আইসিসি টি২০ বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে হেরেছিল পাকিস্তান ক্রিকেট দল। সেই ম্যাচে আনকোরা মার্কিনদের কাছে হারের পরই চাপে পড়ে গেছিল তাঁরা। পরের ম্যাচে ভারতের বিপক্ষেও হারতে হয় পাকিস্তানকে। ব্যাটারদের ব্যর্থতাতেই কম রানের লক্ষ্যমাত্রাও তাড়া করতে পারেনি বাবর আজম, মহম্মদ রিজওয়ানরা। তবে পাক ক্রিকেটের অন্দরেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে হারটা মেনে নিতে পারছে না কেউ, কারণ সেই ম্যাচ জিতলে পাকিস্তানের সুপার এইটে যাওয়ার রাস্তা মসূণ হয়ে থাকত, কিন্তু এখন যা পরিস্থিততি তাতে তাদের দেশে ফেরার সম্ভাবনাই প্রবল। এরই মধ্যে দল নির্বাচন ইস্যুতে মুখ খুললেন প্রাক্তন ক্রিকেটার মহম্মদ হাফিজ, এক হাত নিলেন দলের উইকেটরক্ষক ব্যাটার আজম খানের।
আরও পড়ুন-রাদারফোর্ড-জোসেফ-মোতি ম্যাজিকে সুপার এইটে উইন্ডিজ, বিদায় কার্যত নিশ্চিত নিউজিল্যান্ডের
কথা বললেও কথা শোনেন না আজম খান, এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন প্রাক্তন পাকিস্তানি অধিনায়ক তথা প্রাক্তন টিম ডিরেক্টর মহম্মদ হাফিজ। ফিটনেসের ধারে কাছেও নেই, বাকিদের থেকে অনেক ধীরে দৌড়ান, এমন কি কোচ-ডিরেক্টরের দেওয়া নির্দেশ মানেন না মঈন পুত্র, দাবি হাফিজের। বাকিরা যদি ২ কিমি দৌড়াতে সময় নেন ১০ মিনিট, তাহলে আজম খান সময় নেয় ২০ মিনিট, তবুও নিজের ফিটনেসের দিকে বিন্দুমাত্র খেয়াল দেন না তিনি, অভিযোগ হাফিজের।
আরও পড়ুন-সৌরভকে আরও বেশি সুযোগ দেওয়া উচিত ছিল রঞ্জিতে, আক্ষেপ প্রাক্তন মুম্বই অধিনায়কের
মহম্মদ হাফিজ বলছেন, ‘আমি প্রথমবার ওকে দেখেই বলেছিলাম ফিটনেসের দিকে মনোযোগ করো, দ্রুত শরীরের মেদ কমাও। এরকম শরীর নিয়ে খেলা অসম্ভব, আর দ্বিতীয়ত সুযোগ পেলেই তোমায় পারফর্ম করতে হবে। ফিটনেসে জোর দাও, নাহলে ফিল্ডিং ভালো করতে পারবে না। ওর ট্রেনারকে সব বুঝিয়ে বলে দি, কিভাবে তাঁকে ট্রেনিং দিয়ে ফিট করতে হবে। এরপর ৬ সপ্তাহ পর যখন ট্রেনিংয়ের পর ওকে দেখি, একইরকম শরীর রয়েছে। এক ফোটাও মেদ ঝড়ায়নি। বাকিরা যদি ২ কিমি র দৌড়াতে ১০ মিনিট সময় নেয় তাহলে ও নেয় ২০ মিনিট। এরপর যখন প্রশ্ন করলাম যে কেন ঠিক মতো ফিটনেস ট্রেনিং করেনি, কোনও জবাব দেয়নি আজম। শুধু বলল ও চেষ্টা করেছে, কিন্তু তাও ফিট হতে পারেনি, এটা চূড়ান্ত অপেশাদারিত্ব ’।
পাকিস্তানের টি২০ দলে আজম খানকে দলে রাখতে গিয়ে বিস্তর সমালোচনার মুখেই পড়েছেন সেদেশের নির্বাচকরা। কারণ ১৪ টি২০ ম্যাচে আজম খানের সংগ্রহ মাত্র ৮৪ রান। উইকেটের পিছনেও বেশ কয়েকটি ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ ক্যাচ মিস করেছেন। তাঁর দলে ঢোকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল, একান্তই মঈন খানের পুত্র বলেই তাঁকে দলের নেওয়া হচ্ছে কিনা, এই পরিস্থিতিতে হাফিজের বোমা যে পাক নির্বাচকদের আরও বিড়ম্বনায় ফেলল, সেকথা বলাই বাহুল্য।