অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বর্ডার গাভাসকর ট্রফিতে ভরাডুবি হয়েছে ভারতের। এরপরেই ভারতীয় দলে বিভাজন দেখা গিয়েছে বলে দাবি করা হয় বিভিন্ন রিপোর্টে। এসবের মাঝেই বোর্ডের অস্বস্তি বাড়াচ্ছে আরও এক ঘটনা। জানা যাচ্ছে ভারতীয় দলের হেড কোচ গৌতম গম্ভীর এবং বোলিং কোচ মর্নি মর্কেলের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছিল অস্ট্রেলিয়া সফরেই। গৌতম গম্ভীর খুবই শৃঙ্খলাপরায়ণ একজন ব্যক্তি। তাই কোনও রকমের ঢিলেমি বরদাস্ত করেন না তিনি। BCCI-এর সূত্র উদ্ধৃত করে এক সংবাদপত্রে দাবি করা হয়েছে যে অস্ট্রেলিয়া সফরে এক প্র্যাক্টিস সেশনে ব্যক্তিগত মিটিং থাকার কারণে দেরিতে পৌঁছেছিলেন মর্নি। বিষয়টি মোটেও পছন্দ হয়নি গম্ভীরের। এরপরেই তাঁকে তিরস্কার করেছিলেন ভারতীয় দলের হেড কোচ।
সংবাদপত্রে এক BCCI-র সূত্রকে উদ্ধৃত করে লেখা হয়েছে, ‘গম্ভীর খুবই শৃঙ্খলাপরায়ণ। সঙ্গে সঙ্গে সে মর্নিকে মাঠের মধ্যেই তিরস্কার করেছিল। বোর্ডের তরফে জানা গেছে এই কারণে সফরের বাকি সময়ে মর্নি কিছুটা চুপচাপ ছিল। দলকে মসৃণভাবে চালনা করার জন্য এই দু’জনের ঝামেলা মেটানো প্রয়োজন।’ অস্ট্রেলিয়া সফরে ভরাডুবির পর কোচ গৌতম গম্ভীর এবং রোহিত-বিরাটের মতো সিনিয়র খেলোয়াড়দের নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই হারের কারণ পর্যালোচনা করেছে BCCI। শুধু হেড কোচ বা সিনিয়র ক্রিকেটাররা নয়, দলের সাপোর্ট স্টাফদের উপর নজর রাখছে বোর্ড। তাদের ভূমিকাও পর্যালোচনার কেন্দ্রে রয়েছে। জানা যাচ্ছে সিনিয়র খেলোয়াড়দের থেকে সাপোর্ট স্টাফদের বিষয়ে ফিডব্যাকও সংগ্রহ করা হবে।
অজি সফরের বারবার বিরাট অফ স্টাম্পের বাইরের বলে আউট হয়েছে, এই বিষয়ে ব্যাটিং কোচের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন কিংবদন্তি ভারতীয় ক্রিকেটার সুনীল গাভাসকর। জানা যাচ্ছে সেই মতো ব্যাটিং কোচ অভিষেক নায়ারের উপর নজর রাখছে বোর্ড। BCCI-এর সূত্র জানিয়েছে, ‘ব্যাটিং কোচ অভিষেক নায়ার বিশেষ করে বোর্ডের নজরে রয়েছে। গম্ভীর নিজেও একজন দক্ষ ব্যাটার ছিল। বোর্ড খেলোয়াড়দের কাছে জানতে চাইবে যে অভিষেক নায়ার আলাদা করে কিছু পার্থক্য তৈরি করছে কিনা। একই ভাবে সহকারী কোচ রায়ান টেন দুশখাতেও নজরে রয়েছে। তার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খুব বেশি অভিজ্ঞতা না থাকাটা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।’ উল্লেখ্য, হেড কোচ হিসেবে গৌতম গম্ভীরের ভবিষ্যৎ কী হবে সেটা নিয়েও আলোচনায় বসবে BCCI। তবে সেটা এখনই নয়। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শেষ হলে পরে এনিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে বোর্ড।