আইপিএলে এবছর একদমই ভালো পারফরমেন্স করতে পারেনি গুজরাট টাইটান্স দল। এবারে একদমই ছন্নছাড়া দেখিয়েছে গত দুবারের ফাইনালিস্টদের। ২০২৪ আইপিএলে ফাইনালে ওঠা তো দুরের কথা প্লে অফ থেকেও অনেক দূরে শেষ করে আশিস নেহরা, শুভমন গিলদের গুজরাট। ওপেনিংয়ে ব্যর্থতা, মিডল অর্ডারে ব্যাটিং গভীরতার অভাব, একইসঙ্গে দাঁতনখহীন বোলিংয়ের দৌলতে টাইটানসরা এবারের আইপিএলে অষ্টম স্থানে শেষ করে। রশিদ খান থেকে স্পেন্সর জনসন, নজর কাড়তে ব্যর্থ প্রত্যেকেই। ডেভিড মিলারও আছেন সেই তালিকায়, এরই মধ্যে অবশ্য আশার আলো দেখিয়েছেন টপ অর্ডারে সাই সুদর্শন। আইপিএলে দলের ব্যর্থতার সময়ই নির্ভরতা দিয়েছেন চেন্নাইয়ের ২২ বছরের যুবক।
আরও পড়ুন-রিয়ালের জন্য ট্রফি নিয়ে আসলেন জিনেদিন জিদান, নষ্টালজিয়ায় ভাসল ওয়েম্বলি স্টেডিয়াম
গুজরাট দলের হয়ে এবারের আইপিএলে সর্বোচ্চ রানের মালিক হন চেন্নাই থেকে উঠে আসা সাই সুদর্শন। এবছর সবকটি ম্যাচেই খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন। শেষ দুই ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ায় নিজের রানের ট্যালি আর বাড়াতে পারেননি। তবে ১২ ম্যাচে ৫২৭ রান করে সকলেরই প্রশংসা কুড়িয়েছেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। ওপেনিংয়ে ঋদ্ধিমান সাহা ব্যর্থ হতে তাঁকে প্রোমোট করা হয়েছিল ওপেনিংয়ে, সেখানে শতরানও করেন সাই। দেশের হয়ে এত কম বয়সেই খেলে ফেলেছেন তিনটি একদিনের ম্যাচ। দঃ আফ্রিকার বিপক্ষে তিন ম্যাচে করেন ১২৭ রান, সেই সাই অবশ্য বলছেন, এখনই আইপিএলের নিলাম নিয়ে ভাবতে চান না, বরং খেলাতেই মনোনিবেশ করতে চান।
আরও পড়ুন-১০ বছরে টানা ৬টি নির্বাচনে হার… রাজনীতির ময়দানে লজ্জার রেকর্ড ভাইচুং ভুটিয়ার
তামিলনাড়ু ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে গিয়ে আইপিএলের অভিজ্ঞতা নিয়ে সাই সুদর্শন বলেন, ‘এবারের আইপিএল থেকে অনেক কিছু শিখেছি, এই প্রথম লিগের সব ম্যাচে খেললাম। খারাপ ইনিংস কীভাবে সামাল দিতে হয়, সেটা এবছরের আইপিএল থেকে আমি শিখেছি। আইপিএলের নিলাম এখনও অনেক দেরি আছে, তাই সেসব নিয়ে না ভেবে, এখন আমি শুধুই আমার ব্যাটিং নিয়ে ভাবছি। কোন কোন জায়গায় আরও উন্নতি করা যায়, সেদিকেই নজর দিচ্ছি ’। এবছর ভালো রান করলেও, পাওয়ার প্লেতে তাঁর স্ট্রাইক রেট ছিল কম, যা নিয়ে বিশেষজ্ঞরা প্রশ্ন তুলেছিলেন।
আরও পড়ুন-ভিডিয়ো, এলেন,দেখলেন,এক হাতে ছয় মারলেন,দলকে জেতালেন… প্রত্যাবর্তনেই সুপারহিট ঋষভ পন্ত
জাতীয় দলের হয়ে খেলার অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে সাই সুদর্শন বলছেন, জাতীয় দলে খেলার ক্ষেত্রে পরিবেশ পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়াই প্রধান গুরুত্বপূর্ণ কাজ। সিনিয়র দলের হয়ে খেলার পাশাপাশি ইন্ডিয়া এ দলের হয়েও খেলায়, মাঠে এবং মাঠের বাইরে ক্রিকেটারদের সঙ্গে ভালোই বোঝাপড়া রয়েছে, বলছেন সাই। উল্লেখ্য, এবছর টিএনসিএর পক্ষ থেকে বর্ষসেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার পান এই বাঁহাতি তরুণ ক্রিকেটার।