কোয়ার্টার ফাইনালের আগে পর্যন্ত চলতি সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-২০ ট্রফিতে রান তাড়া করে জয় তুলে নেওয়া কার্যত অভ্যাসে পরিণত করে ফেলে বাংলা। লিগ পর্বে ৭ ম্য়াচের মধ্যে তারা ৬টি ম্যাচ জেতে পরে ব্যাট করে। মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে যে লিগ ম্যাচটিতে পরাজিত হয় বাংলা, সেটিতে তারা শুরুতে ব্যাট করতে নামে। যদিও প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে চণ্ডীগড়ের বিরুদ্ধে শুরুতে ব্যাট করে রুদ্ধশ্বাস জয় ছিনিয়ে নেয় বাংলা।
এবার চিন্নাস্বামীতে শক্তিশালী বরোদার বিরুদ্ধে কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে টস-ভাগ্য সঙ্গ দেয় বাংলাকে। টস জিতে স্বাভাবিকভাবেই বাংলা রান তাড়া করার সিদ্ধান্ত নেয়। যদিও বাংলা দলনায়ক সুদীপ ঘরামির সিদ্ধান্ত নিয়ে একসময় প্রশ্ন উঠে যায়। কেননা বরোদা শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ঝড়ের গতিতে রান তুলতে থাকে।
আসলে শুরুর দিকে ভাগ্য সঙ্গ দেয়নি বাংলার বোলারদের। কেননা বাংলার ফিল্ডাররা একাধিক ক্যাচ মিস করেন। ব্যাটের কানায় লেগে চার-ছয় হয় বেশ কয়েকটি। বরোদা পাওয়ার প্লে-র ৬ ওভারে কোনও উইকেট না হারিয়েই ৫০ রান তুলে ফেলে। ওপেনিং জুটিতে বরোদা সংগ্রহ করে ৯০ রান। যদিও দলগত ৯০ রানের মাথাতেই বরোদার দুই ওপেনার অভিমন্যুসিং রাজপুত ও শাশ্বত রাওয়াত আউট হয়ে বসেন।
২ বার জীবনদান পেয়ে অভিমন্যুসিং ৩৪ বলে ৩৭ রান করেন। তিনি ৫টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। শাশ্বত ২৬ বলে ৪০ রান করে মাঠ ছাড়েন। তিনি ১টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন। বরোদা শক্ত ভিতে বসে পড়তেই হার্দিক পান্ডিয়া নিজেকে ব্যাটিং অর্ডারের উপরের দিকে তুলে নিয়ে আসেন। দীর্ঘদিন পরে পান্ডিয়া ফের তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামেন। চার নম্বরে ব্যাট করতে নামেন ক্রুণাল পান্ডিয়া।
পোক্ত ভিতে বড় রানের ইমারত গড়াই লক্ষ্য ছিল পান্ডিয়া ভাইদের। তবে ব্যাট হাতে নজর কাড়তে ব্যর্থ হন হার্দিক ও ক্রুণাল। হার্দিক ১টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১১ বলে ১০ রান করে কণিষ্ক শেঠের বলে ঋত্বিক চট্টোপাধ্যায়ের হাতে ধরা পড়েন। ক্রুণাল ১টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১১ বলে ৭ রান করে প্রদীপ্ত প্রামানিকের বলে কণিষ্কের হাতে ধরা দেন।
যদিও পান্ডিয়াদের বড়সড় অবদান ছাড়াই বরোদা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ১৭২ রান তুলে ফেলে। শিবালিক শর্মা ২৪ রানের যোগদান রাখেন।
বাংলার হয়ে মহম্মদ শামি ৪ ওভারে ৪৩ রান খরচ করে ২টি উইকেট তুলে নেন। ৪ ওভারে ৩৯ রান খরচ করে ২টি উইকেট নেন কণিষ্ক শেঠ। ২ ওভারে ৬ রান খরচ করে ২টি উইকেট নেন প্রদীপ্ত প্রামানিক। ৪ ওভারে ২৪ রান খরচ করে ১টি উইকেট নেন সক্ষম চৌধুরী।