রঞ্জি ট্রফিতে জমে উঠেছে গুজরাট বনাম কেরলের সেমিফাইনালের লড়াই। প্রথম দিনে টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেরল। ব্যাট করতে নেমে বিরাট রান তোলে তারা। প্রথম ২দিন পুরোটাই ব্যাট করে কেরল। দ্বিতীয় দিনের শেষে তাদের স্কোর ছিল ৭ উইকেট হারিয়ে ৪১৭। সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে অপরাজিত ছিলেন মহম্মদ আজহারউদ্দিন। এছাড়া ২২ বলে ১০ রান করে নটআউট ছিলেন সারওয়াতে। বুধবার তৃতীয় দিনের খেলা শুরু হলে নিজের মেজাজে ব্যাটিং করতে থাকেন কেরলের উইকেটকিপার আজহারউদ্দিন। তবে উল্টো দিকে সেই ভাবে কেউ তাঁকে সহায়তা করতে পারেনি। লাগাতার উইকেটের পতন ঘটতে থাকে। সবশেষে ৪৫৭ রান তুলে অলআউট হয়ে যায় কেরল। ৩৪১ বলে ১৭৭ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে নটআউট ছিলেন আজহারউদ্দিন। তিনি নিজের ইনিংসটি সাজিয়েছিলেন ২০টি চার এবং ১টি চক্কর সাহায্যে। এর ফলে তিনি প্রথম কেরলের ব্যাটসম্যান, যিনি রঞ্জি ট্রফির সেমিফাইনালে সেঞ্চুরি হাঁকালেন।
গুজরাটের বল হাতে ভালো পারফর্ম করেন আরজান নাগওয়াসওয়াল্লা। ৩৪ ওভার বল করে ৮১ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন তিনি। ভালো বল করেন অধিনায়ক চিন্তন গাজাও। ৩৩ ওভার বল করে ৭৫ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন তিনি। এছাড়া ১টি করে উইকেট পেয়েছেন প্রিয়জিৎ সিং জাদেজা, রবি বিষ্ণোই এবং বিশাল জসওয়াল। আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা দারুন করে গুজরাট। দুই ওপেনার - প্রিয়াঙ্ক পাঞ্চাল এবং আর্য দেশাই শুরুটা অসাধারণ ভাবে করেন।
প্রথম উইকেটের জন্য ১৩১ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন তাঁরা। তবে ৩৬.৪ ওভারে বাসিলের বলে আউট হয়ে যান আর্য। ব্যক্তিগত ভাবে ১১৮ বলে ৭৩ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। তৃতীয় দিনের শেষে একমাত্র এই একটি উইকেটই নিতে পেরেছেন কেরলের বোলাররা। আর্য আউট হলেও নিজের খেলা চালিয়ে নিয়ে যান প্রিয়াঙ্ক। দিনের শেষে ২০০ বলে ১১৭ রান করে অপরাজিত রয়েছেন তিনি। মেরেছেন ১৩টি চার এবং ১টি ছয়। তাঁর সঙ্গে যোগ্য সঙ্গ দেন মনন হিঙ্গরাজিয়া। ১০৮ বলে ৩০ রান করে অপরাজিত রয়েছেন তিনিও। দিনের শেষে গুজরাটের স্কোর ১ উইকেট হারিয়ে ২২২। ব্যাট হাতে ভালো পারফর্ম করলেও বল হাতে সেই ভাবে দাগ কাটতে পারেন কেরলের বোলাররা। এখন দেখার চতুর্থ দিনের সকালে কোনও চমক দিতে পারে কিনা তারা।