বাংলাদেশ সিরিজ শুরুর আগেই আবারও গৌতম গম্ভীরের কাছে একটি প্রশ্ন উড়ে এসেছিল সাংবাদিক সম্মেলনে। তা হল ভারতের পিচ নিয়ে। বরাবরই ভারতীয় ক্রিকেটারদের এই প্রশ্ন বিদ্ধ করে থাকেন বিদেশি সাংবাদিকরা। ভাবখানা এমন দেখান তাঁরা যেন অন্যান্য দেশ নিজেদের মতো করে পিচ বানায় না, ভারতে স্পিন সহায়ক পিচ হলেই দোষ। এবার এই নিয়েই সরসারি সেনা দলগুলোকে খোঁচা দিলেন ভারতীয় দলের কোচ গৌতম গম্ভীর। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, এবার নিজেদের দিকে তাকানোর সময় এসেছে বাকি দলগুলোর। যদি কোনও দলের ব্যাটাররা স্পিন ভালো খেলতে না পারে, তাহলে সেটা সেই দলের ক্রিকেটারদেরই দুর্বলতা, এক্ষেত্রে ভারতের কিছুই করার নেই।
গৌতম গম্ভীর সরাসরি সমালোচকদের খোঁচা দিয়েছেন ভারতের পিচ নিয়ে প্রশ্ন তোলায়। তাঁর মতে, সেনা দেশগুলোয় যখন তিনদিনের মধ্যে টেস্ট শেষ হয়ে যায় তখন কোনও কথা ওঠে না, আর ভারতে স্পিনাররা ভালো বোলিং করায় টেস্ট যদি পাঁচদিন না চলে, তাহলেই প্রশ্ন উঠে যায়। তাই গৌতির পরামর্শ, বিদেশি ক্রিকটোরদেরই ভালোভাবে স্পিন খেলতে শেখা উচিত ভারতকে লড়াই দেওয়ার জন্য।
গৌতম গম্ভীর বলছেন, ‘যখন আমরা অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, সাউথ আফ্রিকায় খেলতে যাই আর টেস্ট আড়াই দিনের মধ্যে শেষ হয়ে যায় তখন কেউ কথা বলে না সেটা নিয়ে। কিন্তু যখন ওরাই ভারতে খেলতে আসে আর দু-আড়াই দিনে খেলা শেষ হয়ে যায়, তখন সবাই বলে স্পিনাররা অনেক সুবিধা পেয়েছে। উইকেট যদি ফাস্ট বোলার সহায়ক হত তখন কেউ কোনও কথা বলে না। তাই আমার মনে হয় এক্ষেত্রে সবার নিরপেক্ষ হওয়া উচিত। আমার মনে হয় না, বিশ্বের কোনও প্রান্তেই এমন উইকটে বলে বলে বানানো সম্ভব, যেখানে ম্যাচ পাঁচদিনের হবেই, তাই প্রতিপক্ষদের শিখতে হবে কিভাবে স্পিনারদের খেলতে হয় ’।
গম্ভীরের মতে পিচের চরিত্রের থেকেও গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটারদের সব পিচে খেলার দক্ষতা। ভারতীয় দলের হেড কোচের কথায়, ‘ভালো টেস্ট চাইলে, সেই মতো কোয়ালিটি থাকতে হবে। যাতে টার্নিং ট্র্যাকে স্পিনও ভালো খেলতে পারো আবার সবুজ উইকেটে ফাস্ট বোলিংও ভালো খেলতে পারো। তাই আমার মনে হয়, এখানেই এই বিতর্কের শেষ হওয়া উচিত যে ভারতে স্পিনাররা বাড়তি সুবিধা পায়। তাই বিদেশি ক্রিকেটারদের পিচের চরিত্র বদলের কথা না বদলে, স্পিন ভালোভাবে খেলাকেই রপ্ত করা উচিত’।