ভারতীয় দলের কোচের পদে এসেছেন গৌতম গম্ভীর। ভারতীয় দলের এই তারকা ক্রিকেটার দেশের হয়ে জিতেছেন দুটি বিশ্বকাপ। দুই বিশ্বকাপ ফাইনালেই সর্বোচ্চ স্কোর ছিল তাঁরই। ২০০৭ সালে টি২০ বিশ্বকাপে ম্যাচ জেতানো ইনিংস রান এসেছিল তাঁর ব্যাট থেকে, কিন্তু সেবার ফাইনালে ম্যাচের সেরার পুরস্কার পেয়েছিলেন ইরফান পাঠান। এরপর ২০১১ সালের ওডিআই বিশ্বকাপে গম্ভীর করেছিলেন ম্যাচ জেতানো ৯৭ রান, কিন্তু সেবারও দল জিতলেও ম্যাচের সেরা হতে পারেননি গম্ভীর, বিশ্বকাপ ফাইনালের সেরা হয়েছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। যদিও ম্যান অফ দ্য ম্যাচ না হওয়া নিয়ে কোনও আক্ষেপই নেই গৌতির, তবে একটা বিষয় নিয়ে এখনও মনটা খচ খচ করে ওঠে ভারতীয় দলের নবনিযুক্ত কোচের।
বিশ্বকাপ ফাইনালে শ্রীলঙ্কান মুত্থাইয়া মুরলিধরন, নুয়ান কুলাসেখরাদের বিপক্ষে গৌতম গম্ভীর করেছিলেন ৯৭ রান। শ্রীলঙ্কার ২৭৮ রানের লক্ষ্যমাত্রার সামনে ১২২ বলে গৌতির সেই ইনিংস ছিল দেশের মাটিতে অন্যতম সেরা ইনিংস। ফাইনালে শতরান পাওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন তিনি। কারণ সেই ম্যাচে গৌতম গম্ভীর যদি শতরান করতে পারতেন তাই ভারতের হয়ে ওডিআই বিশ্বকাপ ফাইনালে শতরানের নজির গড়তেন তিনি, কিন্তু সেটা হয়নি।
আরও পড়ুন-কুঁকড়ে ছিলেন ব্যাটাররা! অশ্বিন-জাদেজা এসেই শুরু পাল্টা মার! পেটালেন শাকিবকে…
১৯৮৩ সালে ভারত বিশ্বকাপ জিতলেও ওডিআই বিশ্বকাপের ফাইনালে সেবার ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেছিলেন কৃষ্ণমাচারী শ্রীকান্ত। ২০০৩ বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারত হেরে গেছিল, সেবার ভারতের হয়ে ফাইনালে সর্বোচ্চ ৮২ রান ছিল বীরেন্দ্র সেহওয়াগের। ২০০৭ টি২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে গৌতি করেছিলেন ৭৫ রান, ফলে ২০১১ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে শতরান করলেই গৌতি এলিট ক্লাবে প্রবেশ করতে পারতেন। কিন্তু সেটা না করতে পারায় এখনও আক্ষেপ যাচ্ছে না দিল্লির এই ব্যাটারের।
বিরাট কোহলি-রোহিত শর্মাদের কোচ বলছেন, ‘আমি ২০১১ বিশ্বকাপ ফাইনালে একটু তালগোল পাকিয়ে ফেলেছিলাম। অনেকেই আমায় বলে কেন আমি ওই শটটা তখন খেলতে গেছিলাম, কিন্তু আমার কাছে লক্ষ্য ছিল দলের জয়। সেই কারণেই ওই শটটা খেলেছিলাম। আমি ৯৭এ যখন ব্যাটিং করছিলাম, তখনই ভাবছিলাম কিভাবে সেলিব্রেট করব শতরানের পর, কারণ একটা বড় শটের দূরে ছিলাম আমি। ভাবছিলাম বিশ্বকাপ ফাইনালে প্রথম কোনও ভারতীয় ক্রিকেটার হিসেবে শতরান করব আমি। কিন্তু আউট হওয়ার পর আমার হতাশাটা শতরান হাতছাড়া হওয়ার জন্য ছিল না, প্রতিপক্ষকে অক্সিজেন দিয়ে ফেলার জন্য ছিল’।
যদিও গৌতম গম্ভীরের কথা অনুযায়ী শ্রীলঙ্কা দল সেই ম্যাচে তাঁর আউটের পর খুব বেশি অক্সিজেন পায়নি। কারণ তখনও উইকেটে ছিলেন ভারত অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি, যিনি ৯১ রান করে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। এছাড়াও যুবরাজ সিং করেছিলেন অপরাজিত ২১ রান। ম্যাচের সেরা হন ধোনি, সিরিজের সেরা ক্রিকেটার হয়ে মাঠ ছাড়েন যুবি। দেশের হয়ে জোড়া বিশ্বকাপের ফাইনালে সর্বোচ্চ রান করেও শতরান পাওয়া আর হয়নি গৌতম গম্ভীরের।