অস্ট্রেলিয়া সফরে ভরাডুবির জেরে ক্রিকেটারদের জন্য ঘরোয়া ক্রিকেট খেলা বাধ্যতামূলক করেছে বোর্ড। সেই মতো গত সপ্তাহে রঞ্জি ট্রফিতে খেলতে দেখা যায় রোহিত শর্মা, যশস্বী জসওয়াল, ঋষভ পন্ত, রবীন্দ্র জাদেজা, শুভমন গিলের মতো তারকা ক্রিকেটারদের। তবে খেলেননি বিরাট কোহলি, কেএল রাহুলরা। মূলত চোটের কারণ দেখিয়েছিলেন তাঁরা। ঘাড়ের চোট ছিল বলে দাবি করেছিলেন বিরাট। শোনা যাচ্ছিল ব্যথা কমাতে ইনজেকশন নিচ্ছিলেন তিনি। অন্যদিকে কনুইয়ের চোটের কারণে খেলতে পারেননি কেএল রাহুল। তবে এই দুই ক্রিকেটারই ৩০ তারিখ থেকে শুরু হতে চলা রঞ্জির গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে নিজের নিজের রাজ্যের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করবেন। দিল্লির হয়ে রেলওয়েজের বিরুদ্ধে ম্যাচ খেলবেন বিরাট এবং কর্ণাটকের হয়ে হরিয়ানার বিরুদ্ধে ম্যাচে খেলতে দেখা যাবে রাহুলকে।
তবে আগের ম্যাচে বিরাট-রাহুলদের না খেলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রাক্তন ক্রিকেটার সুনীল গাভাসকর। তিনি মনে করছেন বোর্ডের উচিত তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া। তিনি একই সঙ্গে বোর্ডকে স্মরণ করিয়ে দেন যে মেডিক্যাল সার্টিফিকেট দেওয়াটা বড় বিষয় নয়। বিরাট-রাহুলরা খেলতে নামার আগে গাভাসকর এক সংবাদমাধ্যমের কলামে লিখেছেন, ‘তারা যদি না খেলে তাহলে দেখার বিষয় হবে বোর্ড তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়। তারা কী আহত? চোটের জন্য মেডিক্যাল সার্টিফিকেট দেওয়াটা শিশুসুলভ আচরণ। যদি ওরা সত্যিই চোট পেয়ে থাকে তবে কি তারা NCA-তে গিয়েছিল? নীতীশ রেড্ডিকে তো সাইড স্ট্রেইনের জন্য সেখানে পাঠানো হয়েছিল।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘BCCI-এর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড়দের এটা নিয়ম নয়, যে তারা যখনই চোট পাবে সঙ্গে সঙ্গে NCA-তে রিপোর্ট করবে? সেখানে বিশেষজ্ঞরা যখন ফিট সার্টিফিকেট দেয় তারপর তো তারা ফের দেশের হয়ে খেলা শুরু করতে পারে? আমরা সবাই জানি কোনও রকম চোট না থাকা সত্ত্বেও এই খেলোয়াড়রা ম্যাচ এড়িয়ে গিয়েছিল। খুব তাড়াতাড়ি আমরা পুরো বিষয়টা জানতে পারব।’ উল্লেখ্য, প্রায় ১২ বছর পর দিল্লির হয়ে রঞ্জি ট্রফির ম্যাচ খেলতে নামবেন বিরাট। ইতিমধ্যেই দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন তিনি। অনুশীলন করছেন পুরোদমে। ২০১২ সালে উত্তরপ্রদেশের বিরুদ্ধে গাজিয়াবাদে শেষ রঞ্জি ট্রফির ম্যাচটি খেলেছিলেন বিরাট। এখন দেখার সেই ম্যাচে ব্যাট হাতে রানে ফিরতে পারেন নাকি তিনি। তাঁকে খেলতে দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে আছে বিরাট প্রেমীরা।