একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে একই ম্যাচে হাফ-সেঞ্চুরি ও ৫ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব রয়েছে অনেকের। তবে নেপালের আনকোরা অল-রাউন্ডার গুলশান ঝা যে কৃতিত্ব অর্জন করেন, তা বিশ্বের আর কোনও ক্রিকেটারের দখলে নেই। এমনকি তাবড় তাবড় অল-রাউন্ডাররাও এমন নজির গড়তে পারেননি।
নেপালের ১৮ বছরের পেসার অল-রাউন্ডার গুলশান ঝা বুধবার একই ওয়ান ডে ম্য়াচে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন এবং সেই সঙ্গে বল হাতে ৫ উইকেট দখল করেন। আসলে এত কম বয়সে একই ওয়ান ডে ম্যাচে এমন ডুয়েলের নজির ছেলেদের ক্রিকেটে বিশ্বের আর কারও নেই। গুলশান ছাড়া ২০ বছর বয়সের আগে এমন কৃতিত্ব অর্জন করতে পারেননি আর কেউ।
গুলশান বুধবার ওমানের বিরুদ্ধে ওয়ান ডে ম্যাচে ছয় নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ৩৫ বলে ৫৩ রানের আগ্রাসী ইনিংস খেলেন। তিনি ৩টি চার ও ৫টি ছক্কা মারেন। পরে ১০ ওভার বল করে ২টি মেডেন-সহ ৪৭ রানের বিনিময়ে ৫টি উইকেট দখল করেন তিনি। এমন কৃতিত্ব অর্জন করার দিনে গুলশানের বয়স ছিল ১৮ বছর ২১৪ দিন।
এতদিন সব থেকে কম বয়সে একই ওয়ান ডে ম্যাচে হাফ-সেঞ্চুরি ও ৫ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড ছিল পাকিস্তানের আবদুল রাজ্জাকের নামে। তিনি ২০০০ সালে ভারতের বিরুদ্ধে এমন কৃতিত্ব অর্জন করেন ২০ বছর ৫০ দিন বয়সে। যার অর্থ, পাক তারকার সেই বিশ্বরেকর্ড ভেঙে দিলেন গুলশান ঝা।
সব থেকে কম বয়সে একই ওয়ান ডে ম্যাচে হাফ-সেঞ্চুরি ও ৫ উইকেট
১. গুলশান ঝা (নেপাল)- ১৮ বছর ২১৪ দিন (বনাম ওমান ২০২৪)।
২. আবদুল রাজ্জাক (পাকিস্তান)- ২০ বছর ৫০ দিন (বনাম ভারত, ২০০০)।
৩. শাহিদ আফ্রিদি (পাকিস্তান)- ২০ বছর ২৪০ দিন (বনাম ইংল্যান্ড, ২০০০)।
৪. বাস ডি'লিড (নেদারল্যান্ডস)- ২৩ বছর ২৩৩ দিন (বনাম স্কটল্যান্ড, ২০২৩)।
৫. ক্রিস গেইল (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)- ২৩ বছর ২৫৩ দিন (বনাম অস্ট্রেলিয়া, ২০০৩)।
নেপাল বনাম ওমান ম্যাচের ফলাফল
বুধবার কিং সিটিতে নেপালকে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে ১ বল বাকি থাকতে ১ উইকেটে পরাজিত করে ওমান। শুরুতে ব্যাট করে নেপাল নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটের বিনিময়ে ২২০ রান সংগ্রহ করে। ক্যাপ্টেন রোহিত পাউডেল দলের হয়ে সব থেকে বেশি ৬০ রান করেন। পালটা ব্যাট করতে নেমে ওমান ৪৯.৫ ওভারে ৯ উইকেটের বিনিময়ে ২২৩ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। যদিও ম্যাচের সেরা হন গুলশান।