টেস্টে টু টিয়ার সিস্টেম চালু করতে চায় ICC। প্রচুর প্রাক্তন ক্রিকেটারও এর পক্ষে সওয়াল তুলেছিলেন। বর্ডার গাভাসকর ট্রফিতে রেকর্ড দর্শক হওয়ার পর এই বিষয়টা নিয়ে আলোচনা শুরু করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল। কিন্তু টু টিয়ার সিস্টেমের চালুর বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন ক্রিকেটার গ্রেম স্মিথ। তিনি মনে করেন এই সিস্টেম চালু হলে সম্যসা তৈরি হবে ক্রিকেট বিশ্বে। তবে টেস্টে টু টিয়ার সিস্টেম চালু করার প্রস্তাবটি নতুন কিছু নয়। এর আগে ২০১৬ সালে একবার আলোচনা শুরু হয়েছিল বিষয়টি নিয়ে। তবে সেই সময় আপত্তি জানিয়েছিল BCCI। তৎকালীন BCCI সভাপতি অনুরাগ ঠাকুর বলেছিলেন,‘BCCI দ্বি-স্তরীয় টেস্ট পদ্ধতির বিরুদ্ধে, কারণ এর ফলে সমস্যায় পড়বে ছোট দেশগুলি। BCCI সব সময় তাদের পাশে রয়েছে।’
গ্রেম স্মিথ স্কাই স্পোর্টসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে টেস্টে টু টিয়ার সিস্টেমের বিরোধিতা করেছেন। তিনি বলেছেন, এই নিয়ম চালু হলে অস্ট্রেলিয়া, ভারত এবং ইংল্যান্ড বাদে বাকি দলগুলি সমস্যায় পড়বে। স্মিথ বলেন, ‘আমি ICC-র বিষয়টি বুঝতে পারছি। আমি আজ সকালে একটা খবর দেখলাম যেখানে বলা হয়েছে পরবর্তী সময়ে ইংল্যান্ড, ভারত এবং অস্ট্রেলিয়া একে অপরের বিপক্ষে বেশি ম্যাচ খেলবে। এটা বাকি দেশগুলির জন্য খুবই খারাপ হবে… ভারত সম্ভবত সবচেয়ে ভালো জায়গায় থাকবে কারণ তারা বাণিজ্যিকভাবে অন্যান্য দেশের জন্য নির্ভরযোগ্য। কিন্তু আপনি কোনও খেলায় দেখেছেন যে সেরা তিনটি দেশ একে অপরের বিরুদ্ধে সব সময় খেলছে?’ স্মিথ বলেছেন, ক্রিকেটের উন্নতির স্বার্থে দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং শ্রীলঙ্কার পাশে দাঁড়ানো উচিত ICC-র। তিনি যোগ করেন, ‘ICC কীভাবে প্রধান তিনটি দলকে মাথায় রেখে এরকম একটা কাঠামো তৈরি করতে পারে? আমার মনে হয় বিশ্ব ক্রিকেটের প্রয়োজন, একটা শক্তিশালী দক্ষিণ আফ্রিকার, একটা শক্তিশালী ওয়েস্ট ইন্ডিজের, আরও উন্নত শ্রীলঙ্কার। নাহলে আমরা ভবিষ্যতে শুধু তিনটি দেশকেই ক্রিকেট খেলতে দেখব।’
উল্লেখ্য, টু টিয়ার সিস্টেম চালু হলে ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড এবং দক্ষিণ আফ্রিকার মতো বিশ্ব ক্রিকেটের প্রথম সারির দলগুলি নিজেদের মধ্যে আরও বেশি ম্যাচ খেলবে, ফলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা আরও বৃদ্ধি পাবে। অন্যদিকে আয়ারল্যান্ড, আফগানিস্তান এবং জিম্বাবোয়ের মতো দল, যারা টেস্ট খেলার জন্য অত বেশি পরিচিত নয়, তাদের দ্বিতীয় সারিতে রাখা হবে। সম্ভাবনা রয়েছে দ্বিতীয় সারিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং বাংলাদেশের থাকার। কারণ সাম্প্রতিক কালে টেস্টে খুব বেশি সাফল্য পায়নি এই দুই দেশ। যদিও দলগুলির কাছে উত্তীর্ণ হওয়ার বা অবনমনে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে কিনা সেই বিষয়ে এখনও কিছু স্পষ্ট হয়নি।