টেস্ট ক্রিকেটে দুরন্ত শুরু করেছে ইংল্যান্ডের মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান হ্যারি ব্রুক। নিজের পারফরম্যান্সের মাধ্যমে নজর কেড়েছেন সকলের। অনেকেই তাঁকে আগামী দিনের তারকা মনে করছেন। তিনি বিশ্ব ক্রিকেটের ফ্যাব ফোরদের চাপিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা রাখেন। বর্তমানে নিজের দেশের হয়ে ২৪টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন ব্রুক। তাঁর ব্যাটিং গড় ৫৮.৪৮। তিনি ইতিমধ্যেই ইংল্যান্ড দলের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হয়ে উঠেছেন। অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি ক্রিকেটার গ্রেগ চ্যাপেল তো সচিন তেন্ডুলকরের সঙ্গে ব্রুকের তুলনা করেছেন। তিনি মনে করেন এই ইংরেজ ব্যাটসম্যানের একটি সহজ কিন্তু ‘বিধ্বংসী কার্যকর’ ব্যাটিং পদ্ধতি আছে, যা তাঁকে সফলতা এনে দিচ্ছে।
চ্যাপেল হয়তো হ্যারি ব্রুক এবং সচিন তেন্ডুলকরের ক্যারিয়ারের প্রাথমিক পরিসংখ্যানের তুলনা করেছেন। তবে একটা কথা ভুললে চলবে না। নিজের টেস্ট ক্যারিয়ারের শুরুতে, সচিন ৬ এবং ৭ নং পজিশনে ব্যাট করতেন, আর ব্রুক টপ এবং মিডল অর্ডারে ব্যাট করছেন। সিডনি মর্নিং হেরাল্ডে লেখা তাঁর আর্টিকেলে চ্যাপেল উল্লেখ করেছেন, ‘হ্যারি ব্রুক, একজন ব্যাটিং সেনসেশন যার পারফরম্যান্স এবং অ্যাপ্রোচকে আমি সচিন তেন্ডুলকরের সঙ্গে তুলনা করব। উল্লেখযোগ্যভাবে ব্রুকের প্রাথমিক পরিসংখ্যান দেখে মনে হচ্ছে সে ভারতীয় কিংবদন্তিকে ছাপিয়ে যাবে।’ তিনি আরও যোগ করেছেন, ‘মাত্র ২৫ বছর বয়স হলেও ব্রুক এই মুহূর্তে বিশ্ব ক্রিকেটের সবচেয়ে চর্চিত নাম। তার একটা সহজ কিন্তু বিধ্বংসী কার্যকর ব্যাটিং পদ্ধতি আছে। অনেকটা সচিনের শুরুর দিকের মতো, ব্রুক বল ডেলিভারির আগে ক্রিজের ভেতরে খুব বেশি নড়াচড়া করে না।’
চ্যাপেল আরও মনে করেন যে হ্যারি ব্রুকও তেন্ডুলকরের মতো কব্জির ফ্লিক, ক্রাঞ্চিং ড্রাইভ এবং ব্যাক-ফুট শট দিয়ে মাঠের মধ্যে দাপিয়ে বেড়ান। তবে এটা বলা দরকার যে হ্যারি ব্রুকের সেঞ্চুরিগুলি ফ্ল্যাট ট্র্যাকে এসেছে। টার্নিং ট্র্যাক এবং বাউন্সি পিচে তাঁর খেলা এখনও পরীক্ষা হওয়া বাকি। ২০২৫ সালের শেষের দিকে ব্রুকের জন্য আসল পরীক্ষা অপেক্ষা করছে, যখন ইংল্যান্ড অ্যাশেজের জন্য অস্ট্রেলিয়া সফরে যাবে। চ্যাপেল বলেন, ‘তেন্ডুলকর শুরুর দিকে বোলারের পেসকে কাজে লাগিয়ে উইকেটের উভয় পাশে প্রচুর শট খেলত। ব্রুক শারীরিকভাবে আরও বড় এবং শক্তিশালী ক্রিকেটার হওয়া সত্ত্বেও সেও একই ভাবে মাঠের মধ্যে কব্জির ফ্লিক, ক্রাঞ্চিং ড্রাইভ এবং ব্যাক-ফুট শট খেলে নিজের ক্ষমতা জাহির করে। এটা খুবই সহজ পদ্ধতি, কিন্তু সরলতা প্রায়শই মহত্ত্বের জন্ম দেয়।’