২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে আমেরিকায় প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ত সূর্যকুমার যাদব। এর মাঝেই সুখবর এল সূর্যের কাছে। টি-টোয়েন্টিতে তিনি এক নম্বর ব্যাটারের জায়গাটি তো ধরে রেখেছেনই, সেই সঙ্গে আইসিসি পুরুষদের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটার অফ দ্য ইয়ার পুরস্কারও জিতে নিয়েছেন। এই নিয়ে টানা দ্বিতীয় বছর।
আরও পড়ুন: ভারত-পাক ম্যাচে জঙ্গি হামলার হুমকি, বাড়ানো হচ্ছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা
সূর্য চোট সারিয়ে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে প্রত্যাবর্তন করেন। তবে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে প্রথম দিকের ম্যাচ তিনি খেলতে পারেননি। কারণ তিনি চোট থেকে সেরে উঠতে রিহ্যাবে ব্যস্ত ছিলেন। তবে আইপিএলে ফিরেও তাঁকে ধারাবাহিক পারফম্যান্স করতে দেখা যায়নি। তবু তিনি ১৬৭.৪৭ স্ট্রাইক রেটে ৩৪৫ রান করেছেন। এর মধ্যে ৫১ বলে অপরাজিত ১০২ রানের দুরন্ত ইনিংস অন্তর্ভুক্ত ছিল।
আরও পড়ুন: দ্রাবিড়ের পর রোহিতদের কোচ হিসেবে গম্ভীরকেই চূড়ান্ত করতে চলেছে BCCI- রিপোর্ট
বড় প্রাপ্তি
স্কাই বুধবার ইনস্টাগ্রামে আইসিসির স্মারক ক্যাপ পরে পুরস্কার হাতে নিয়ে নতুন ভারতীয় জার্সিতে পোজ দিয়ে একটি ছবি পোস্ট করেছেন। সঙ্গে তিনি ক্যাপশনে শুধু লিখেছেন, ‘কৃতজ্ঞ’। সূর্যকুমার যাদব ২০২৩ সালে ১৭টি টি-টোয়েন্টি ইনিংসে ১৫৫.৯৫ স্ট্রাইক রেট এবং ৪৮.৮৬ গড়ে ৭৩৩ রান করেছিলেন।
চোট থেকে সেরে উঠেছেন সূর্যকুমার
ডিসেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকায় তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ভারতীয় দলের অধিনায়ক ছিলেন সূর্যকুমার যাদব। সেই সিরিজের তৃতীয় ম্যাচটি তাঁর শেষ টি-টোয়েন্টি খেলা ছিল। যে ম্যাচে ভারত ১০৬ রানে জিতেছিল। সূর্যকুমার সেই ম্যাচে ৫৬ বলে ১০০ রান করেছিলেন। কিন্তু পরে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসের সময় গোড়ালিতে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাঁকে। এই চোটের জন্য তাঁকে একটি অস্ত্রোপচারও করতে হয়েছিল। যার জেরে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে টি-টোয়েন্টি সিরিজ থেকেও বাদ পড়েন সূর্য। আসলে তাঁকে স্পোর্টস হার্নিয়া থেকে সেরে উঠতে অস্ত্রোপচার করাতে হয়েছিল। কারণ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটি আরও খারাপ জায়গায় যাচ্ছিল এবং অস্ত্রোপচার করা ছাড়া কোনও উপায় ছিল না।
অস্ত্রোপচারের পর সূর্যকুমার যাদব এর থেকে পুরো সেরে উঠতে লম্বা সময়ে রিহ্যাবে ছিলেন। যার ফলে ২০২৪ আইপিএল মরশুমে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে প্রথম তিনটি ম্যাচ তিনি খেলতে পারেননি। অবশেষে তিনি দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে এমআই-এর হোম ম্যাচে ডিসেম্বরের পর তাঁর প্রথম ম্যাচ খেলেন। এমআই সেই ম্যাচে ২৯ রানে জিতলেও, সূর্যকুমার দুই বলে শূন্য রানে আউট হয়ে গিয়েছিলেন। তবে পরের ম্যাচেই তিনি নিজের ছন্দে ফেরেন। ১৯ বলে ৫২ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেন। এবং রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে এমআই-কে সাত উইকেটে জেতাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন। সেই ম্যাচে মাত্র ১৭ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করেছিলেন তিনি।