৬ মাস কাটতে না কাটতেই পাকিস্তান ক্রিকেট দলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন সিমিত ওভারের ফরম্যাটের কোচ গ্যারি কার্স্টেন। শেষ কয়েক মাস যাবত, তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক ভালো যাচ্ছিল না পাকিস্তান বোর্ডের। সেই সূত্রেই তাঁর এই পদত্যাগ। আপাতত পাকিস্তানের দুই দলেরই সাময়িক দায়িত্ব পালন করতে চলেছেন টেস্ট ফরম্যাটের কোচ অজি জ্যাসন গিলেসপি।
শোনা যাচ্ছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের ভিতরের রাজনীতির জন্যই নাকি তিনি কোচের পদ ছেড়েছেন। মাত্র ৬ মাসের মধ্যে বিদেশি কোচের দলে আসার পর পদত্যাগ করা যে পাক বোর্ডের জন্য অত্যন্ত লজ্জার ব্যাপার, তা বলাই বাহুল্য। গত বছর ওডিআই বিশ্বকাপের সময় আরেক প্রোটিয়া মর্নি মর্কেলও পাক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, পরে তিনিও সরে দাঁড়ান।
আরও পড়ুন-২০০ বছর ভারত শাসন করা ইংরেজদের টেক্কা! দ্য হান্ড্রেডে দল কিনছেন আম্বানি-গোয়েঙ্কা…
বাবরকে দলে না নেওয়ায় পদত্যাগ কার্স্টেনের-
এবার সামনে এল গ্যারি কার্স্টেনের পাকিস্তান দল ছাড়ার আসল কারণ। শোনা যাচ্ছে, বাবর আজমকে জিম্বাবোয়ে সিরিজের দলে না রাখা নিয়েই বিতর্কের সূত্রপাত। পাকিস্তান দলের কোচ চেয়েছিলেন অফ ফর্মে থাকায় বাবরকে জিম্বাবোয়ে নিয়ে যেতে এবং দঃ আফ্রিকা সফরের আগে পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার সুযোগ দিতে, কিন্ত পাক বোর্ডের নির্বাচকরা তাতে রাজি হননি।
আরও পড়ুন-‘আমরাই জিতিয়েছি ১২ বছর ধরে, তাই একটা হারলে ছাড় আছে’! সিরিজ হারে সাফাই রোহিতের…
দল বাছাইয়ের কোচের অধিকার নেই-
সম্প্রতি আকিব জাভেদ, আলিম দার, আজহার আলিদের পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচক কমিটিতে সামিল করা হয়েছিল। অথচ শেষ কয়েক সপ্তাহ ধরেই অস্ট্রেলিয়া এবং জিম্বাবোয়ে সিরিজের জন্য ক্রিকেটারদের তৈরি করে আসছিল কার্স্টেন। মানসিকভাবে তাঁদের তৈরি করে নিচ্ছিলেন। কিন্তু পাক বোর্ডের নতুন নিয়ম অনুযায়ী কোচ, অধিনায়ককে কোনও ক্রিকেটার বাছাইয়ের অধিকার থেকে বঞ্চিচ করা হয়েছিল, আর তাতেই চটেছেন কার্স্টেন।
আরও পড়ুন-ফুলেছে পিঠ,বেড়েছে ব্যথা! চোট নিয়েই বিরাটদের মাটি ধরালেন ১৩ উইকেট নেওয়া কিউয়ি স্পিনার…
পাক বোর্ডের জন্যই ফের চাপে সেদেশের ক্রিকেট-
সম্প্রতি ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে পাকিস্তান দল ভালো পারফরমেন্স করেছে। সাজিদ খান, নোমান আলিরা দেখিয়ে দিয়েছেন ঘরের মাঠে কামব্যাক কাকে বলে। আশা করা হয়েছিল, এই কামব্যাকের সঙ্গে সঙ্গেই হয়ত পাকিস্তান ক্রিকেটেও সুদিন ফিরতে পারে। কিন্তু পাক বোর্ডের কর্তা এবং নির্বাচকরা নিজেদের ক্ষমতা জাহির করতে গিয়ে কোচকেই দল ছাড়তে বাধ্য করলেন।
পাকিস্তানের অধিনায়ক পদে রিজওয়ান-
প্রসঙ্গত পাকিস্তান ক্রিকেট দলের দায়িত্ব নেওয়ার পর টি২০ বিশ্বকাপে দলের হতশ্রী পারফরমেন্স হয়। এরপর ক্রিকেটারদের বিষয়ে পাক বোর্ডকে রিপোর্ট দিয়েছিলেন কার্স্টেন। নতুন করেই সব কিছু তৈরি করছিলেন। এখনও পর্যন্ত একটাও ওডিআই ম্যাচে দলকে কোচিং করানোর সুযোগ হয়নি তাঁর। এরই মধ্যে বাবরের পদত্যাগের পর সিমিত ওভারের ক্রিকেটে অধিনায়কত্ব পান মহম্মদ রিজওয়ান।