ডার্কওয়ার্থ-লুইস দু'রানে এগিয়ে আফগানিস্তান। সেই অবস্থায় বৃষ্টি নামতেই মাঠের বাইরে থেকে ‘স্লো ডাউন’ করার নির্দেশ পাঠালেন জোনাথন ট্রট। আর তারপরই হ্যামস্ট্রিং ধরে পড়ে গেলেন প্রথম স্লিপে ফিল্ডিং করা গুলবদিন নায়েব। হ্যামস্ট্রিং ধরে পড়ে যান। কিন্তু ট্রটের সেই ‘সিগন্যাল’-র পরই সঙ্গে-সঙ্গে গুলবদিন হ্যামস্ট্রিং ধরে পড়ে যাওয়ায় পুরোটাই ‘নাটক’ হিসেবে মনে হয়েছে অধিকাংশের। বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত উষ্মাপ্রকাশ করলেন ধারাভাষ্যকার তথা নিউজিল্যান্ডের প্রাক্তন পেসার সাইমন ডুল। ধারাভাষ্যকার পমি মবাঙ্গওয়া তো বলে দিলেন যে অস্কার জয়ের মতো অভিনয়। হাসতে দেখা যায় বাংলাদেশের ব্যাটার লিটন দাসকেও। আর পুরো ঘটনার ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।
কখন সেই ঘটনা ঘটেছে?
দ্বাদশ ওভারের চতুর্থ বলের পরে সেই ঘটনা ঘটেছে। বৃষ্টি-বিঘ্নিত ম্যাচে ডিএলসে বাংলাদেশ অনেকটা সময় এগিয়ে থাকলেও একাদশ ওভারের শেষ দুটি বলে রশিদ খানের জোড়া উইকেট এবং দ্বাদশ ওভারের প্রথম চারটি বল ডট হওয়ায় পিছিয়ে পড়েন লিটনরা। ১১.৪ ওভারে ডিএলএসের নিরিখে দু'রানে এগিয়ে ছিল আফগানিস্তান। অর্থাৎ তারপর আর খেলা না হলে আফগানিস্তান জিতে যেত। আর বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পৌঁছে যেতেন আফগানরা।
আর ঠিক সেইসময়ই বৃষ্টি নামে। ডিএলএসে দু'রানে এগিয়ে থাকায় মাঠের বাইরে থেকে ট্রট খেলাটা ‘স্লো’ করার নির্দেশ দেন। আর তারপরই প্রথম স্লিপে দাঁড়িয়ে থাকা গুলবদিন হ্যামস্ট্রিং ধরে পড়ে যান। নূর আহমেদকে বল করতে বারণ করেন অনফিল্ড আম্পায়ার। ততক্ষণে জোরে বৃষ্টি নেমে আসে। খেলা সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়।
ধারাভাষ্যকারদের প্রতিক্রিয়া
কিন্তু সেইসব ছাপিয়ে গুলবদিনের ‘নাটক’ নিয়ে হইচই শুরু হয়ে যায়। হাসাহাসি করতে শোনা যায় ধারাভাষ্যকারদের। ডুল অবশ্য চূড়ান্ত বিরক্ত হয়ে বলতে থাকেন যে এরকমভাবে হয় না। এটা একেবারে ভুল কাজ। জয়ের জন্য এটা করা যায় না। পমি তো আরও একধাপ এগিয়ে বলেন যে অস্কারের মতো অভিনয় এটা। পুরো ভিডিয়োটা নতুন করে দেখানোর পরে সকলেই হাসতে শুরু করে দেন। তবে তাঁরা বলতে থাকেন যে এই ম্যাচের পরে ম্যাচ রেফারির ঘরে ডাক পড়বে গুলবদিনের। কাটা যাবে ম্যাচ ফি।
বিরক্ত রশিদ এবং হাসি লিটনের
গুলবদিন পড়ে যাওয়ায় রীতিমতো বিরক্তি প্রকাশ করতে দেখা যায় আফগানিস্তানের অধিনায়ক রশিদ খানকে। চূড়ান্ত উষ্মাপ্রকাশ করে গুলবদিনকে উঠতে বলেন তিনি। অন্যদিকে, বৃষ্টির জন্য খেলা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মাঠ ছেড়ে উঠে যাওয়ার সময় আফগানিস্তানের তারকা মহম্মদ নবির সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে হাসহাসি করতে দেখা যায় লিটনকে। কীভাবে পড়ে গেলেন গুলবদিন, তা দেখাতে থাকেন।
'অন্য কোনওভাবে সময় নষ্ট করা যেতে পারত'
তারইমধ্যে নবীন-উল-হক এবং আফগানিস্তানের এক সাপোর্ট স্টাফকে ধরে মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যান। পরে এক ধারাভাষ্যকারকে বলতে শোনা যায়, ট্রটের সিগন্যালের পরে যদি সময় নষ্ট করতে চাইতেন গুলবদিনরা, তাহলে অন্য কোনওভাবে করতে পারতেন। ফিল্ডিং নিয়ে আলোচনা করতে পারতেন তাঁরা। ফিল্ডিং পরিবর্তন করতে পারতেন। তাহলে এরকম একটা বাজে ব্যাপার তৈরি হত না।