ভারতীয় ক্রিকেট দল আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতে দেশে ফিরেছে। ২০১১ সালের পর ফের ৫০ ওভারের ফরম্যাটে শাপমুক্তি ঘটেছে বিরাট কোহলি, গৌতম গম্ভীরদের হাত ধরে। সেবার শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ফাইনালে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়েছিলেন গম্ভীর এবং বিরাট কোহলি। এবার গম্ভীর হেডস্যারের স্থানে ছিলেন, আর বিরাট ছিলেন ছাত্র। আর সেখানেও জিতল টিম ইন্ডিয়া, খরা কেটেছে ১৪ বছরের।
গৌতম গম্ভীর জমানার শুরু থেকেই বিতর্ক তাড়া করে বেরিয়েছে ভারতীয় দলকে। বেশ কয়েক দশক পর টিম ইন্ডিয়া প্রথম শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ওডিআই সিরিজে হারে। এরপর নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে ০-৩ ফলে টেস্ট সিরিজ হারে। তারপর প্রায় ১০ বছর ধরে নিজেদের দখলে রাখা বর্ডার গাভাসকর ট্রফিও হাতছাড়া হয়ে যায় গম্ভীরের কোচিংয়েই। কিন্তু দুবাইতে গিয়ে সব সুদে আসলে যেন পুশিয়ে দিলেন গৌতি।
সেই সঙ্গে বিশ্বক্রিকেট এবং ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাসেও এক অনন্য নজির গড়ে ফেললেন দিল্লির ছেলে গৌতি। তিনি যে রাজনীতি ছেড়ে ক্রিকেটে ফিরে আসার সিদ্ধান্তটা ঠিকই নিয়েছিলেন সেটাই প্রমাণ পাওয়া গেল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ক্যালকুলেটিভ ক্রিকেটে। তাঁর বাছাই করা হর্ষিত রানা, বরুণ চক্রবর্তীরা ফুল ফুটিয়েছেন। যদিও সমালোচকরা এক্ষেত্রে আর গম্ভীরকে কৃতিত্ব দেবেন কিনা জানা নেই।
গম্ভীরকে নিয়ে ভাইরাল ভিডিয়ো
আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতে আসার পর থেকেই গৌতম গম্ভীরকে নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় বিভিন্ন পরিসংখ্যানের পোস্ট শেয়ার হচ্ছে। যার মধ্যে অন্যতম, গৌতির ফাইনাল ম্যাচের ক্ষেত্রে ১০০% স্ট্রাইক রেট জাতীয় দলের হয়ে। অর্থাৎ গৌতম গম্ভীর যে প্রতিযোগিতার ফাইনালে খেলেছেন, তাঁর ভারতীয় দল সব ম্যাচই জিতেছে।
গৌতির ফাইনাল ম্যাচের পরিসংখ্যান-
২০০৭ টি২০ বিশ্বকাপ ফাইনালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জয়(ক্রিকেটার)
২০১১ ওডিআই বিশ্বকাপ ফাইনালে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে জয়(ক্রিকেটার)
২০২৫ আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে জয়(কোচ)
সেই সঙ্গে মনে রাখতে হবে আইপিএলে ২০১২ এবং ২০১৪ সালে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে তিনি ফাইনালে তুলেছিলেন এরপর দুবারই কেকেআর কাপ জেতে। আর গতবার অর্থাৎ ২০২৪ সালেও কলকাতা নাইট রাইডার্স দলের মেন্টর হিসেবে তিনি যোগ দিয়েছিলেন এবং তাঁর দল সেবারও আইপিএলে চ্যাম্পিয়নের শিরোপা জিতেই মাঠ ছাড়ে।