সম্প্রতি ভারতীয় দলের কোচের পদের জন্য ইন্টারভিউ দিয়েছেন গৌতম গম্ভীর। যা নিয়ে প্রবল চর্চাও হয়েছে। রাহুল দ্রাবিড়ের উত্তরসূরির দৌড়ে আপাতত তাঁকেই এগিয়ে রাখা হচ্ছে। সবাই অপেক্ষা করে আছেন, কবে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড জাতীয় দলের কোচ হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণা করবে, তার জন্য। কিন্তু গম্ভীর এই বিষয়ে নিজে কী ভাবছেন?
এই জল্পনার মাঝেই হঠাৎ করেই এক বেলার ঝটিকা সফরে কলকাতায় হাজির হয়েছিলেন গৌতম গম্ভীর। কলকাতা নাইট রাইডার্সকে আইপিএল জেতানোর পর প্রথম বার শহরে আসেন তিনি। শুক্রবার রাতে কলকাতার একটি পাঁচতারা হোটেলে এক অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে হাজির ছিলেন গৌতম গম্ভীর। সেখানেই ভারতীয় দলের কোচ নিয়ে তাঁর দিকে আছড়ে পড়ে নানা প্রশ্ন। তবে গৌতি কিন্তু খুব সচেতন ভাবে বিষয়গুলি এড়িয়ে যেতে চাইলেন।
আরও পড়ুন: বাবর আজমদের বিরুদ্ধে গড়াপেটার অভিযোগের প্রমাণ চাই, না হলে আইনি ব্যবস্থা, হুমকি PCB-র- রিপোর্ট
ভারতীয় দলের কোচ হচ্ছেন কি না জানতে চাওয়া হলে গম্ভীর বলেন, ‘আমি অত দূরের বিষয় নিয়ে ভাবি না। আমার পাশে বসে একটার পর একটা কঠিন প্রশ্ন করে আমাকে ছিড়ে খাওয়া হচ্ছে। কিন্তু এই মুহূর্তে এর উত্তর দেওয়া কঠিন। সবে আমরা আইপিএল জিতেছি। সেই জয়টা উপভোগ করতে দিন। যা হওয়ার ভবিষ্যতে হবে। আপাতত আমি যথেষ্ট ফুরফুরে মেজাজে আছি।’
গম্ভীর সাধারণ সোজাসাপ্টা জবাব দিয়ে থাকেন। কিন্তু ভারতীয় দলের কোচ প্রসঙ্গে তিনি পুরো উত্তর দিলেন হাওয়ায় ভাসিয়ে। তবে সরাসরি না বললেও হাবেভাবে নাইটদের মেন্টর বুঝিয়ে দিলেন, তিনিই ভারতীয় দলের পরবর্তী কোচ হতে চলেছেন।
আরও পড়ুন: ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচেও কি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে? ভেস্তে গেলে চাপে পড়বেন শাকিবরা
টি২০ বিশ্বকাপ পর্যন্ত দায়িত্বে রয়েছেন দ্রাবিড়। তার পর তিনি সরে যাবেন এই পদ থেকে। শ্রীলঙ্কা এবং জিম্বাবোয়ে সিরিজে সম্ভবত ভিভিএস লক্ষ্মণকে কোচ হিসেবে দায়িত্ব দিয়ে পাঠানো হবে। আসলে বিসিসআই একটু সময়ই নিয়ে দ্রাবিড় পরবর্তী কোচের নাম ঘোষণা করতে চাইছেন। যে কারণে এই দুই সিরিজের পরেই হয়তো দায়িত্ব নেবেন নতুন কোচ।
গৌতি যদি ভারতীয় দলের কোচ হন, তবে টিমের ভিতর অনেক বদল আসবে বলেও ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন তিনি। জানিয়ে দিয়েছেন, ভারতীয় দলে ‘ব্যক্তি পুজো’ তিনি বরদাস্ত করবেন না। তাঁর নজরে সবাই সমান। কাদের সতর্ক করলেন গম্ভীর?
আরও পড়ুন: সহজতম ক্যাচ ফেলে নিজেই বিস্মিত কোহলি, মাথায় হাত রোহিতেরও- ভিডিয়ো
তিনি স্পষ্ট বলে দিয়েছেন, ‘আমি যে দলে খেলেছি এবং যেখানে কাজ করেছি, একটাই নীতি ধরে চলেছি। দলগত খেলায় ব্যক্তিগত সাফল্য গুরুত্বপূর্ণ, তবে সেটাই শেষ কথা নয়। প্রতিষ্ঠানের থেকে কেউ বড় নয়। দলই শেষ কথা। যেই পারফর্ম করুক না কেন, দলের ১১ জন সমান ব্যবহার, ট্রিটমেন্ট, সম্মান পাবে। তবেই সাফল্য আসে। দলে ২-৩ জনের ওপর ফোকাস করা হলে, বাকিদের কেমন লাগবে?’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘দলের ম্যাসিওর থেকে অধিনায়ক, সবার সমান সম্মান এবং ট্রিটমেন্ট প্রাপ্য। কোনও পার্থক্য করা উচিত নয়। দলের মধ্যে এই মন্ত্র বা দর্শন আনতে হবে। আমার দলে কোনও ব্যক্তি পুজো বা তারকা পুজো চলবে না। একজন পার্থক্য গড়ে দিতে পারে, তবে সেই শেষ কথা নয়। আমি ব্যক্তি পুজো বুঝি না। ভগত সিং ছাড়া কোনও দিন কাউকে এই ভাবে দেখিনি।’