ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়র লিগে ঝড় তুলে দিলেন গায়ানা অ্যামাজন দলের দুই ক্রিকেটার শিমরন হেতমায়ের এবং রমহানউল্লাহ গুরবাজ। দুই ক্রিকেটারই কার্যত তাণ্ডব চালালেন সেন্ট কিটন অ্যান্ড নেভিস প্যাট্রিয়টের বোলারদের বিরুদ্ধে। সিপিএলের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ইনিংস স্কোর তুলল গায়ানার এই ফ্র্যাঞ্চাইজি দল। ৬ উইকেটে ২৬৬ রান করল তাঁরা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে পাল্টা লড়াই দিয়ে ২০০-র ওপর রান তোলে সেন্ট কিটস দলও। তবে এত বড় লক্ষ্যমাত্রা তাঁরা তাড়া করে উঠতে পারে। ফলে ৪০ রানে ম্যাচ জিতল হেতমায়েররা। অনবদ্য ইনিংস খেলে ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হন গায়ানা অ্যামাজন দলের মিডল অর্ডার ব্যাটার সিমরন হেতমায়ের।
আরও পড়ুন-গ্রামের মানুষ ক্রিকেটের নাম শুনলে রেগে যেত! এখন সেখানেই তিনি হিরো! বলছেন RCB তারকা
টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং নেওয়ার সিদ্ধান্তটা যে মোটেই ভুল ছিল না সেটা প্রমাণ হয়ে যায় ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজের ইনিংসেই। অনরিখ নরকিয়া, কাইল মেয়ার্স, ওডিয়ন স্মিথদের তুলোধনা করে ৩৭ বলে ৬৯ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেন আফগান তারকা। মারেন ৬টি ছয় এবং ৪টি চার। রহমানউল্লাহ গুরবাজের সঙ্গেই চার ছয় মারার অনুষ্ঠানে যোগ দেন সিমরন হেতমায়েরও।
৩৯ বলে ৯১ রানের ঝড়ো ইনিংসে খেলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের তারকা ক্রিকেটার হেতমায়ের। সেই সুবাদে তিনি ম্যাচের সেরাও নির্বাচিত হন। মারেন ১১টি ছয়, একটিও চার মারেননি তিনি। এই পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস প্যাট্রিয়টের বোলারদের কি নাস্তানাবুদই না করেছেন তিনি। শেষদিকে ১৪ বলে ৩৮ রান করেন কিমো পলও। গায়ানার স্কোর পৌঁছায় ৭ উইকেটে ২৬৬তে।
এরপর পাল্টা আক্রমণ শুরু করেন আন্দ্রে ফ্লেচার, কাইল মেয়ার্সরা। শুরুতে এভিন লুইসের উইকেট হারালেও মেয়ার্সের সঙ্গে জুটি বেঁধে খেলা ধরেন ফ্লেচার। তিনি করেন ৩৩ বলে ৮১ রান। মারেন ৯টি ছয় এবং ৪টি চার। ১৭ বলে ২৮ রান করেন কাইল মেয়ার্স। এরপর ছোট ক্যামিও খেলেন শেরফান রাদারফোর্ড। ১২ বলে তিনি ৩৪ রান করেন। মারেন তিনটি করে চার এবং ছয়। তবে লক্ষ্যমাত্রা অনেকটা বেশি থাকায় মিডল অর্ডারের সকলকেই হিট করতে হচ্ছিল। তখন উইকেটও খোয়াচ্ছিল তাঁরা। ফলে সেই রান তুলতে পারেনি সেন্ট কিট অ্যান্ড নেভিস দল। নির্ধারিত ২০ ওভারের আগেই তাঁরা ২২৬ রানেই অল আউট হয়ে যায়। ৪০ রানে ম্যাচ জিতে নেয় গায়ানা অ্যামাজন।