ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের কোচের পদে সুযোগ হয়নি প্রাক্তন ক্রিকেটার অ্যান্ড্রিউ ফ্লিনটফের। ঘনিষ্ঠমহলে দাবি করা হয়েছিল, তাঁর সঙ্গে নাকি মনোমালিন্য রয়েছে ইংল্যান্ডের সিমিত ওভারের ফরম্যাটের অধিনায়ক জোস বাটলারের। সেই কারণেই নাকি তাঁকে দায়িত্ব দিতে পারছে না ইসিবি। ব্রেন্ডন ম্যাককালামকেই শেষমেষ সাদা বলের ক্রিকেটের ক্ষেত্রেও একদিন আগেই ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের কোচের পদে আনা হয়। আগেই তিনি দায়িত্বে ছিলেন ইংল্যান্ডের টেস্ট দলের। এবার অ্যান্ড্রিউ ফ্লিনটফকেও কোচের পদেই আনল সেদেশের ক্রিকেট বোর্ড, তবে সিনিয়র দলে জোস বাটলারদের কোচিংয়ের সুযোগ পেলেন না এক সময়ের এই তারকা অলরাউন্ডার।
আরও পড়ুন-ভিডিয়ো- টেস্ট সিরিজ শুরুর আগে হাড়ভাঙা খাটুনি রোহিতের! দেখে মনে হবে না বয়স ৩৭!
১৯৯৮ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ইংল্যান্ডের জার্সিতে চুটিয়ে খেলা ফ্লিনটফকে ইংল্যান্ড লায়নস দলের হেড কোচ করা হল, অর্থাৎ দেশের যুব দলের। এর আগে ফ্লিনটফ সিনিয়র দলের পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করছিলেন। তখনই তাঁর নাম ভেসেছিল সিনিয়র দলের কোচ হিসেবে, কিন্তু বাটলারের অনিচ্ছাতেই নাকি ফ্লিনটফের সিনিয়র দলের কোচ হয়ে ওঠা হয়নি। দেশের তারকাকে তাই অন্য পদে এনে কিছুটা খুশি করল ইসিবি।
আরও পড়ুন-ভিডিয়ো- ঋষভকে টেক্কা উড়ন্ত জুরেলের! তৃতীয় দিনে নিলেন ৫ ক্যাচ! একটা ক্যাচ না দেখলেই মিস…
ইসিবির তরফ থেকে জানানো হয়, ইংল্যান্ডের যুব ক্রিকেটার তুলে আনা, তাঁদের টেকনিকাল উন্নতির পাশাপাশি ক্রিকেটারদের অ্যাপ্রাইজাল অর্থাৎ অর্থনৈতিক বিষয়টিও দেখবেন ফ্লিটনফই। এই পদে আসার পর ইংল্যান্ডের তারকা ক্রিকেটার জানান, ‘আমি ইংল্যান্ড লায়নস দলের কোচের পদে আসতে পেরে অত্যন্ত খুশি। আমি মুখিয়ে রয়েছি ইংল্যান্ডের আগামী প্রতিভাদের সঙ্গে কাজ করার জন্য এবং তাঁদের ভবিষ্যৎ গড়ে দেওয়ার জন্য। এই দল থেকে ভবিষ্যৎে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ক্রিকেটাররা প্রতিষ্ঠা পায়, তাই লায়নসের ব্যাপক গুরুত্ব রয়েছে। প্রচুর উঠতি প্রতিভারা রয়েছে। দেশের ক্রিকেট ভবিষ্যৎ বেশ ভালো সেটা বলতে পারি। আমি ওদেরকে উদ্বুদ্ধ করে সেরাটা বের করে আনার চেষ্টা করব ’।
ইংল্যান্ড লায়ন্সের কোচ হিসেবে ফ্লিনটফের প্রথম সিরিজ হবে অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে লাল বলের ক্রিকেটে। এরপর ইন্ডিয়া এ এবং জিম্বাবোয়ে দল ২০২৫ সালে ইংল্যান্ড সফরে আসবে।