বিশ্বকাপ ফাইনালের শেষ ওভারে গিয়ে দলকে জিতিয়েছেন হার্দিক পাণ্ডিয়া। এক মাস আগে যদি ফ্ল্যাশব্যাকে যাওয়া যায়, তাহলে মনে পড়ে যাবে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের জার্সিতে প্রায় প্রতি ম্যাচেই তীর্যক মন্তব্যের শিকার হচ্ছিলেন হার্দিক। গুজরাট টাইটান্স থেকে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে যোগ দিয়ে সরাসরি রোহিত শর্মাকে অধিনায়ক পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ায় তাঁর কাজে কেউ খুশি ছিলেন না। এমনকি টিম ম্যানেজমেন্টের বিরুদ্ধে সমর্থকদের যে অভিমান ছিল, তাও বিদ্রুপ আকারে উড়ে এসেছিল হার্দিক পান্ডিয়ার দিকেই। সেই হার্দিকই শেষ পর্যন্ত রোহিত শর্মার স্বপ্নপূরণ করেছেন বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচে। দলকে জিতিয়ে কেঁদে ফেলেছিলেন। পরিবারেও অনেক সমস্যা গেছে, তারই মধ্যে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন। বিশ্বকাপ জিতে এবার সমর্থকদেরই একাংশকে একহাত নিলেন হার্দিক।
আরও পড়ুন-লিগের উদ্বোধনে নেই মোহনবাগানের পতাকা,রেগে ফায়ার বাগান সচিব! সাফাই দিয়ে দায় ঝাড়ল আইএফএ
মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের অধিনায়ক পদে যোগ দেওয়ার পর থেকেই যে মাঠেই খেলতে গেছেন অধিকাংশ জায়গাতেই তাঁকে উদ্দেশ্য করে কটুক্তি করেছেন সমর্থকরা। সকলেই যে রোহিত শর্মার ভক্ত তেমনটা হয়ত নয়। কিন্তু ভারতের অধিনায়ক কিনা হার্দিকের নেতৃত্বে খেলবেন সেটা মেনে নিতে পারেননি সমর্থকরা। রোহিত শর্মাও এই নিয়ে মুখ খুলেছিলেন। এরই মধ্যে হার্দিক পাণ্ডিয়া এবার মুখ খুললেন এতদিনের কটুক্তি নিয়ে। তিনি বলছেন, বিদ্রুপ অপমান কোনও কিছুই তাঁর পারফরমেন্সে ঘাটতি ফেলেনি, তবে সমর্থকদের একটু ভদ্র হওয়া উচিত।
আরও পড়ুন-জিতিয়েছেন আইএসএল শিল্ড! তবু মোহনবাগানের বাতিলের তালিকায় বুড়ো কাউকো, হেক্টর
ঠিক কি বললেন হার্দিক পান্ডিয়া?
দেশকে বিশ্বকাপ জিতিয়ে এখন বিরাট-রোহিতদের মতোই দেশের নায়ক হার্দিক পাণ্ডিয়া। এতদিন যে হার্দিককে অনেকেই কথায় কথায় অপমান করত, এখন তাঁকেই বুকে আগলে নেওয়ার সময় এসেছে। এই আবহেই তিনি বলছেন, ‘অনেকেই আমার ব্যাপারে অনেক কিছু বলেছে। আমির কারোর কথারই কোনও জবাব দিই নি। আমি জানতান মাঠে পারফরমেন্স দিয়েই এর উত্তর দিতে হবে। তবে আমি মনে করি জয়ের সময় হোক বা হার, সব সময়ই ভদ্র নম্র থাকতে হয়। আমি ফ্যানদের উদ্দেশ্যেও একটা কথা বলতে চাইবে, ওদেরও ভদ্র হওয়া প্রয়োজন। নিজেদের আবেগ বোঝানোর জন্য আরও ভালো কোনও উপায় বের করা উচিত তাঁদের। যদিও সব সমর্থকই এখন খুশি দেশ বিশ্বকাপ জেতায় ’ ।
আরও পড়ুন-জল্পনার অবসান! মোহনবাগান নয়, মুম্বইতেই আরও তিন বছর থাকছেন ছাংতে...
হার্দিক আরও বলেন, ‘দলের জেতাটাই শেষ কথা। আমি যদি এক ওভার সুযোগ পাই, তাহলে তাঁর মধ্যেই নিজের সেরাটা দেওয়া চেষ্টা করি। এখানে ব্যক্তিগত সাফল্যের কোনও জায়গা নেই। আমি যখন শেষ ওভারে বোলিংয়ের সুযোগ পেয়েছিলাম, বিষয়টা উপভোগই করছিলাম, কারণ সকলে এমন সুযোগ পায়না। তাই আলাদা করে চাপ নিইনি, এটাই ভাগ্য লেখা ছিল। বিরাট আর রোহিতের জন্য আমার খুব ভালো লাগছে ’।