অস্ট্রেলিয়া সফরেই চূড়ান্ত পরীক্ষায় বসতে চলেছেন গৌতম গম্ভীর। সংবাদমাধ্যম দৈনিক জাগরণের প্রতিবেদন অনুযায়ী, অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে টেস্ট সিরিজে টিম ইন্ডিয়া যদি বাজেভাবে হেরে যায়, তাহলে লাল বলের কোচিং থেকে গম্ভীরকে সরিয়ে দিতে পারে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। তাঁকে শুধুমাত্র সাদা বলের (একদিনের ক্রিকেট এবং টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট) ক্রিকেটে কোচ রাখা হতে পারে। আর টেস্টে ভারতীয় দলের হেড কোচের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে ভিভিএস লক্ষ্মণের হাতে।
লক্ষ্মণকে করা হবে টেস্ট দলের কোচ?
এমনিতে ভারতীয় দলের কোচিং সেট-আপে দীর্ঘদিন ধরেই আছেন লক্ষ্মণ। রাহুল দ্রাবিড় যখন ভারতীয় দলের হেড কোচ ছিলেন, তখন মাঝেমধ্যেই লক্ষ্মণের কোচিংয়ে টি-টোয়েন্টি দলকে খেলতে পাঠানো হত। এখন যে ভারতীয় টি-টোয়েন্টি দল দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়েছে, সেখানেও ভারতের প্রাক্তন তারকা ক্রিকেটার তথা জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির (এনসিএ) প্রধানকে কোচ করে পাঠানো হয়েছে।
তবে ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, অস্ট্রেলিয়ায় পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ভারত যদি বাজে পারফরম্যান্স করে, তাহলে গম্ভীরকে লাল বলের হেড কোচের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে। পরিবর্তে গম্ভীরকে শুধুমাত্র একদিনের ক্রিকেট এবং টি-টোয়েন্টি দলের কোচিংয়ে রাখা হবে বলে ওই রিপোর্টে জানানো হয়েছে। তবে বাজে পারফরম্যান্স বলতে সিরিজের ফলাফল কত হবে, সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।
৬ ঘণ্টার বৈঠকে পোস্ট-মর্টেম!
আর সেই বিষয়টি সামনে এমন একটা সময় আসছে, যখন নিউজিল্যান্ড সিরিজে হোয়াইটওয়াশ নিয়ে ছয় ঘণ্টা ম্যারাথন বৈঠক করেছে বিসিসিআই। সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, সেই বৈঠকে হাজির ছিলেন ভারতীয় দলের প্রধান নির্বাচক অজিত আগরকর, ভারতীয় দলের অধিনায়ক রোহিত শর্মা, বিসিসিআই সচিব জয় শাহ এবং বিসিসিআই সভাপতি রজার বিনি। অনলাইনে সেই বৈঠকে যোগ দেন গম্ভীর।
গম্ভীরের কোচিং স্টাইলে খুশি নন অনেকেই?
সেই বৈঠকে নিউজিল্যান্ড সিরিজে নেওয়া গম্ভীর ও টিম ম্যানেজমেন্টের একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বলে সূত্র উদ্ধৃত করে ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, গম্ভীরের কোচিং ধরন নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল কিনা, তা এখনও নিশ্চিত নয়। কিন্তু গম্ভীরের কোচিং স্টাইলে খুশি নন ভারতীয় থিঙ্কট্যাঙ্কের কয়েকজন সদস্য।
অস্ট্রেলিয়া সফরের দলে নীতীশকুমার রেড্ডি এবং মাত্র ১০টি রঞ্জি ম্যাচে খেলা হর্ষিত রানাকে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তাঁদের দলে নেওয়ার বিষয়ে সকলেই একই মনোভাব পোষণ করেননি বলে সূত্র উদ্ধৃত করে পিটিআইয়ের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।