সচরাচর দলের নতুন ক্রিকেটারদের পিক পকেটার হিসেবে ব্যবহার করতে দেখা যায় ভারতীয় দলকে। শর্ট লেগ, সিলি পয়েন্টে ওৎ পেতে বসে থাকতে দেখা যায় তরুণ ফিল্ডারদের। এক্ষেত্রে ক্লোজ-ইন ফিল্ডার হিসেবে বিশেষজ্ঞও হয়ে ওঠেন অনেকে।
ক্লোজ-ইন ফিল্ডিংয়ের ক্ষেত্রে ফিল্ডারদের প্রাথমিক ব্যকরণ মেনে চলতে হয়। মেলবোর্নে অজিদের বিরুদ্ধে বক্সিং ডে টেস্টে যশস্বী জসওয়াল সেই ব্যকরণ মানেননি। ফলে তাঁকে জোর বকাঝকা শুনতে হয় ক্যাপ্টেন রোহিতের। এক্ষেত্রে যশস্বীকে প্রাথমিক সেই নিয়ম কানুন মনে করিয়ে দেন রোহিত।
মেলবোর্ন টেস্টের প্রথম দিনে ভারতীয় স্পিনার রবীন্দ্র জাদেজা বল করছিলেন স্টিভ স্মিথকে। সিলি পয়েন্টে ফিল্ডিং করছিলেন যশস্বী। স্মিথ একটি ডিফেন্সিভ শট খেলার পরে লাফিয়ে উঠতে দেখা যায় জসওয়ালকে। এক্ষেত্রে যশস্বী দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ফিল্ডিং করছিলেন।
ফিল্ডারের কাণ্ড দেখে স্লিপ অঞ্চল থেকে চিৎকার করে ওঠেন রোহিত শর্মা। যশস্বীকে উদ্দেশ্য করে রোহিত বলেন যে, ‘আরে জাইসু, গলি ক্রিকেট খেলছিস নাকি? নীচে বসে থাক। যতক্ষণ না বল খেলবে একদম উঠবি না। বসে থাক নীচে।’
বক্সিং ডে টেস্টের প্রথম দিনের গতিপ্রকৃতি
ভারতের বিরুদ্ধে মেলবোর্নের বক্সিং ডে টেস্টে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে অস্ট্রেলিয়া। অভিষেককারী স্যাম কনস্টাসকে সঙ্গে নিয়ে ওপেন করতে নামেন উসমান খোয়াজা। ওপেনিং জুটিতে অস্ট্রেলিয়া ৮৯ রান তুলে ফেলে। টেস্ট অভিষেকে মাত্র ৫২ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন স্যাম কনস্টাস। সাহায্য নেন ৫টি চার ও ২টি ছক্কার। শেষমেশ ৬৫ বলে ৬০ রানের মারকাটারি ইনিংস খেলে জাদেজার বলে এলবিডব্লিউ হন কনস্টাস। মারেন সাকুল্যে ৬টি চার ও ২টি ছক্কা।
উসমান খোয়াজা ৬টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১২১ বলে ৫৭ রানের লড়াকু ইনিংস খেলে মাঠ ছাড়েন। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে দাপুটে অর্ধশতরান করেন মার্নাস ল্যাবুশান। তিনি ১৪৫ বলে ৭২ রান করে ক্রিজ ছাড়েন। মারেন ৭টি চার।
ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন চার নম্বরে ব্যাট করতে নামা স্টিভ স্মিথও। ৫টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৭১ বলে ব্যক্তিগত অর্ধশতরান পূর্ণ করেন স্টিভ স্মিথ। অর্থাৎ, অস্ট্রেলিয়ার টপ অর্ডারের প্রথম চারজন ব্যাটারই ব্যক্তিগত ৫০ রানের গণ্ডি টপকে যান। যদিও সস্তায় সাজঘরে ফেরেন ট্র্যাভিস হেড ও মিচেল মার্শ। হেড ৭ বল খেলে শূন্য রানে আউট হন। মার্শ ১৩ বলে ৪ রান করে ক্রিজ ছাড়েন।